ঢাকা: রাজনীতির নামে বাংলাদেশে যা ঘটছে এবং ঘটে তার স্থায়ী সমাধানে রাষ্ট্রের অভিভাবক রাষ্ট্রপতিকে উদ্যোগ নিতে হবে বলে মত দিয়েছেন সুশাসনের জন্য নাগরিক (সুজন) সম্পাদক ড. বদিউল আলম মজুমদার।
শনিবার (৭ ফেব্রুয়ারি) সকালে ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশনে জাতীয় ঐক্য প্রক্রিয়ার ব্যানারে ‘জাতীয় সংকটে জাতীয় সংলাপ’ শীর্ষক গোলটেবিলে বৈঠকে তিনি এ মত দেন।
ড. শাহদীন মালিকের সঞ্চালনায় এ গোলটেবিল বৈঠকে সভাপতিত্ব করেন সাবেক তত্ত্বাবধায়ক সরকারের উপদেষ্টা এম হাফিজ উদ্দিন আহমেদ।
তিনি বলেন, রাজনীতির নামে বর্তমান সংকটের স্থায়ী সমাধান একমাত্র রাষ্ট্রের অভিভাবক রাষ্ট্রপতিই করতে পারেন।
ড. বদিউল আলম মজুমদার বলেন, বলেন, রাষ্ট্রে স্থায়ী সমাধানে জাতীয় সনদপত্র প্রণয়ন করা প্রয়োজন। তিনটি ক্ষেত্রে আমাদের সবাইকে একমত হতে হবে।
নিরপেক্ষ সরকার গঠন প্রয়োজন। তাতে নির্বাচন কমিশনকে নিরপেক্ষ করতে হবে। এ নির্বাচন কমিশন নির্বাচনকালীন আইন-কানুন যুগোপযোগী করবে।
নিরপেক্ষ সরকার সংক্রান্ত সংবিধানের অসঙ্গতি দূর করে দেশের সকল মানুষের অধিকার নিশ্চিত করতে হবে।
এ তিন ক্ষেত্রে জাতীয় সনদপত্র করতে রাষ্ট্রপতি উদ্যোগ নিলে সমাধান হবে।
সিভিল সোসাইটির মাধ্যমে সংলাপের উদ্যোগ নিলে তাও ফলফসূ হবে কি-না তা নিয়ে সংশয় প্রকাশ করেন তিনি।
তিনি বলেন, সংলাপের কোনো পরিবেশ নেই। কিন্তু রাজনৈতিক সংকট রাজনৈতিকভাবেই সমাধান করতে হবে। সেক্ষেত্রে সংলাপের বিকল্প নেই।
মৃত্যুর মিছিল বাড়ছে। পেট্রোল বোমা ও বিচার বর্হিভূর্ত হত্যাকাণ্ড আর নয়। এ ধরনের ঘটনা যারা ঘটাচ্ছে তা বন্ধ করতে আইনের মাধ্যমে সমাধানের মতও দেন তিনি।
ডাকসুর সাবেক জিএস ডা. মুশতাক হোসেন বলেন, বর্তমান সংকট সমাধান ও সংলাপের জন্য খালেদা জিয়াকে এ মূর্হুতে কর্মসূচি প্রত্যাহার করা প্রয়োজন।
তিনি বলেন, আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীকে ‘হত্যা’ বন্ধ করতে হবে। সকল রাজনৈতিক নেতাদের মুক্তি দিতে হবে। দীর্ঘদিন নয়, ছয় মাসের মধ্যে সংলাপ শেষ করতে হবে।
এ ছয় মাসের মধ্যে কোনো কর্মসূচি দেওয়া হবে না বলে সরকার ও বিএনপি ঐকমত্যে পৌঁছালে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আসবে।
** সংকট চলতে থাকলে জঙ্গিবাদ মাথাচাড়া দেবে
** পঞ্ঝদম সংশোধনী সহিংসতার মূল কারণ
** সবার অংশগ্রহণে স্থায়ী সমাধান প্রয়োজন
** সিভিল সোসাইটি নিয়ে পরোক্ষ সংলাপই সমাধান
বাংলাদেশ সময়: ১৩০৫ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ০৭, ২০১৫