ঢাকা, মঙ্গলবার, ১১ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৬ নভেম্বর ২০২৪, ২৪ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

রাজনীতি

রূপগঞ্জে গাজীকে জেতাতে বিএনপি নেতার অর্থ খরচের তথ্য দিলেন আ.লীগ নেতা

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২০১২ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ২৯, ২০২৩
রূপগঞ্জে গাজীকে জেতাতে বিএনপি নেতার অর্থ খরচের তথ্য দিলেন আ.লীগ নেতা কাঞ্চন পৌর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক গোলাম রসূল কলি

নারায়ণগঞ্জ: আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনে নারায়ণগঞ্জ-১ (রূপগঞ্জ) আসনে নৌকা প্রতীকের প্রার্থী গোলাম দস্তগীর গাজীকে জেতাতে ভোলাব ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান বিএনপি নেতা আলমগীর হোসেন টিটু ৫০ লাখ টাকা খরচ করেছেন বলে তথ্য দিয়েছেন কাঞ্চন পৌর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক গোলাম রসূল কলি।

শুক্রবার (২৯ ডিসেম্বর) উপজেলার কাঞ্চন পৌরসভা বাজার এলাকার খাপাড়া মসজিদে জুমার নামাজের সময় নৌকার পক্ষে প্রচারণা চালাতে গিয়ে তিনি এ দাবি করেন।

পরে বিষয়টি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে ছড়িয়ে পড়লে সর্বত্র আলোচনা তৈরি হয়।

এরপর বিকেলে গোলাম রসূল কলি নিজের ফেসবুক অ্যাকাউন্টে লাইভে এসে ভোলাব ইউপি চেয়ারম্যানের টাকা খরচের ব্যাপারে বলেন, আমি মসজিদে বক্তব্য রাখাকালে ভুলবশত ৫ লাখের জায়গায় ৫০ লাখ টাকা বলি। আমি সবার কাছে ক্ষমাপ্রার্থী। এ ধরনের ভুল আর হবে না।

এর আগে মসজিদে জুমার নামাজের সময় বক্তৃতায় তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা যে সরকার গঠন করবেন, সেটি সবাই বুঝতে পেরেছে। আগামী ৭ জানুয়ারি আপনারা সবাই নৌকার পক্ষে কাজ করে নৌকাকে বিজয়ী করুন। পুরো রূপগঞ্জ উপজেলাজুড়ে নৌকার পক্ষে যে জনমত সৃষ্টি হয়েছে তা অকল্পনীয়। ভোলাব ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আলমগীর হোসেন টিটু বিএনপির নেতা হলেও নৌকার প্রার্থী গাজী সাহেবের পক্ষেই কাজ করছেন। আলমগীর হোসেন টিটু এ পর্যন্ত গাজী সাহেবের প্রচারণায় ৫০ লাখ টাকা খরচ করে ফেলেছেন। এছাড়া ভোলাব ও দাউদপুর ইউনিয়নের যত বিএনপির নেতা-কর্মী রয়েছেন, তাদের দল নির্বাচনে না আসায় তারাও গোলাম দস্তগীর গাজীর পক্ষে প্রচারণা চালাচ্ছেন।  

গোলাম রসূল কলির এ বক্তব্য সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়লে চারদিকে আলোচনার ঝড় বয়ে যায়। বিএনপি ও আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীরাও তার বক্তব্য নিয়ে সমালোচনা করেন।  

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক কয়েকজন বিএনপি নেতা অভিযোগ করে বলেন, ভোলাব ইউনিয়ন বিএনপির ঘাঁটি হিসেবে পরিচিত। বিএনপির সমর্থন নিয়েই ভোলাবতে চেয়ারম্যান হয়েছেন আলমগীর হোসেন টিটু। নিজের অস্তিত্ব টেকাতে আওয়ামী লীগের প্রার্থীর সঙ্গে আঁতাত করে চলেন টিটু। এ কারণে আগামী ইউপি নির্বাচনে আলমগীর হোসেন টিটুর ভরাডুবি হবে। রূপগঞ্জ উপজেলা বিএনপির সাবেক সহ-সভাপতি আলমগীর হোসেন টিটু বিএনপি নেতা হয়েও আওয়ামী লীগের প্রার্থীর পক্ষে নির্বাচনী প্রচারণা ও টাকা খরচ করছেন, বিষয়টি অত্যন্ত ন্যক্কারজনক। আলমগীর হোসেন টিটুর মতো নেতাদের জন্যই আজ বিএনপির অবস্থা এতোটা খারাপ।  

এর আগে, গত বৃহস্পতিবার (২৮ ডিসেম্বর) দিনব্যাপী ভোলাব ইউনিয়নের পূবেরগাঁও, করাটিয়া, ইদগাহ মাঠ, মোল্লাপাড়াসহ বেশকিছু এলাকায় বিএনপি সমর্থিত ইউপি চেয়ারম্যান আলমগীর হোসেন টিটুর পক্ষ থেকে নৌকা প্রার্থীর জন্য ভুরিভোজের আয়োজন করা হয়। নৌকার পক্ষে ভুরিভোজের আয়োজন করেন যুবদল নেতা মুহিত মোল্লা, রাসেল মিয়া, সাত্তার মিয়া, রাজীব, মনিরসহ বিএনপির কিছু নেতা-কর্মী।

এ ব্যাপারে ভোলাব ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আলমগীর হোসেন টিটুর সঙ্গে যোগাযোগ করলে তিনি বলেন, আমি জীবনে একসঙ্গে ৫০ লাখ টাকা দেখিই নাই, খরচ করমু কোথা থেকে। আমার বিরুদ্ধে এসব অভিযোগ মিথ্যা।

বাংলাদেশ সময়: ২০০০ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ২৯, ২০২৩
এমআরপি/এইচএ/

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।