ঢাকা, সোমবার, ১৫ পৌষ ১৪৩১, ৩০ ডিসেম্বর ২০২৪, ২৭ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

জাতীয়

‘চাকরিতে প্রতিবন্ধী কোটা বাতিল হয়নি’

স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২২২৭ ঘণ্টা, জানুয়ারি ২১, ২০১৯
‘চাকরিতে প্রতিবন্ধী কোটা বাতিল হয়নি’ মন্ত্রিসভার প্রথম বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়

ঢাকা: সরকারি চাকরিতে প্রতিবন্ধী ব্যক্তিদের জন্য কোটা যা ছিল তাই থাকবে বলে জানিয়েছেন মন্ত্রিপরিষদ সচিব মোহাম্মদ শফিউল আলম।

সোমবার (২১ জানুয়ারি) মন্ত্রিসভার বৈঠকে প্রতিবন্ধী বিষয়ক জাতীয় কর্ম-পরিকল্পনার খসড়া অনুমোদনের পর মন্ত্রিপরিষদ সচিব এ তথ্য জানান।  

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে এদিন তেজগাঁওয়ে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে নতুন সরকারের মন্ত্রিসভার প্রথম বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়।

বৈঠকে ‘প্রতিবন্ধী ব্যক্তির অধিকার ও সুরক্ষা আইন, ২০১৩’ এবং ‘প্রতিবন্ধী ব্যক্তির অধিকার ও সুরক্ষা বিধিমালা, ২০১৫’ এর আলোকে প্রতিবন্ধী বিষয়ক জাতীয় কর্ম-পরিকল্পনার খসড়া অনুমোদন দেওয়া হয় বলে জানান মন্ত্রিপরিষদ সচিব।

কর্ম-পরিকল্পনায় সরকারি চাকরিতে প্রতিবন্ধীদের জন্য কোটা বহালের আলোচনা হয়েছে কি-না, জানতে চাইলে মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেন, এটা আলোচনা হয়নি। তবে আইনে যে প্রবিশন আছে সেটা কার্টেল (বাতিল) হয় নাই। আমাদের অ্যাডমিনিস্ট্রিভ অর্ডার (প্রশাসনিক আদেশ) দিয়ে আইন কখনও সুপারসিট (অতিক্রান্ত) হয় না।

গতবছরের কোটা আন্দোলনের পর ৩ অক্টোবর সরকারি চাকরিতে প্রথম ও দ্বিতীয় শ্রেণীর পদে সব কোটা বাতিল করে মেধার ভিত্তিতে নিয়োগের সিদ্ধান্ত নেয় মন্ত্রিসভা। এর আগে মন্ত্রিপরিষদ সচিবকে আহ্বায়ক করে কোটা পর্যালোচনায় একটি কমিটি গঠন করা হয়েছিল। সেই কমিটির প্রধান ছিলেন মন্ত্রিপরিষদ সচিব মোহাম্মদ শফিউল আলম।

ওই সময় মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেছিলেন, প্রথম ও দ্বিতীয় শ্রেণীর চাকরিতে কোটা বাতিল হলেও সময়ের প্রেক্ষাপটে কোন প্রয়োজন দেখা দিলে কোন অনগ্রসর জনগোষ্ঠীর জন্য কোটার প্রয়োজন দেখা দিলে বা কোটার অপরিহার্যতা দেখা দিলে সরকার ব্যবস্থা নিতে পারবে। আর তৃতীয় ও চতুর্থ শ্রেণীতে যে ব্যবস্থা আছে তা বহাল আছে।

মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেন, আমাদের অংশটুকু ছিল প্রশাসনিক ব্যবস্থাপনা।

তাহলে প্রতিবন্ধীদের জন্য কোটা থাকবে কিনা- প্রশ্নে তিনি বলেন, অ্যাজ ইট ইজ আছে, যা ছিল তাই আছে।

কত শতাংশ কোটা আছে- প্রশ্নে তিনি বলেন, বিভিন্ন জায়গায় বিভিন্ন কোটা ছিল।

কর্ম-পরিকল্পনার বিষয়ে মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেন, আইন বা বিধিমালার আলোকে গাইডলাইন দেওয়া হয়েছে। প্রবেশগম্যতা বা অ্যাক্সেসিবিলিটি অর্থাৎ প্রতিবন্ধীরা যে চলাফেলা করবেন তারা কোন জায়গায় কীভাবে যাবেন সেটা নিয়ে অনেকগুলো বিষয় রাখা আছে।

প্রবেশগম্যতা যেমন- ভৌত অবকাঠামো, পরিবহন ও যোগাযোগসহ জনসাধারণের প্রাপ্য সব সুবিধা ও সেবাগুলো অন্যদের মতো সম-সুযোগ ও প্রতিবন্ধীদের জন্য ব্যবহার উপযোগী নিশ্চিত করা।

‘যেমন- বাসে আজ কাল প্রতিবন্ধীরা উঠতে গেলে একজন টেনে তুলতে হবে বা ল্যাডার লাগাতে হবে। অন্য দেশে দেখবেন যে, বাস বে’র সঙ্গে সেইম লেবেল, হুইল চেয়ার দিয়ে উঠে যেতে পারে। আমাদের আস্তে আস্তে ওই বিষয়গুলোর মধ্যে যেতে হবে, এ বিষয়গুলো এখানে আছে। অর্থাৎ গণপরিবহন প্রতিবন্ধী ব্যক্তির ব্যবহার উপযোগী করার নির্দেশনা আছে, এটা করতে হবে। ’

ভবনগুলো বাংলাদেশ ন্যাশনাল বিল্ডিং কোড, ২০০৬’ এর বিধানগুলো কার্যকর করা বলে জানান মন্ত্রিপরিষদ সচিব।

তিনি বলেন, সব গণস্থাপনা ভবন, শিক্ষা ও প্রশিক্ষণ প্রতিষ্ঠান, হাসপাতাল, আদালত, পুলিশ স্টেশন, আইনি সহায়তা কেন্দ্র, রেল স্টেশন, বাস ও লঞ্চ টার্মিনাল, বিমান বন্দর, নৌ ও স্থল বন্দর, দুর্যোগকালীন আশ্রয় কেন্দ্র, সাইক্লোন সেল্টার, সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান স্থল, ধর্মীয় প্রতিষ্ঠান, উড়াল সেতু, পরিষেবার স্থান, বিনোদন ও খেলাধুলার স্থানসহ সব জায়গায় কার্যকর করা হবে।

‘বিমানে আই-চেয়ার, কেবিন চেয়ারের ব্যবস্থা রাখা, দুর্যোগকালীন আশ্রয় কেন্দ্র ও সাইক্লোন সেল্টার শিশু ও দুগ্ধ কন্যার প্রবেশগম্য টয়লেট ইত্যাদি রাখার পরিকল্পনা রাখা হয়েছে। এগুলো ধীরে ধীরে বাস্তবায়ন করা হবে। ’

বাংলাদেশ সময়: ১৭২৪ ঘণ্টা, জানুয়ারি ২১, ২০১৯
এমআইএইচ/জেডএস

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।