ঢাকা, রবিবার, ১ পৌষ ১৪৩১, ১৫ ডিসেম্বর ২০২৪, ১২ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

জাতীয়

সেপ্টেম্বরে ঢাকায় কমনওয়েলথ ট্রেড অ্যান্ড ইনভেস্টমেন্ট ফোরাম

সিনিয়র করেসপেন্ডন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৫৪৪ ঘণ্টা, জুন ১১, ২০২৩
সেপ্টেম্বরে ঢাকায় কমনওয়েলথ ট্রেড অ্যান্ড ইনভেস্টমেন্ট ফোরাম

ঢাকা: চলতি বছর সেপ্টেম্বর ঢাকায় অনুষ্ঠিত হবে কমনওয়েলথ ট্রেড অ্যান্ড ইনভেস্টমেন্ট ফোরাম। বাংলাদেশে প্রথমবারের মতো এ আয়োজন হচ্ছে।

রোববার (১১ জুন) হোটেল ইন্টারকন্টিনেন্টালে এক সংবাদ সম্মেলনে কমনওয়েলথ এন্টারপ্রাইজ অ্যান্ড ইনভেস্টমেন্ট কাউন্সিল (সিডব্লিউইআইসি) এ তথ্য জানায়।

সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, এ আয়োজনে যুক্তরাষ্ট্রসহ কমনওয়েলথভুক্ত বেশ কিছু দেশ উপস্থিত থাকবে। এর আগে যুক্তরাজ্য, সিঙ্গাপুর, কেনিয়া, রুয়ান্ডা, মাল্টায় ইনভেস্টমেন্ট ফোরাম আয়োজিত হয়।

বাংলাদেশে প্রথমবারের মতো এ আয়োজন হওয়ায় সাম্প্রতিক উন্নয়ন কর্মকাণ্ড তুলে ধরার সুযোগ হবে। পাশাপাশি কমনওয়েলথভুক্ত দেশগুলোর স্ব স্ব অভিজ্ঞতাও জানা যাবে। সিডব্লিউইআইসি’র কৌশলগত উপদেষ্টা জিল্লুর রহমান এ কথা বলেন।

তিনি আরও বলেন, এ ফোরামের মাধ্যমে দেশগুলো নিজেদের অর্থনৈতিক অর্জনগুলোর পাশাপাশি নিজেদের মধ্যকার চ্যালেঞ্জগুলোও তুলে ধরবে।

সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন প্রধানমন্ত্রীর বেসরকারি শিল্প ও বিনিয়োগ উপদেষ্টা সালমান এফ রহমান। স্বাধীনতা পরবর্তী বাংলাদেশে গৃহীত উন্নয়নের চিত্র তুলে ধরে তিনি বলেন, বাংলাদেশ নারী ক্ষমতায়ন, শিশু মৃত্যু হার কমিয়ে আনার মতো উন্নয়ন হয়েছে। অবকাঠামো গত উল্লেখযোগ্য উন্নয়ন হয়েছে। এখনো এ উন্নয়ন কর্মকাণ্ড চলমান। বিশেষ করে পল্লী অঞ্চলে উন্নতি হয়েছে। যেখানে আধুনিক তথ্য প্রযুক্তি সেবা পৌঁছে দেওয়ার মাধ্যমে জীবন মানের উন্নয়ন হয়েছে।  

মুক্তিযুদ্ধের পর স্বাধীনতাপ্রাপ্ত বাংলাদেশ যখন কমনওয়েলথে যোগদান করে, তখন যুদ্ধ বিধ্বস্ত অর্থনীতি-অবকাঠামো নিয়ে ঘুরে দাঁড়ানোর লড়াই করছিল। সময়ের সাথে সাথে বাংলাদেশ অর্থনৈতিক বিভিন্ন সূচকে ব্যাপক উন্নয়ন সাধন করেছে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার যোগ্য নেতৃত্বে বাংলাদেশ ২০২৬ সালে মধ্যম আয়ের দেশে উন্নীত হচ্ছে। এই জাতির কঠোর পরিশ্রমের মাধ্যমে এই অর্জন সম্ভব হয়েছে। পাশাপাশি ছিল কমনওয়েলথ সদস্যদের মতো উন্নয়ন অংশীদারদের সমর্থন।

যুক্তরাজ্যের হাউজ অব লর্ডসের সদস্য এবং কমনওয়েলথ এন্টারপ্রাইজ অ্যান্ড ইনভেস্টমেন্ট কাউন্সিলের ডেপুটি চেয়ারম্যান লর্ড সোয়ার কেসিএমঞ্জি বলেন, বাংলাদেশি কোম্পানিগুলোর জন্য কমনওয়েলথ ৫৬টি দেশের মধ্যে অপার সম্ভাবনা অন্বেষণ ও তা কাজে লাগানের একটি বিশাল সুযোগ তৈরি করেছে।

বাংলাদেশ সময়: ১৫৪৩ ঘণ্টা, জুন ১১, ২০২৩
জেডএ/এমজে

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।