ঢাকা, বুধবার, ১৫ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১, ২৯ মে ২০২৪, ২০ জিলকদ ১৪৪৫

জাতীয়

‘পাটশিল্প বন্ধ করে প্লাস্টিকের ব্যবহার বাড়াচ্ছেন পাটমন্ত্রী’

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৭০৭ ঘণ্টা, জুন ৩০, ২০২২
‘পাটশিল্প বন্ধ করে প্লাস্টিকের ব্যবহার বাড়াচ্ছেন পাটমন্ত্রী’ ছবি: শাকিল আহমেদ

ঢাকা: ‘সারা বিশ্বে বাংলাদেশের পরিচয় পাটশিল্পের মাধ্যমে। এই শিল্পে বিশ্বে বাংলাদেশের কোনো প্রতিদ্বন্দ্বী নেই।

কিন্তু পাটমন্ত্রী পাটশিল্প বন্ধ করে প্লাস্টিকের ব্যবহার বাড়াচ্ছেন। ’ এমনই অভিযোগ তুললেন পাট-সুতা ও বস্ত্রকল শ্রমিক-কর্মচারী সংগ্রাম পরিষদের সভাপতি ও প্রবীণ শ্রমিক নেতা শহীদুল ইসলাম।

বৃহস্পতিবার (৩০ জুন) জাতীয় প্রেস ক্লাবের জহুর হোসেন চৌধুরী হলে রাষ্ট্রায়ত্ত খাত রক্ষার আন্দোলনে ১৭ জন শ্রমিক হত্যার স্মরণে ‘শ্রমিক হত্যা দিবসে পাট-সুতা ও বস্ত্রকল শ্রমিক-কর্মচারী সংগ্রাম পরিষদের আলোচনা সভায়’ তিনি এ অভিযোগ করেন।  

প্রবীণ শ্রমিকনেতা শহীদুল্লাহ চৌধুরী বলেন, ২০০০ সালে ৪০ বছর পার হয়ে যায় পাটকলগুলোর- সেসময় আধুনিকায়ন না করাতে লোকসান হয়েছে। নতুন প্রযুক্তি ব্যবহার করলে পাটশিল্প ঘুরে দাঁড়াতো। এর জন্যে দরকার ছিল কেবল ৪০০ কোটি টাকা বিনিয়োগ করা।

পাটশিল্প ধ্বংসের শেষপ্রান্তে উল্লেখ করে প্রবীণ এ নেতা বলেন, প্রধানমন্ত্রীও সমালোচনা করেছিলেন যখন ‘৯৩ সালে সাইফুর রহমান ও খালেদা জিয়া পাটকল বন্ধ করা শুরু করেছিলেন। বর্তমান পাটমন্ত্রী ২৫টা পাটকল বন্ধ করলেন। এর মাধ্যমে খালেদা-হাসিনার পার্থক্য একাকার হয়ে গেছে। কিন্তু বঙ্গবন্ধু কন্যাকে তো আমরা অন্যভাবে দেখি।

২০০০ সালে পাট ও টেক্সটাইল শিল্প রক্ষায় তখনকার প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ভূমিকা উল্লেখ করে এ প্রবীণ শ্রমিক নেতা বলেন, অর্থমন্ত্রী শাহ এম এস কিবরিয়ার নেতৃত্বে ৪ জন মন্ত্রী, ৬ শ্রমিক নেতা ও ৮ এমপিকে নিয়ে কমিটি হলে সেসময় সমস্যার সমাধান হয়।  

কিন্তু এবার আমলারা প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে সাক্ষাতের সুযোগ দিচ্ছে না দাবি করে প্রবীণ এ শ্রমিক নেতা বলেন, আমলাতন্ত্রের সঙ্গে যুদ্ধ করতে হবে। সরকারি পাটকলে মালিকানা দেওয়া হয়েছে এমন সব প্রতিষ্ঠানকে যাদের কোনো অভিজ্ঞতা নেই। চ্যালেঞ্জ দিয়ে বলতে পারি এরা কেউই সফলভাবে গড়ে তুলতে পারবে না পাটকল। একমাত্র বেসরকারি খাতে আধুনিকীকরণের মাধ্যমে সফল হয়েছে আকিজ জুটমিল।

পরিষদের দাবিগুলো হলো- জাতীয়করণকৃত রাষ্ট্রায়ত্ত বন্ধকৃত পাট-সুতা ও বস্ত্রকল আধুনিকায়ন, পাট-সুতা ও বস্ত্রকলের চাকরিচ্যুতদের মধ্যে কর্মক্ষম শ্রমিকদের কাজে ফিরিয়ে আনতে হবে; সরকারি অধিগ্রহণকৃত, হস্তান্তরিত ও ব্যক্তিমালিকানাধীন পাট-সুতা ও বস্ত্র শিল্প শ্রমিকদের আইনসম্মত সমুদয় বকেয়া পাওনা পরিশোধ করতে হবে; ব্যক্তি মালিকানাধীন পাট-সুতা ও বস্ত্র শিল্প শ্রমিকদের জন্য নিম্নতম মজুরি বোর্ডের রোয়েদাদ প্রকাশ করে দ্রুত বাস্তবায়ন করতে হবে; অতীতের ন্যায় শ্রমিকদের জন্য রেশনিং প্রথা চালু করতে হবে; ১৯৯৪ সালে নিহত ১৭ জন শ্রমিকদের দুর্দশাগ্রস্ত পরিবারকে পুনর্বাসন করতে হবে।

সভায় সংগ্রাম পরিষদের আহ্বায়ক শ্রমিকনেতা শহীদুল্লাহ চৌধুরী সভাপতিত্বে বক্তব্য রাখেন সংগ্রাম পরিষদের যুগ্ম আহ্বায়ক কামরুল আহসান, মছিউদদৌল্লা, সিরাজুল ইসলাম, মনোয়ার হোসেন প্রমুখ।

বাংলাদেশ সময়: ১৬৫৯ ঘণ্টা, জুন ৩০, ২০২২
এনবি/এসএ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।