বিশ্বকাপ ক্রিকেট
ঝড়ো ব্যাটিংয়ে দারুণ জুটি গড়ে অস্ট্রেলিয়াকে বড় সংগ্রহ এনে দেন ডেভিড ওয়ার্নার ও মিচেল মার্শ। জবাব দিতে নেমে ঘুরে দাঁড়ানোর আভাস দেয়
বেঙ্গালুরুর উইকেট মানেই যেন রানবন্যা। বিশ্বকাপেও এর ব্যতিক্রম হয়নি। আগে ব্যাট করতে নেমে রানের পাহাড় গড়েছে অস্ট্রেলিয়া।
ছয় ফুট সাত ইঞ্চি উচ্চতার লম্বা একটা মানুষ। তাকে দেখে চিনতে না পারার কোনো কারণ নেই। ধর্মশালার প্রেসবক্স লাগোয়া রেডিও কমেন্ট্রি
খেলতে নেমেছিলেন নিজের নবম ম্যাচ। এর বেশিরভাগই খেলেছেন এশিয়া কাপ ও বিশ্বকাপের মতো টুর্নামেন্টে। এর আগে কখনোই সেভাবে বড় ইনিংসও
অস্ট্রেলিয়ার সেই পুরোনো রূপ যেন ফিরে এলো। টানা দুই ম্যাচ হেরে বিশ্বকাপ শুরু করেছিল পাঁচবারের বিশ্বচ্যাম্পিয়নরা। এরপর ঘুরে দাঁড়ায়
দারুণ শুরুর পরও দলকে ভালো সংগ্রহ এনে দিতে পারেননি ব্যাটাররা। ২৫৬ রানের পুঁজি নিয়ে বোলারদের লড়াই করার মতো কিছুই ছিল না বলা যায়। তার
মিরপুরের 'স্লো এন্ড লো উইকেটে' টানা খেলার পর যখন দেশের বাইরে সিরিজ খেলতে যায় টাইগাররা, তখনই টের পাওয়া যায় বাস্তবতা। ভিন্ন ধরনের
বাংলাদেশের বিপক্ষে ম্যাচে বোলিংয়ের সময় গোড়ালিতে চোট পেয়েছিলেন হার্দিক পান্ডিয়া। সেই চোটের কারণে নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে ম্যাচে
ইনজুরি আর শেষ মুহূর্তে ম্যাচ খেলার সিদ্ধান্তের কথা জানানো; দেশের ক্রিকেটে গত কয়েক মাসে বেশ আলোচিত। তামিম ইকবালের পিঠের চোট যেকোনো
সবকিছুই এখন কেমন যেন ছন্নছাড়া। ক্রিকেটাররা গণমাধ্যমবিমুখ বিশ্বকাপের শুরু থেকেই। বাংলাদেশের দর্শকদের আগ্রহও বেশ কম। ভারতের
ঘরের মাঠে সিরিজ মানেই ভেন্যু মিরপুর শেরে বাংলা ক্রিকেট স্টেডিয়াম ও চট্টগ্রামের জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়াম। বিশেষ করে মিরপুরেই
রান তাড়ায় বিরাট কোহলি সেরাদের সেরা। তাই ২৫৭ রানের লক্ষ্য তার কাছে মামুলিই বটে। কোহলি ঠিক সেটাই করেছেন, যেমনটা তাকে নিয়ে
যা হওয়ার কথা ছিল তা-ই তো হলো। ভারত জিতলো, বাংলাদেশ হারলো। মাঝে কেবল রোমাঞ্চ ছড়ালো তানজিদ হাসান তামিম আর লিটন দাসের ব্যাট। চুপচাপ ফিরে
বাংলাদেশের হয়ে টস করতে আসবেন কে? সাকিব আল হাসান নাকি নাজমুল হোসেন শান্ত? এমন একটা অনিশ্চয়তা চলছিল বেশ কদিন ধরে। কারণ সবশেষ
আগ্রাসন যেন বিরাট কোহলির রক্তে বইছে! ব্যাটে তো সেই ছোঁয়া আছেই, ফিল্ডিংয়ের সময়ও তার মানসিকতা একই থাকে। প্রতিপক্ষ ব্যাটারকে