ঢাকা: রাজধানীর কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে সর্বস্তরের মানুষের শ্রদ্ধা নিবেদন এবং বাদ জোহর ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় (ঢাবি) কেন্দ্রীয় মসজিদে দ্বিতীয় নামাজে জানাযা শেষে সাবেক অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিতের মরদেহ নিয়ে ফ্রিজিংভ্যান সিলেটের উদ্দেশ্যে রওনা দিয়েছে।
শনিবার (৩০ এপ্রিল) দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে সাবেক এই অর্থমন্ত্রীর মরদেহ কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে পৌঁছায়।
শহীদ মিনারে শ্রদ্ধা নিবেদন শেষে দুপুর সোয়া একটার দিকে তার মরদেহ নেওয়া হয় ঢাবি কেন্দ্রীয় মসজিদে। সেখানে বাদ যোহর দ্বিতীয় নামাজে জানাজা অনুষ্ঠিত হয়। এরপর মরদেহ সড়ক পথে সিলেট নেওয়া হচ্ছে। রোববার (১ মে) সেখানে জানাজা শেষে পারিবারিক কবরস্থানে তাকে দাফন করা হবে।
এর আগে গুলশান আজাদ মসজিদে সাবেক অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিতের প্রথম নামাজে জানাজা শেষে সর্বস্তরের মানুষের শ্রদ্ধা নিবেদনের জন্য তার মরদেহ কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে নেওয়া হয়।
সেখানে সাবেক এই অর্থমন্ত্রীর মরদেহের প্রতি রাষ্ট্রপতির পক্ষে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন তার সামরিক সচিব মেজর জে. এস এম সালাউদ্দিন ইসলাম, প্রধানমন্ত্রীর পক্ষে তার সামরিক সচিব বিগ্রেডিয়ার জেনারেল কবির আহমেদ, স্পিকারের পক্ষে সার্জেন্ট অ্যাট আর্মস কমরেড এম নাইম রহমান, আওয়ামী লীগের পক্ষে সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের, কৃষিমন্ত্রী আব্দুর রাজ্জাক, মতিয়া চৌধুরী, ঢাবি উপাচার্য ড. আখতারুজ্জামান, তথ্যমন্ত্রী হাছান মাহমুদ, জাসদের হাসানুল হক ইনু, বাংলাদেশের ওয়ার্কাস পার্টির রাশেদ খান মেমন, মৎস্য ও পাণী সম্পদ মন্ত্রী শ ম রেজাউল করিম। এ সময় সেখানে উপস্থিত ছিলেন মরহুমের ছোট ভাই পররাষ্ট্রমন্ত্রী এম এ মোমিন প্রমুখ।
কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে শ্রদ্ধা মরদেহে শ্রদ্ধা নিবেদন শেষে সাবেক শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদ বলেন, বাংলাদেশের অর্থনীতিকে সমৃদ্ধ করার ক্ষেত্রে আবুল মাল আবদুল মুহিতের গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা আছে। তার নেওয়া পদক্ষেপ, পরিকল্পনা দেশের উন্নয়ন গতিতে আগামীতেও পথ দেখাবে।
বিশিষ্ট অভিনেতা ও সাবেক মন্ত্রী আসাদুজ্জামান নূর এমপি বলেন, শুধু অর্থনৈতিক ক্ষেত্রে নয়, দেশের সাংস্কৃতিক সমৃদ্ধির জন্যও কাজ করেছেন আবুল মাল আবদুল মুহিত। মানবিক মূল্যবোধ সম্পন্ন মানুষ গড়ার ওপর জোর দিয়েছিলেন তিনি।
আওয়ামী লীগ নেত্রী ও সাবেক মন্ত্রী মতিয়া চৌধুরী বলেন, আবুল মাল আবদুল মুহিত যেদিন থেকে আওয়ামী লীগে যুক্ত হয়েছেন তারও আগে থেকেই তিনি দক্ষ সাংগঠনিক ছিলেন। সততা ও মেধা কাজে লাগিয়ে দলের জন্য আজীবন কাজ করেছেন আন্তরিকতার সঙ্গে। তিনি একজন সফল মানুষ।
রাশেদ খান মেনন বলেন, মুহিত ভাই বিরল ব্যক্তিত্ব। কার্যকরি ও বৈজ্ঞানিক সিদ্ধান্ত নিয়েছেন দেশের অর্থনীতির জন্য।
আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বলেন, তার জ্ঞানের পরিধি বিস্তৃত। জ্ঞান চর্চা ও কাজের মাঝে ডুবে থাকতেন তিনি। সফল অর্থমন্ত্রী ও অর্থনীতিবিদ যেমন ছিলেন, তেমনি তিনি সততার মূর্ত প্রতীক।
তথ্যমন্ত্রী হাছান মাহমুদ বলেন, তার মৃত্যুতে দেশের অপূরণীয় ক্ষতি হয়েছে। তার দীর্ঘ ও বর্ণাঢ্য কর্মজীবন থেকে নতুন প্রজন্মকে শিক্ষা নিতে হবে।
এসময় সাবেক এই অর্থমন্ত্রীর মরদেহে আরও শ্রদ্ধা জানায়, বাংলাদেশ পূজা উদযাপন পরিষদ, পেশাজীবী সমন্বয় পরিষদ, জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য, ইকনোমিক রিপোর্টার্স ফোরাম (ইআরএফ), মেট্রোপলিটন চেম্বার অব কমার্স, বাংলাদেশ পথনাটক পরিষদ, অর্থ মন্ত্রণালয়ের অর্থ বিভাগ, ভারতীয় হাইকমিশন প্রমুখ।
বাংলাদেশ সময়: ১৪৪৪ ঘণ্টা ৩০ এপ্রিল, ২০২২
এইচএমএস/এমএমজেড