ঢাকা, শনিবার, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ২৮ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

রাজনীতি

পাবনা জেলা আ.লীগের সভাপতি লাল, সম্পাদক প্রিন্স

ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৮৫৯ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ১৯, ২০২২
পাবনা জেলা আ.লীগের সভাপতি লাল, সম্পাদক প্রিন্স রেজাউল রহিম লাল (বামে), গোলাম ফারুক প্রিন্স

পাবনা: পাবনা জেলা আওয়ামী লীগের ত্রিবার্ষিক সম্মেলন অনুষ্ঠিাত হয়েছে। এতে সর্বসম্মতিক্রমে ও দলীয় প্রধান শেখ হাসিনার নির্দেশে পাবনা জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ও ভারপ্রাপ্ত সভাপতি রেজাউল রহিম লালকে সভাপতি এবং পাবনা-৫ আসনের এমপি গোলাম ফারুক প্রিন্সকে সাধারণ সম্পাদক হয়েছেন।

পাবনা পুলিশ লাইনস মাঠে আয়োজিত সম্মেলনে এবারের সম্মেলন ব্যাপক উৎসাহ উদ্দীপনায় অনুষ্ঠিত হয়েছে। সভাপতি ও সম্পাদক পদে একাধিক নবীণ ও প্রবীণ প্রার্থী প্রচার চালিয়েছেন।

এদিক সম্মেলনকে সুন্দর  করতে আইন-শৃঙ্খলা স্বাভাবিক রাখতে জেলা পুলিশের কঠোর নজরদারির ব্যবস্থা করে। সম্মেলন প্রাঙ্গনে নিরাপত্তার জন্য ৪০টি সিসি ক্যামেরাসহ নিরাপত্তার দায়িত্বে প্রায় ৭শ’ পুলিশ সদস্য নিয়োজিত ছিল।

সম্মেলনে ভার্চ্যুয়ালি যুক্ত হয়ে বক্তব্য রাখেন আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক, সড়ক ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের।

এছাড়া সশরীরে উপস্থিত হয়ে বক্তব্য রাখেন,  আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য আব্দুর রহমান ও তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ, প্রেসিডিয়াম সদস্য ও রাজশাহী সিটি করপোরেশনের (রাসিক) মেয়র খায়রুজ্জামান লিটন, সাংগঠনিক সম্পাদক এস এম কামাল হোসেনসহ কেন্দ্রীয় ও জেলা নেতৃবৃন্দ।

এর আগে সর্ব শেষ ২০১৪ সালের ২০ ডিসেম্বর পাবনা জেলা আওয়ামী লীগের সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়েছিল। সেই সম্মেলনের ১৩ মাস পর  ২৫ সদস্যের উপদেষ্টা পরিষদসহ ৭১ সদস্য বিশিষ্ঠ জেলা কমিটির অনুমোদন দেয় কেন্দ্রীয় কমিটি। এবারের সম্মেলনে আগামী এক মাসের মধ্যে পূর্ণাঙ্গ কমিটি ঘোষণা করা হবে বলে জানানো হয়।

সম্মেলনে বক্তারা ২০২৩ সালের জাতীয় সংসদ নির্বাচনের জন্য দলের সব নেতাকর্মীদের ঐক্যবদ্ধ হয়ে সরকারের বিভিন্ন উন্নয়নের কথা জনগণের মাঝে তুলে ধরার কথা বলেন নেতারা। একই সঙ্গে সব দ্বিধা-বিভক্তি ভুলে  দলের জন্য, শেখ হাসিনার জন্য, আর নৌকার জন্য কাজ করার আহ্বান জানান তারা। তবে বর্তমানে দলের কার্যক্রমের পরিধি ও কর্মীর সংখ্যা বাড়ায় কমিটির পরিসর বাড়ানোর দাবি জানান তৃণমূল নেতাকর্মীরা।

সম্মেলনে দলের প্রেসিডিয়াম সদস্য আব্দুর রহমান বলেন, সংবিধান অনুযায়ীই আগামী নির্বাচন হবে নিরপেক্ষ নির্বাচন কমিশনের অধীনে। বাংলাদেশে নিরপেক্ষ তত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে আর নির্বাচন হবে না। অন্ধকারের পথ ধরে ক্ষমতায় আরোহন করা সম্ভব নয়।

অনুষ্ঠানে তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ বলেন, ঘরে বসে বিএনপি সরকারের বিদায় ঘণ্টা বাজায় বলেই নৌকার ভোট বাড়ে আর বারবার সরকার গঠন করে।

এর আগে ভার্চ্যুয়ালি যুক্ত হয়ে দলের সাধারণ সম্পাদক, সড়ক ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেন, আওয়ামী লীগ তথা শেখ হাসিনার উন্নয়ন রুখে দিতে দেশে-বিদেশে শত্রুতা আর ষড়যন্ত্র চলছে। ষড়যন্ত্রকারীদের রুখে দিতে হবে নিজেদের রাজনৈতিক ও সাংগঠনিক দক্ষতা দিয়ে।

বাংলাদেশ সময়: ১৮৫৯ ঘণ্টা, ১৯ ফেব্রুয়ারি, ২০২২
এমএমজেড

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।