ঢাকা, রবিবার, ২৩ ভাদ্র ১৪৩১, ০৮ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ০৪ রবিউল আউয়াল ১৪৪৬

জাতীয়

নওগাঁয় প্রতারক চক্রের মূলহোতা আটক

ডিস্ট্রিক্ট করেসেপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১১৩৩ ঘণ্টা, এপ্রিল ২৫, ২০২২
নওগাঁয় প্রতারক চক্রের মূলহোতা আটক

নওগাঁ: নওগাঁযর পত্নীতলা থেকে পানি উন্নয়ন বোর্ডের অফিস সহায়ক পদে চাকরির ভুয়া নিয়োগপত্র দিয়ে লাখ টাকা হাতিয়ে নেওয়া প্রতারক চক্রের মূলহোতা ইমরান হোসেনকে আটক করা হয়েছে।

রোববার (২৪ এপ্রিল) সন্ধ্যায় থানা পুলিশ ও এনএসআই যৌথ অভিযান চালিয়ে উপজেলার নজিপুর নতুনহাট সংলগ্ন ঠুকনিপাড়ার তার নিজ বাসা থেকে তাকে আটক করা হয়।

আটক ইমরান হোসেন ওই এলাকার ফয়েজ উদ্দিনের ছেলে।

সোমবার (২৫ এপ্রিল) সকালে জেলা জাতীয় গোয়েন্দা সংস্থা এনএসআই থেকে এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।

সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, কিছুদিন আগে পানি উন্নয়ন বোর্ড কার্যালয় থেকে তথ্য আসে, অফিস সহায়ক পদে চাকরি দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়ে ভুয়া নিয়োগপত্র দিয়ে নওগাঁ ও বগুড়া জেলার প্রায় ১০ থেকে ১১ জনের কাজ থেকে জনপ্রতি দেড় থেকে আড়াই লাখ টাকা হাতিয়ে নিয়েছে একটি চক্র। পরে এই চক্রের সদস্যদের চিহ্নিত করে দীর্ঘদিন নজরদারিতে রাখা হয়। পরবর্তীকালে সুনির্দিষ্ট তথ্যের ভিত্তিতে রোববার সন্ধ্যায় অভিযান চালিয়ে এই চক্রের মূল হোতা ইমরানকে আটক করা হয়।

সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে আরও জানানো হয়, চক্রের অপর মূলহোতা দিনাজপুর জেলার নাগরবাড়ি বিরলের রফিকুল ইসলামের ছেলে মাহফিজুল ইসলাম (২৬) নিজেকে পানি উন্নয়ন বোর্ডের অতিরিক্ত মহাপরিচালক (পরিকল্পনা) মো. দেলোয়ার হোসেনের ব্যক্তিগত সচিব দাবি করে উক্ত চক্রের কার্যক্রম পরিচালনা করতেন এবং নওগাঁর পত্নীতলা উপজেলার নজিপুরের ছাইদুর রহমানের মেয়ে মিফতাহুল জান্নাত মধ্যস্ততাকারী হিসেবে কাজ করতো। তারা বর্তমানে পলাতক রয়েছেন।

এ বিষয়ে পত্নীতলা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শামসুল আলম শাহ বাংলানিউজকে জানান, গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে পুলিশ ও এনএসআই সেখানে যৌথ অভিযান পরিচালনা করে। এই চক্রের মূল হোতা ইমরানকে আটক করা হয়। আটকের পর তার বিরুদ্ধে পত্নীতলা থানা মামলা দায়ের করা হয়েছে এবং আসামিকে আদালত পাঠানোর প্রস্তুতি চলছে।

বাংলাদেশ সময়: ১১২৮ ঘণ্টা, এপ্রিল ২৫, ২০২২
এনটি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।