ঢাকা, রবিবার, ১৪ পৌষ ১৪৩১, ২৯ ডিসেম্বর ২০২৪, ২৬ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

জাতীয়

কীর্তনখোলায় দুর্ঘটনাকবলিত যাত্রীরা বিকল্প নৌযানে ঢাকার পথে 

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০৭২১ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ১৫, ২০১৯
কীর্তনখোলায় দুর্ঘটনাকবলিত যাত্রীরা বিকল্প নৌযানে ঢাকার পথে 

বরিশাল: বরিশালের কীর্তনখোলা নদীতে দুর্ঘটনাকবলিত এমভি শাহরুখ-২ লঞ্চের যাত্রীরা বিকল্প নৌযানে গন্তব্য ঢাকার উদ্দেশ্যে যাত্রা করেছে।

শনিবার (১৪ ডিসেম্বর) রাত সোয়া ১২টার দিকে এমভি পূবালী-১ লঞ্চে তারা ঢাকার পথে যাত্রা করে। বরিশাল নদী বন্দর কর্মকর্তা ও বিআইডব্লিউটিএ’র নৌ-নিরাপত্তা ও ট্রাফিক ব্যবস্থাপনা বিভাগের উপ-পরিচালক আজমল হুদা মিঠু সরকার বাংলানিউজকে এ ব্যাপারে নিশ্চিত করে।

আজমল হুদা জানান, শনিবার রাতে প্রায় সাড়ে ৩শ’ যাত্রী নিয়ে বরগুনা থেকে ঢাকার উদ্দেশ্যে যাচ্ছিল এমভি শাহরুখ-২ লঞ্চটি। পথে বরিশাল নদীবন্দর সংলগ্ন কীর্তনখোলা নদী দিয়ে যাওয়ার সময় বিপরীত দিক থেকে আসা এমভি হাজী মো. দুদু মিয়া (রাঃ)-১ নামের একটি কার্গোর সঙ্গে এটির মুখোমুখি সংঘর্ষ হয়। এতে লঞ্চের সামনের অংশের তলা ফেটে যায় ও সিমেন্ট তৈরির কাঁচামালবাহী (ক্লিংকার) কার্গোটি নদীতে ডুবে যায়।

এ ঘটনায় ঝুঁকি এড়াতে তাৎক্ষণিকভাবে চরকাউয়া খেয়াঘাট সংলগ্ন কীর্তনখোলা নদীতীরে নোঙ্গর করে লঞ্চের যাত্রীদের নামিয়ে দেওয়া হয়।

ঘটনার পরপরই বিআইডব্লিউটিএ, নৌ-পুলিশ, কোস্টগার্ড, ফায়ার সার্ভিস, মেট্রোপলিটন পুলিশ, সিটি করপোরেশন ও জেলা প্রশাসনের কর্মকর্তারা ঘটনাস্থলে যান ও উদ্ধারকাজসহ সার্বিক কার্যক্রম পরিচালনা করেন। এ ঘটনায় এখন পর্যন্ত কোনো হতাহত বা নিখোঁজের খবর পাওয়া যায়নি বলে জানান আজমল হুদা।

তিনি আরও জানান, এ ঘটনার পর এমভি শাহরুখ-২ লঞ্চের যাত্রীদের নিরাপত্তাসহ সার্বিক দিক বিবেচনা করে বরগুনা থেকে ঢাকাগামী এমভি পূবালী-১ নামক অপর একটি লঞ্চে তাদের তুলে দেওয়া হয়।

দুর্ঘটনার ব্যাপারে বিস্তারিত জানতে চাইলে এ কর্মকর্তা বলেন, কার্গোর মাস্টারকে পাওয়া গেলেও লঞ্চের মাস্টারের সঙ্গে এখনো যোগাযোগ করা যায়নি। উভয়ের কাছ থেকে তথ্য পেলেই কী কারণে দুর্ঘটনা ঘটেছে তা জানা যাবে। এ ঘটনায় দোষীদের বিরুদ্ধে সর্বোচ্চ আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে জানান তিনি।  

এ ব্যাপারে বরিশাল সদর নৌ-থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) রেজাউল ইসলাম জানান, লঞ্চের যাত্রীদের মধ্যে কারো হতাহত বা নিঁখোজ হওয়ার খবর পাওয়া যায়নি। কার্গোটির ১১ আরোহীর কেউ নিঁখোজ হয়েছেন বলেও এখন পর্যন্ত জানা যায়নি। তবে কার্গোর ৪ স্টাফকে উদ্ধারের পর পুলিশি হেফাজতে রাখা হয়েছে।

এদিকে এ ঘটনার খবর জানতে পেরে বরিশাল সিটি করপোরেশনের মেয়র সেরনিয়াবাত সাদিক আব্দুল্লাহ ঘটনাস্থলে যান ও দুর্ঘটনাকবলিত লঞ্চের যাত্রীদের খোঁজখবর নেন। তিনি দুর্ঘটনাকবলিত লঞ্চের যাত্রীদের নিরাপত্তাসহ সার্বিক বিষয়ে সহায়তা করতে সংশ্লিষ্টদের নির্দেশ দেন।

রাতের বেলা যাত্রীবাহি নৌ-রুটে বাল্কহেড কার্গো চলাচলের নিয়ম নেই। তারপরও কীভাবে তারা চলছে এ বিষয়টি খতিয়ে দেখার পাশাপাশি দোষীদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়ার জন্য সুপারিশ করা হবে বলে জানান মেয়র।  

বাংলাদেশ সময়: ০২২০ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ১৫, ২০১৯
এমএস/এইচজে

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।