গাজীপুর: তুরাগ নদের এপারে টঙ্গী, ওপারে ঢাকার উত্তরা। টঙ্গীতে আছে এক রেলব্রিজ, তাতে আছে ওয়াক ওয়ে; যা দিয়ে এপার-ওপার পারাপার হয় মানুষ।
হাজারো মানুষের চলাচলের পথটি মরিচা ধরা। জরাজীর্ণ ও ঝুঁকিপূর্ণ অবস্থাতেই এর ব্যবহার হচ্ছে দৈনিক।
এলাকাবাসী জানায়, গত কয়েক বছর ধরেই তুরাগ নদের ওপর নির্মিত টঙ্গী রেলওয়ে ব্রিজের ওয়াক ওয়ে জরাজীর্ণ অবস্থায়। পথচারীরা পারাপার হলেও তাদের মনে থাকে সংশয়। বর্তমান অবস্থায় এমন- মানুষ পারাপারের পাশাপাশি ট্রেন চলাচলেও ব্রিজটি খুবই নাজুক অবস্থায় রয়েছে। ওয়াক ওয়ের বিভিন্ন স্থানে মরিচা ধরে খসে পড়েছে।
ভোর থেকে এ পথে চলাচলকারী স্কুল-কলেজের শিক্ষার্থী, ব্যবসায়ী, চাকরিজীবী ও পোশাক কারখানার শ্রমিকসহ বিভিন্ন পেশার মানুষ এ পথে বিড়ম্বনার শিকার হয়েছেন। অনেকের পা ভাঙা জায়গায় পড়ে কেটে গেছে, অনেকের পায়ের চাপে ব্রিজের অংশ খসে পড়েছে। অর্থ সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ এ ব্যাপারে বিকারহীন। হাজার হাজার মানুষের সুবিধার্থে ও ঝুঁকিপূর্ণ পারাপার রোধে টঙ্গী রেলওয়ে ব্রিজের ঝুঁকিপূর্ণ ওয়াক ওয়ে দ্রুত মেরামত করার দাবি জানিয়েছেন এলাকাবাসী।
সরেজমিনে গিয়ে দেখা গেছে, ব্রিজের জরাজীর্ণ অংশে ছোট বড় অসংখ্য ছিদ্র। কিছু কিছু জায়গায় ছিদ্র বন্ধে কাঠ দিয়ে রাখা হয়েছে। ঝুঁকি নিয়ে মানুষের পারাপারের পাশাপাশি আনা নেওয়া করা হচ্ছে প্রয়োজনীয় জিনিসপত্র। প্রায় সব সময়ই মানুষ ভিড় লেগে থাকে ব্রিজটিতে।
পথচারীদের অনেকেই জানান ব্রিজের ওয়াক ওয়ের বেশি কিছু অংশে বিরাট ফুটো রয়েছে। প্রতিনিয়ত চলাচল, রোদ-বৃষ্টিতে জায়গাগুলোয় মরিচা সৃষ্টি হয়ে ভেঙে পড়েছে। সম্প্রতি কয়েকজন পথচারী আহত হয়েছেন। এখন কাঠ দিয়ে রাখলেও ঝুঁকি নিরসন হয়নি। কাঠের টুকরো সরে গিয়ে দুর্ঘটনার শিকার হওয়ার সম্ভাবনাও ব্যাপক।
এসব বিষয়ে বাংলাদেশ রেলওয়ে ঢাকা বিভাগীয় প্রকৌশলী-১ এস এম ফেরদৌস আলমের সঙ্গে কথা হলে বাংলানিউজকে তিনি বলেন, টঙ্গী রেলব্রিজের ওয়াক ওয়ের বর্তমান অবস্থা সম্পর্কে জানা ছিল না। খোঁজ নিয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
বাংলাদেশ সময়: ১৫৪০ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ১১, ২০২২
আরএস/এমজে