ঢাকা: ‘খালেদা জিয়া মহিলা মুক্তিযোদ্ধা, তারেক শিশু মুক্তিযোদ্ধা’- বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের এ বক্তব্যকে মিথ্যা বলে দাবি করেছেন আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী মায়া বীর বিক্রম। মির্জা ফখরুলের এমন কথা শুনে ঘোড়ায়ও হাসে বলেও মন্তব্য করেন তিনি।
মায়া বলেন, মুক্তিযুদ্ধের যেখানে যে অবদান রয়েছে, সেখানে স্মৃতিস্তম্ভ তৈরি করা মুক্তিযুদ্ধ মন্ত্রণালয়ের নৈতিক দ্বায়িত্ব।
সোমবার (২০ মার্চ) রাজধানীর কৃষিবিদ ইনিস্টিউটে ‘মুক্তিযুদ্ধের প্রথম ব্যারিকেড উদযাপন জাতীয় কমিটি’ আয়োজিত আলোচনাসভায় তিনি এ মন্তব্য করেন।
পাকিস্তানী বাহিনীকে প্রতিরোধ করতে মুক্তিযুদ্ধের প্রথম ব্যারিকেড রাজধানীর ফার্মগেটে হয়েছিল মন্তব্য করে মায়া চৌধুরী বলেন, ফার্মগেটে ১৫ মিনিট ব্যারিকেট তৈরি করেছিলেন ছাত্রনেতা আসাদুজ্জামান কামাল।
তিনি আরও বলেন, মুক্তিযোদ্ধাদের সরকারের বিপক্ষে যেন কোনো দেশ না হয়। এজন্য শেখ হাসিনা সরকারকে আবারও ভোট দিয়ে জয়ী করতে হবে।
একই অনুষ্ঠানে বঙ্গবন্ধুর নাম একসময় মুছে ফেলার চেষ্টা করা হয়েছিল বলে মন্তব্য করেন জাতীয় সংসদের উপনেতা মতিয়া চৌধুরী।
বিশেষ অতিথির বক্তব্যে তিনি বলেন, নতুন প্রজন্মের কাছে বঙ্গবন্ধুর নাম উদ্ভাসিত হচ্ছে। বঙ্গবন্ধুর নাম প্রজন্মের কাছে উজ্জ্বল হয়ে উঠছে।
মতিয়া চৌধুরী বলেন, বঙ্গবন্ধু তার পরিবার-পরিজন নিয়ে আলাদাভাবে ভাবেননি। তিনি মুক্তিযুদ্ধের ঘোষণা দিয়েছিলাম সমগ্র দেশবাসীর জন্যে। আমরা মুক্তিযুদ্ধে অংশ নিয়েছিলাম বঙ্গবন্ধুর আহ্বানে।
‘মুক্তিযুদ্ধে সব মানুষ অংশ নিয়েছিল, কিছু সংখ্যক রাজাকার-আলবদর ব্যতীত। এজন্যই এটা জনতার যুদ্ধ, জনযুদ্ধ হয়ে উঠেছিলো। রাজারবাগে পাকিস্তানি বাহিনী হামলা করেছিলো, সেখানে ট্রেজার বুলেট ছুড়ে খুঁজে বের করেছিল প্রতিরোধকারী পুরুষদের। ’ যোগ করেন সংসদ উপনেতা মতিয়া চৌধুরী।
মুক্তিযুদ্ধের প্রথম ব্যারিকেড উদযাপন জাতীয় কমিটির আহ্বায়ক ও স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামালের সভাপতিত্বে আরও বক্তব্য দেন মুক্তিকালীন সাব-সেক্টর কমান্ডার ও বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য ইঞ্জিনিয়ার মোশাররফ হোসেন।
বাংলাদেশ সময়: ২১৪০, মার্চ ২০, ২০২৩
এনবি/এসএ