ঢাকা: তিনদিনব্যাপী ১বাংলাদেশ আন্তর্জাতিক পর্যটন মেলা-২০১৫’ (বিআইটিএফ) শুরু হচ্ছে ২১ মে থেকে। চলবে ২৩ মে পর্যন্ত।
এবারের মেলায় ১৫ মিলিয়ন ডলার আয়ের প্রত্যাশা করছেন আয়োজকরা।
মঙ্গলবার (১৯ মে) রাজধানীর প্যান-প্যাসেফিক সোনারগাঁও হোটেলে এক সংবাদ সম্মেলনে এ সব তথ্য জানান ‘বাংলাদেশ ফাউন্ডেশন ফর ট্যুরিজম ডেভেলপমেন্ট’ (বিএফটিডি) সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা।
তারা জানান, রাজধানীর বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে এ মেলাটির আয়োজন করা হচ্ছে। বেসামরিক বিমান ও পর্যটনমন্ত্রী রাশেদ খান মেনন এ মেলা উদ্বোধন করবেন।
এক প্রশ্নের জবাবে কর্মকর্তারা জানান, গতবছরের মেলায় রাজনৈতিক অস্থিরতা থাকা সত্ত্বেও ৭/৮ মিলিয়ন ডলার আয় হয়েছিল। এবার দ্বিগুণ আয়ের আশা করছেন তারা। সব কিছু ঠিকঠাক থাকলে এবার ১৫ মিলিয়ন ডলার আয় হবে।
এ ছাড়া ব্যবস্থাপনা ক্রমশ ভালো হলে ২০২০ সালের মধ্যেই এ আয় ১০০ মিলিয়ন ডলারে উন্নীত করা যাবে বলেও আশা প্রকাশ করেন তারা।
এবারের মেলায় বাংলাদেশ ছাড়াও ১৫টি দেশের ৫৫টি এয়ারলাইনস, হোটেল, মোটেল, রিসোর্ট, ট্যুর অপারেটরসহ পর্যটনবিষয়ক বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের ১৩৫টি স্টল অংশ নেবে।
মেলা উপলক্ষে এসব প্রতিষ্ঠান হোটেল ও প্যাকেজ বুকিংয়ে ছাড়সহ অন্যান্য সুবিধা থাকবে। এ মেলা প্রতিদিন সকাল ১০টা থেকে রাত আটটা পর্যন্ত চলবে।
তারা বলেন, সরকার ট্যুরিজমের গুরুত্ব এখনো বুঝতে পারছে না। বেশিরভাগ দেশই ট্যুরিজমের প্রতি সবচেয়ে বেশি গুরুত্ব দিয়ে থাকে।
বিএফটিডি ছয় বছর ধরে এ মেলাটি আয়োজন করা হচ্ছে বলে জানান তারা। তারা বলেন, এ মেলার আয়োজন করার উদ্দেশ্য যাতে বাংলাদেশ বিশ্বে পরিচিতি পায়। অনেক পর্যটক এদেশে আসবেন- এটাই আশা।
মেলা সম্পর্কে অগ্রিম ধারণা দিয়ে আয়োজক সংস্থার কর্মকর্তারা বলেন, মেলায় প্রতিদিন লাকি ড্র অনুষ্ঠিত হবে। বাংলাদেশ বিমানের পক্ষ থেকে দুটি করে টিকেটের ব্যবস্থা থাকবে।
তারা আরো জানান, প্রতিদিন দুই হাজারেরও বেশি বাংলাদেশি ভারতে যান পর্যটক হিসেবে। কিন্তু ভারত থেকে পর্যটকরা সেভাবে বাংলাদেশে আসেন না। আমরা ‘রিজিওনাল ট্যুরিজম’ নিয়ে কাজ করছি। সার্ক সেক্রেটারি এ বিষয়ে সহযোগিতা করছেন। তার মনোনীত সচিবকে পাঠিয়েছেন।
এবার আমরা আরো ভালো আয়োজন করতে পারবো বলে আশা করছি।
মেলা উপলক্ষে সংবাদমাধ্যম কর্মীদের জন্য পুরস্কারের ব্যবস্থা থাকবে বলেও জানান তারা। ১৯ মে থেকে পাঁচদিন যে সংবাদমাধ্যমের কর্মীরা ভালো রিপোর্ট করবেন, তাদের জন্য পুরস্কারের ব্যবস্থা থাকবে। একজন সঙ্গীসহ কক্সবাজার ভ্রমণ ও অন্যান্য পুরস্কারের ব্যবস্থা থাকবে।
এক প্রশ্নের উত্তরে তারা জানান, ছয়বছরের মেলার আয়োজনে প্রতি বছরেই নতুনত্ব রাখা হয়। এতে অনেক উন্নতি হয়েছে। এবার আমাদের সঙ্গে কম্বোডিয়াও থাকবে। ট্যুরিজম একটি ‘ইন্ডাস্ট্রি’(শিল্প)- এ বিষয়টি এখন সরকার বুঝতে শুরু করেছে।
ট্যুরিজমের জন্য একটি খাত রাখা দরকার বলেও তারা মত দেন। এক্ষেত্রে ভিসা প্রসেসিং সহজতর করারও আহ্বান জানান তারা।
কিছুক্ষেত্রে ‘অন অ্যারাইভাল ভিসা’র ব্যবস্থা রাখা যায় কিনা- সেটিও বিবেচনা করতে সরকারের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন মেলার আয়োজক কর্মকর্তারা।
মেঘালয় পর্যন্ত বাস সার্ভিস চালু হওয়ার জন্য তারা সরকারকে ধন্যবাদ জানিয়ে বলেন, মেঘালয় পর্যন্ত বাস সার্ভিস চালু হয়েছে এবং সেটিও অনেক চেষ্টা করে করা হয়েছে।
সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন বিএফটিডি চেয়ারম্যান এইচ এম হাকিম আলী, বিআইটিএফ নির্বাহী পরিচালক রেজাউল একরাম রাজু, টুয়াব প্রেসিডেন্ট অধ্যাপক ড. আকবর উদ্দিন আহমেদ, হোটেল প্যান-প্যাসিফিক সোনারগাঁওয়ের জেনারেল ম্যানেজার এলড্রিজ জে. ম্যাক এওয়ান, এমসিটিবি সভাপতি সৈয়দ ইশতিয়াক রেজা প্রমুখ।
বাংলাদেশ সময়: ১২০১ ঘণ্টা, মে ১৯, ২০১৫
এসকেএস/এবি