ঢাকা, শনিবার, ১৩ পৌষ ১৪৩১, ২৮ ডিসেম্বর ২০২৪, ২৫ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

খেলা

দারুন উদ্দীপ্ত শেখ রাসেল ক্রীড়াচক্র

মাজেদুল নয়ন ও মুশফিক পিয়াল | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০৪১৮ ঘণ্টা, জানুয়ারি ১০, ২০১৫
দারুন উদ্দীপ্ত শেখ রাসেল ক্রীড়াচক্র

ঢাকা: শেখ রাসেল ক্রীড়াচক্র লিমিটেডের চেয়ারম্যানের দায়িত্ব নিয়েছেন দেশের শীর্ষস্থানীয় শিল্পপ্রতিষ্ঠান বসুন্ধরা গ্রুপের ব্যবস্থাপনা পরিচালক সায়েম সোবহান আনভীর। নতুন বছরে নতুন চেয়ারম্যান, আর্থিক নিরাপত্তা, নতুন মাঠের প্রতিশ্রুতি আর দলবদলের পর একটি চমৎকার দল নিয়েই এ মৌসুম শুরু করছে শেখ রাসেল ক্রীড়াচক্র।



সায়েম সোবহান শেখ রাসেল ফুটবল দলের দায়িত্ব নেওয়ায় দারুন উদ্দীপ্ত দলের খেলোয়াড়রা।

জাতীয় দলের স্ট্রাইকার জাহিদ হাসান এমিলি বাংলানিউজকে বলেন, একটি মানসম্মত ক্লাব এবং একাডেমি গড়ে উঠলে অনেক স্থির হবে দল। আমাদের নিয়মিত সম্মানজনক বেতন-বোনাস দেওয়ার কথা হয়েছে। এখন আমাদের দলটি গোছানো। পারিপার্শ্বিক সব সুবিধা পেলে আমাদের এ বছরটা চমৎকার যাবে। বসুন্ধরা গ্রুপের সহযোগিতা অব্যাহত থাকলে ভবিষ্যতে শেখ রাসেল অনেক দূর এগিয়ে যাবে।

জাতীয় দলের আরেক ফুটবলার আতিকুর রহমান মিশু বাংলানিউজকে বলেন, নতুন চেয়ারম্যানের অধীনে জায়গা পাওয়ার কথা রয়েছে ক্লাবের। খেলোয়াড়দের আবাসনের ব্যবস্থা হবে। আগে চানখাঁরপুলে ক্লাব ছিল। সেটি একটি ভালো অবস্থানে আসবে। আমরা অবশ্যই সামনের টুর্নামেন্টগুলোতে নতুন উদ্দীপনায় মাঠে নামবো।

দুই বছর ধরে শেখ রাসেলে গোলকিপার হিসেবে রয়েছেন মাসুদ রানা। তিনি বলেন, একটি স্থায়ী মাঠের সুবিধা, প্রশিক্ষণের সুবিধা অনেক গুরুত্বপূর্ণ একটি দলের জন্যে। আগে আমাদের আবাসন ছিলো ভাড়া বাসায়, বুয়েটের মাঠ ভাড়া করে প্র্যাকটিস চালাতে হতো।

তিনি বলেন, এখন নিজস্ব মাঠে খেলা হবে, খেলোয়াড়দের আবাসন ব্যবস্থা স্থায়ী হবে। এটা আমাদের মাঠে ভালো খেলতে সহায়তা করবে।

মাসুদ বলেন, এ বছরের দল-বদলটাও বেশ হয়েছে। এই দলটিতে জাতীয় দলের সাতজন খেলোয়াড় রয়েছেন। আরো ৬ থেকে ৭ জন রয়েছে যাদের যোগ্যতা রয়েছে জাতীয় দলে খেলার। এছাড়াও বিদেশি খেলোয়াড়দের মানও বেশ ভালো।

মোহামেডান থেকে শেখ রাসেলে যোগ দিয়েছেন হেমন্ত ভিনসেন্ট। তিনি বাংলানিউজকে বলেন, মোহামেডান থেকে এ মৌসুমে ছয়জন যোগ দিয়েছেন শেখ রাসেলে। নতুন চেয়ারম্যান আসার পরে একাডেমি খোলার যে কথা বলেছেন, সেটি আর্ন্তজাতিক মানে নিয়ে যাবে ফুটবলকে। আর এ ক্ষেত্রে শেখ রাসেল হতে পারে অনুসরনীয়।

১৯৯৫ সালে শেখ রাসেল ক্রীড়া চক্রের আত্মপ্রকাশ ঘটে। এরপর প্রথম বিভাগ, প্রিমিয়ার লীগ ও পেশাদার ফুটবল লীগেও শিরোপা জিতেছে শেখ রাসেল। কিন্তু গত ২০ বছরেও নিজস্ব মাঠ কিংবা ক্লাব তাঁবু পায়নি তারা। ভাড়া বাড়িতে ক্যাম্প করতে হয়েছে শেখ রাসেলকে। সেই অবস্থা থেকে বের করে শেখ রাসেলকে স্থায়ী ঠিকানায় প্রতিষ্ঠিত করতে যাচ্ছেন সায়েম সোবহান।

দলের মন্টেনেগ্রিয়ান কোচ দ্রাগান দুকানোভিচ বলেন, আমরা এবার চেষ্টা করবো বাংলাদেশ লিগে চ্যাম্পিয়ন হতে। আমি মনে করি আমরা শক্তিশালী দল গড়েছি। এই দল নিয়ে এমন ফুটবল খেলব, যা বাংলাদেশের ফুটবল উন্নয়নে অনেক সহায়তা করবে।

এএফসি কাপে মধ্য এশিয়ার দেশ তাজিকিস্তানের একটি ক্লাবের বিপক্ষে আগামী ১০ ফেব্রুয়ারি প্লে অফ ম্যাচ খেলবে শেখ রাসেল। প্রতিপক্ষ হিসেবে তাজিকিস্তানের ওই দলটি যথেষ্ট শক্তিশালী হলেও জোর প্রতিদ্বন্দ্বিতার কথাই ভাবছেন শেখ রাসেলের কোচ দুকানোভিচ।

তিনি বলেন, এএফসি'র প্লে অফ এর পর, ফেডারেশন কাপ রয়েছে, প্রিমিয়ার লীগ রয়েছে। আমরা চ্যাম্পিয়ন হতে চাই।

শুক্রবার (৯ জানুয়ারি) সন্ধ্যায় গুলশানের ওয়েস্টিন হোটেলে সংবাদ সম্মেলনে শেখ রাসেল ক্রীড়াচক্র লিমিটেডের চেয়ারম্যান সায়েম সোবহান বলেন, আমরা চ্যাম্পিয়ন হতে এসেছি। দেশে বিশ্বমানের ফুটবল খেলা শুরু হবে এখান থেকেই। আমরা চ্যালেঞ্জ নিতে চাই। আওয়ার ফুটবল ডেভলপমেন্ট বিগিনিং ফ্রম হেয়ার।

বাংলাদেশ সময় : ০৪১৭ ঘণ্টা, জানুয়ারি ১০, ২০১৫

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।