কক্সবাজার: কক্সবাজারের রোহিঙ্গা ক্যাম্পে আরাকান রোহিঙ্গা স্যালভেশন আর্মির (আরসা) সদস্যদের কাছে অস্ত্র সরবরাহকারীসহ তিনজনকে আটক করেছে র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র্যাব)। এ সময় তাদের কাছ থেকে তিনটি এক নলা ও একটি দোনলা বন্দুক এবং অস্ত্র বিক্রির নগদ এক লাখ ৫ হাজার ৭০০ টাকা উদ্ধার করা হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (৬ এপ্রিল) সকালে কক্সবাজারের চকরিয়ার বড় ভেওলা এলাকায় অভিযান চালিয়ে আগ্নেয়াস্ত্রসহ তাদের আটক করা হয়।
আটক তিনজন হলেন- মোক্তার আহমদ (৫২), আব্দুর রহিম (৪০), মো. এনামুল হক (৩৮)। এরা তিনজন মহেশখালী ও চকরিয়ার বাসিন্দা।
কক্সবাজারের র্যাব-১৫ এর কার্যালয়ে বিকেল ৩টায় আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল সাইফুল ইসলাম সুমন জানিয়েছেন, সম্প্রতি কক্সবাজারের রোহিঙ্গা ক্যাম্পগুলোতে আগ্নেয়াস্ত্রের উৎস বিষয়ে র্যাবের গোয়েন্দা তৎপরতা বাড়ানো হয়। মহেশখালী থেকে অস্ত্র বিক্রেতারা সিএনজিচালিত অটোরিকশায় উখিয়া রোহিঙ্গা ক্যাম্পের আরসার সদস্যদের জন্য অস্ত্র নিয়ে যাচ্ছেন। এমন তথ্যের ভিত্তিতে ভেওলায় তল্লাশি অভিযান চালানো হয়। অভিযানে একটি সিএনজিচালিত অটোরিকশা র্যাবের চেকপোস্টের সামনে পৌঁছালে র্যাব সদস্যরা থামার সংকেত দেওয়ার সঙ্গে সঙ্গে তিনজন দৌড়ে পালানোর চেষ্টা করে। এ সময় অটোরিকশাচালকসহ তিনজনকে আটক করা হয়। পরে অটোরিকশায় তল্লাশি চালিয়ে তাদের কাছে চারটি আগ্নেয়াস্ত্র ও অস্ত্র বিক্রির টাকা উদ্ধার করা হয়েছে।
তিনি জানান, আটক তিনজন জিজ্ঞাসাবাদে স্বীকার করেছেন তারা দীর্ঘদিন ধরে মহেশখালী ও চকরিয়া এলাকায় অবৈধ অস্ত্রের ব্যবসা করছেন। এছাড়াও রোহিঙ্গা ক্যাম্পে আরসার সন্ত্রাসী গ্রুপের সদস্যসহ বিভিন্ন দুষ্কৃতিকারীদের কাছে নিয়মিত অস্ত্র সরবরাহও করছেন তারা।
আটক তিনজনের মধ্যে মোক্তার আরসার অস্ত্র সরবরাহকারীদের মূল হোতা। তিনজনের নামে মামলা দিয়ে চকরিয়া থানায় সোপর্দ করার প্রক্রিয়া চলছে বলেও জানান লেফটেন্যান্ট কর্নেল সাইফুল।
বাংলাদেশ সময়: ১৯৫০ ঘণ্টা, এপ্রিল ০৬, ২০২৩
এসবি/আরআইএস