ঢাকা: পরিবহন শ্রমিকদের নিয়োগপত্র দেওয়ার বিষয়ে সবপক্ষই একমত হয়েছে বলে জানিয়েছেন পরিবহন বিষয়ক টাস্ক ফোর্সের সদস্য ও শ্রমিক নেতা শাজাহান খান।
বুধবার (২৭ জুলাই) দুপুরে সচিবালয়ে সড়ক পরিবহন সেক্টরে শৃঙ্খলা জোরদারকরণ এবং দুর্ঘটনা নিয়ন্ত্রণে সুপারিশ প্রণয়ন সংক্রান্ত কমিটির ১১১ দফা সুপারিশমালা বাস্তবায়নের জন্য গঠিত টাস্ক ফোর্সের সভা শেষে তিনি এ তথ্য জানান।
সভায় সভাপতিত্ব করেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল।
শাহজাহান খান বলেন, আমরা বলেছি বিআরটিএর ৯৩১ জন কর্মীর জনবল কাঠামো রয়েছে। এর মধ্যে ১২২টি পদ এখনও শূন্য আছে। আগামী ৫ মাসের মধ্যে এদের নিয়োগ দিয়ে সংখ্যা বাড়াতে হবে।
তিনি বলেন, আমরা লক্ষ্য করেছি নিয়োগপত্র নিয়ে মালিক ও শ্রমিকদের মধ্যে একটা বিরোধ আছে। আমরা এটা আলোচনা করেছি এবং একটি সিদ্ধান্তও নিয়েছি। মালিক ও শ্রমিক নেতারা বসে এই সমস্যার দ্রুত সমাধান করবেন এবং কমিটিকে জানাবেন। এখন শ্রমিকরা নিয়োগপত্র পাচ্ছেন না। এখন কেন্দ্রীয়ভাবে মালিক ও শ্রমিকরা এ বিষয়ে বসবেন।
সাবেক নৌমন্ত্রী শাজাহান খান বলেন, আমরা সবাই একমত হয়েছি সড়ক পরিবহন মন্ত্রী বা স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী একদিন ভার্চ্যুয়ালি সারাদেশে একসঙ্গে নিয়োগপত্র দেওয়ার বিষয়টি উদ্বোধন করবেন। শ্রমিকদের নিয়োগপত্র দেওয়ার সিদ্ধান্ত অনেক আগের বাস্তবায়নটা একটু দুর্বল ছিলো, এটাকে আমরা এভাবে ত্বরান্বিত করতে চাই।
টাস্ক ফোর্সের আলোচনা বিস্তারিত তুলে ধরে শাহাজান খান বলেন, আমরা ইতোমধ্যে চালকদের ডোপ টেস্ট করে লাইসেন্স নবায়ন করা বা নতুন লাইসেন্স দেওয়ার একটি সিদ্ধান্ত আছে। এই ডোপ টেস্টের বিষয়ে কয়েকটি সেন্টার আছে। আমরা এর সংখ্যা বৃদ্ধি করতে বলেছি। এই টেস্ট করতে ৯শ টাকা প্রয়োজন হয় সেটাকে কমানোর জন্য আমরা অনুরোধ করেছি। এতে যাতে ড্রাইভারদের হয়রানি করা না হয় সে বিষয়ে ব্যবস্থা নিতে বলেছি।
তিনি বলেন, আমরা আরেকটি সিদ্ধান্ত নিয়েছি। হাইওয়ে পুলিশের সংখ্যা প্রয়োজন ৮ হাজারের উপরে। সেখানে ২ হাজারের একটু বেশি রয়েছে। এটাও যাতে বাড়ানো যায় আমরা সেই অনুরোধ করেছি। ট্রাফিক পুলিশের সংখ্যা এখন ঢাকা শহরে যা আছে, আমরা মনে করি এটা খুবই সামান্য। ট্রাফিক নিয়েন্ত্রণে পুলিশের সংখ্যাও আমরা বাড়াতে বলেছি।
বাংলাদেশ সময়: ১৬৩০ ঘণ্টা, জুলাই ২৭, ২০২২
জিসিজি/এসএ