গাইবান্ধা: কোরবানি দেওয়ার সামর্থ্য নেই রিকশা চালক বাবার। তাই দিনভর মানুষের বাড়ি-বাড়ি ঘুরে মাংস নিয়ে ফিরলেও খাওয়া হলো না আট বছরের মমিনুরের।
বৃহস্পতিবার (২৯ জুন) বিকেলে জেলার সাদুল্লাপুর উপজেলার খোর্দ্দকোমরপুর ইউনিয়নের ছোট দৌলতপুর গ্রামে বাড়ির পাশের পুকুর থেকে শিশুটির মরদেহ উদ্ধার করে স্বজনরা। মমিনুর এ গ্রামের সুরুজ মিয়ার ছেলে।
সুরুজ মিয়া জানান, সকালে বাবা-ছেলে একসঙ্গে স্থানীয় ঈদগাহ মাঠে নামাজ আদায় করেছেন। বাড়ি ফিরে মমিনুর ব্যাগ হাতে অন্যান্য শিশুদের সঙ্গে বের হয় কোরবানির মাংস সংগ্রহের জন্য।
দিনভর মানুষের দুয়ারে-দুয়ারে ঘুরে মাংস নিয়ে দুপুরের পর বাড়ি ফেরে শিশুটি। মাকে সেই মাংস রান্না করতে দিয়ে পাশের পুকুরে গোসল করতে যায় মমিনুর। এরপর দীর্ঘ সময় পেরিয়ে গেলেও বাড়ি ফিরে না সে। পরে ছেলের খোঁজে বের হয় তার মা। খোঁজাখুঁজির একপর্যায়ে পুকুর থেকে শিশুটির ভাসমান মরদেহ উদ্ধার করে স্বজনরা।
বিষয়টি নিশ্চিত করে খোর্দ্দকোমরপুর ইউনিয়ন পরিষদ (ইউপি) সদস্য আতোয়ার রহমান বলেন, ঘটনাটি অত্যন্ত বেদনাদায়ক। মমিনুর বাক প্রতিবন্ধী হওয়ায় কিছুদিন আগে তাকে একটি ভাতা কার্ড দেওয়া হয়। সেই সুবিধাও ভোগ করতে পারল না শিশুটি।
বাংলাদেশ সময়: ০৮৩০ ঘণ্টা, জুন ৩০, ২০২৩
এসআইএ