ঢাকা, শুক্রবার, ৭ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২২ নভেম্বর ২০২৪, ২০ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

ফিচার

ফাগুনকে রাঙিয়েছে বঙ্গবন্ধু সেতুর পশ্চিমের পলাশ বাগান

স্বপন চন্দ্র দাস, ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২১২২ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ২৬, ২০২৩
ফাগুনকে রাঙিয়েছে বঙ্গবন্ধু সেতুর পশ্চিমের পলাশ বাগান

সিরাজগঞ্জ: ফাগুনকে রাঙিয়ে তুলেছে বঙ্গবন্ধু সেতু পশ্চিমে গোলচত্বর এলাকার সুসজ্জিত পলাশ বাগান। মুগ্ধতা ছড়িয়ে দিচ্ছে সারিবদ্ধ পলাশ বাগানের রঙিন ফুল।

 

সিরাজগঞ্জ সদর উপজেলার সয়দাবাদ এলাকায় বঙ্গবন্ধু সেতু গোলচত্বরের উত্তরে বঙ্গবন্ধু ইকোপার্কের পাশেই এ সুবিশাল পলাশ বাগান। দক্ষিণে বঙ্গবন্ধু সেতুর পশ্চিম মহাসড়ক, উত্তরে রয়েছে ঢাকা-ঈশ্বরদী রেলপথ। মাঝখানেই এ পলাশ বাগানটি তার সৌন্দর্য ছড়িয়ে দিচ্ছে। কেপিআই এলাকা হওয়ায় পলাশ বাগানের সৌন্দর্য থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন প্রকৃতিপ্রেমীরা।  

তবে বাস বা ট্রেনযোগে ঢাকায় চলাচলের পথে জানালার ফাঁক দিয়ে পলাশ বাগানের সৌন্দর্য উপভোগ করতে পারছেন অনেকে। তবে সর্বসাধারণের জন্য এ পলাশ বাগানটি উন্মুক্ত করে দেওয়ার দাবি প্রকৃতিপ্রেমীদের।

সম্প্রতি সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, বঙ্গবন্ধু সেতু পশ্চিম গোলচত্বরের উত্তরে বিশাল এলাকা জুড়ে বন বিভাগ ও সেতু কর্তৃপক্ষ সবুজ বনায়ন স্থাপন করেছে। এ বনভূমির ভেতরেই রয়েছে সারিবদ্ধ পলাশ বাগান। পলাশ বাগানের উত্তরে রেলসড়ক। রেলসড়কের উত্তরে বঙ্গবন্ধু ইকোপার্ক। আর পার্কের উত্তরপূর্ব দিকে ঢেউ খেলে যাচ্ছে সুবিশাল যমুনা নদী। এদিকে ইকোপার্কের ভেতরেও রয়েছে আরও একটি ছোট পলাশ বাগান। আবার মহাসড়কের দক্ষিণ দিকেও রয়েছে বিশাল বনভূমি। সব মিলিয়ে যমুনা নদীর তীরে অপরূপ সৌন্দর্যের বনায়ন প্রকৃতিপ্রেমীদের দৃষ্টি আকর্ষণ করছে।  

সেতুর সংযোগ সড়কের পাশেই পলাশ বাগানটি মুগ্ধতা ছড়িয়ে দিচ্ছে। বাগানটির দক্ষিণ দিয়ে সড়কপথ ও উত্তরে রয়েছে রেলপথ। উভয়পথের যাত্রীরা জানালা দিয়ে উপভোগ করতে পারেন পলাশ বাগানের সৌন্দর্য।  

বসন্তের শুরুতেই ফুলে ফুলে রঙিন হয়ে ওঠা পলাশ বাগানে ডালে ডালে পাখির কলরব মুখরিত করে তুলেছে। তবে এসব দৃশ্য দূর থেকেই দেখতে হচ্ছে দর্শনার্থীদের। কেপিআই (সংরক্ষিত) এলাকা হওয়ার কারণে এ বাগানে সহজে কোনো দর্শনার্থী প্রবেশ করতে পারছেন না।

বন বিভাগ সূত্র জানা যায়, বঙ্গবন্ধু সেতু পশ্চিমে মহাসড়কের দুই পাশে ৬০০ একর জমি রয়েছে। এর মধ্যে ৫০ একর সেতুর দক্ষিণে সোলার প্যানেল প্রকল্পের জন্য ব্যবহার হচ্ছে। বাকি ৫৫০ একর জমি সম্পূর্ণ বনায়ন করা হয়েছে। আর সেতুর উত্তরে ১৫৪ একর জমিতে বঙ্গবন্ধু ইকোপার্ক স্থাপন হয়েছে। যেখানে প্রতিদিন হাজার হাজার পর্যটক দর্শনীর বিনিময়ে বনের সৌন্দর্য উপভোগ করতে পারেন। ইকোপার্কে হরিণ, বানর, খরগোশসহ বেশ কিছু তৃণভোজী প্রাণীও রয়েছে। ইকোপার্কের দক্ষিণে এবং মহাসড়কের উত্তরেও বিশাল বনভূমি রয়েছে। এছাড়াও মহাসড়কের দক্ষিণে সিরাজগঞ্জ পাওয়ার প্ল্যান্ট পর্যন্ত বিশাল এলাকাজুড়ে বনায়ন করা হয়েছে।  

বঙ্গবন্ধু ইকোপার্কের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. রিপন মিয়া বলেন, যমুনার তীর ঘেঁষে বঙ্গবন্ধু ইকোপার্কসহ মোট সাড়ে ৫০০ একর জমিতে সবুজ বনায়ন গড়ে তোলা হয়েছে। এখানে প্রায় ১৩০ প্রজাতির ওষুধি, ফলজ, বনজ ও শোভাবর্ধন গাছ রয়েছে। এর মধ্যে ইকোপার্কের দক্ষিণে ও মহাসড়কের উত্তরে বিশাল একটি পলাশ বাগান রয়েছে। বসন্তের শুরুতে পলাশ ফুলে রঙিন হয়ে ওঠে বাগানের ওই অংশটি।  

বাংলাদেশ সময়: ২১১৫ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ২৬, ২০২৩
এসআইএ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।