ঢাকা: জমে উঠেছে বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমির জাতীয় পিঠা উৎসব। প্রতিদিন দুপুর থেকেই রাজধানীর আশপাশের এলাকা থেকে পিঠা প্রেমীরা পিঠা উৎসবে আসতে শুরু করে।
ঐতিহ্যগতভাবে যারা পিঠা তৈরি করেন সেই শিল্পীদের নিয়ে এবারের পিঠা উৎসব। পার্বত্য এলাকা থেকে শুরু করে দেশের অঞ্চলের বিভিন্ন ধরনের আদি পিঠার স্থান রয়েছে স্টলগুলোতে। বিবিখানা, জামাই আদর, ডিম সুন্দরী, ক্ষ্যাতাপুরী, ক্ষীর পাটিসাপটা, নারিকেল গুড়ের পুলিপিঠা, খেজুর গুড়ের পিঠা, সাংগ্রাই মুং, আদিবাসীদের কলা পাতার পিঠা, কালো বিন্নি চালের পায়েস, চালের ছোট রুটির সঙ্গে পুর সবজি, ছিটা পিঠাসহ নানা ধরনের আদি পিঠার পসরা নিয়ে বসেছেন শিল্পীরা।
সন্ধ্যায় আলোর ঝলকানিতে গরম গরম ধোয়া ওঠা পিঠার সঙ্গে লোক সাংস্কৃতিক পরিবেশনা সঙ্গীত ও নৃত্য উপভোগ করেন আগত পিঠাপ্রেমী ও দর্শকরা।
মেলার অপরপ্রান্তে চিত্রশালার সামনে রয়েছে শিশু ও বয়স্কদের বিনোদনের জন্য চড়কগাছ, দোল খাওয়া নৌকা, শিশুদের ট্রেন ও জাম্পিং প্যাড। পাশেই বিক্রি হচ্ছে বেলুন, বাঁশিসহ অন্যান্য খেলার সরঞ্জাম। সেই সঙ্গে ফুসকা চটপটির দোকান।
মিরপুর থেকে পিঠা উৎসবে এসে শাম্মীসহ তার বন্ধুরা কয়েকজন পিঠা খাচ্ছিলেন। তারা বলেন, ঘরে তো সবাই আমরা কম বেশি পিঠা তৈরি করে খাই কিন্তু শিল্পকলা এসে বন্ধুদের নিয়ে পিঠা খাওয়ার মজাই আলাদা।
ক্লাস সিক্সে পড়েন ইকরা হোসেন। বাবা-মার সঙ্গে ঘুরতে এসেছেন পিঠা উৎসবে। তিনি বলেন, আমাদের ঘোরার ও খেলার জায়গা নেই তাই আব্বু-আম্মু প্রত্যেক বছর এখানে নিয়া আসেন। অনেক আনন্দ লাগে।
মাদারীপুর থেকে আগত পিঠা শিল্পী সুলতানা লাকি বলেন, এবারে আমাদের স্টলে বিক্রি গতবারের চেয়ে ভালো। প্রথমদিন বৃষ্টি হওয়ায় ভয় পেয়ে গিয়েছিলাম। কিন্তু এই কয়েকদিন পিঠা প্রেমীদের আগমনও বেশি তাই সবার বেচাকেনা ও বেশি।
শিল্পকলার পিঠা উৎসবের মাঠ ঘুরে দেখা যায়, পুরো একাডেমি প্রাঙ্গণে ৫০টি স্টল বসেছে আর সবগুলো স্টলেই ছিল ভিড়। বিক্রিও ভালো হচ্ছে। তবে কোনো স্টলের পাশে তাদের নিজস্ব ময়লা ফেলার ডাস্টবিন না থাকায় পিঠা খেয়ে দর্শনার্থী দোকানের সামনেই ফেলে দিয়ে পরিবেশ নষ্ট করছে।
বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমির আয়োজনে সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের পৃষ্ঠপোষকতায় মেলা শুরু হয় ৩১ ডিসেম্বর চলবে ১০ ফেব্রুয়ারি।
বাংলাদেশ সময়: ১৯৪৮ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ০৬, ২০২৪
আরআইএস