ঢাকা: রাজধানীর গুলিস্তানে ফুলবাড়িয়া বাসস্ট্যান্ডের বিপরীতে সিদ্দিক বাজার এলাকায় একটি ভবনে বিস্ফোরণের ঘটনায় মারা গেছেন ১১ জন। শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত ৭০ জনের বেশি মানুষ আহত হয়ে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে (ঢামেকে) ভর্তি আছে।
মঙ্গলবার (৭ মার্চ) বিকেল ৫টায় সিদ্দিক বাজার এলাকায় বিস্ফোরণের ঘটনাটি ঘটে। এর আগে গত (৫ মার্চ) রাজধানীর সাইন্সল্যাব এলাকার একটি ভবনে বিস্ফোরণ হয়। এ ঘটনায় নিহত হন তিনজন, আহত হন ১৪ জন।
আজকের ঘটনা নিয়ে জানতে চাইলে নগর পরিকল্পনাবিদ অধ্যাপক আকতার মাহমুদ খান বাংলানিউজকে বলেন, বছরের এ সময়ে নানা জায়গায় এ ধরণের ঘটনা ঘটছে। আমার কাছে মনে হয়, যে বিল্ডিংগুলো আমরা করছি সেখানে অনেক বেশি এসির ব্যবহার হচ্ছে। চারদিকে বন্ধ করে এসি চালানোর যে ব্যবস্থা, তাতে করে ভেতরে গ্যাস তৈরি হচ্ছে। যদি ভেতরে গ্যাসের লিকেজ থাকে, সেটি আটকে যায়। ফলে যেকোনো সময় আগুন জ্বালালে অথবা বোর্ডের সুইচ দিলে বিস্ফোরণ ঘটে।
জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের নগর ও অঞ্চল পরিকল্পনা বিভাগের এ শিক্ষক বলেন, এসি বা এ জাতীয় পণ্য ব্যবহারকারীদের এসব বিষয়ে বিরাট সচেতনতার বিষয় আছে। গ্যাসের লিকেজ হয় বা হচ্ছে; অনেক সময় বোঝা যায় আবার অনেক সময় যায় না। কিন্তু বিষয়গুলো নজরে রাখা দরকার। সরকারি লাইনের বাইরে যে গ্যাসের লাইন আছে সেগুলোয় প্রচুর লিকেজ বা ত্রুটি থাকে। এসব গ্যাস লাইনের নির্ভরযোগ্য নকশা যেমন প্রয়োজন; তেমনি যারা লাইন দিচ্ছেন তাদেরও বিষয়গুলো নিয়মিতভাবে পরিদর্শন করা জরুরি।
তিনি বলেন, বিল্ডিং ডিজাইনেও পরিবর্তন আনা দরকার। আমরা একেবারে একটা ট্রপিক্যাল রিজিওনে থাকি, এখানে আলো-বাতাস আছে। কিন্তু আমরা সব বিল্ডিংকে এমনভাবে তৈরি করছি যেখানে আলো-বাতাস ঢোকার সুযোগ দেওয়া হচ্ছে না। বিল্ডিংয়ের গায়ে গায়ে লাগোয়া বিল্ডিং করা হয়েছে। এর সঙ্গে যোগ হচ্ছে নিম্নমানের বৈদ্যুতিক সংযোগ, গ্যাস লাইনের সমস্যা। এ অবস্থায় জনগণের সচেতনতা ও সঠিক বিল্ডিং রেগুলেশন ছাড়া কোনোভাবেই বন্ধ করা যাবে না।
বাংলাদেশ সময়: ১৯৫২ ঘণ্টা, মার্চ ৭, ২০২৩
এমকে/এমজে