ঢাকা, রবিবার, ৫ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১, ১৯ মে ২০২৪, ১০ জিলকদ ১৪৪৫

জাতীয়

পরিবহন সংকটে চরম ভোগান্তি, অস্বীকার বাস মালিকদের

নিশাত বিজয়, স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৩৫৫ ঘণ্টা, আগস্ট ৬, ২০২২
পরিবহন সংকটে চরম ভোগান্তি, অস্বীকার বাস মালিকদের রাজধানীর ব্যস্ততম সায়েন্সল্যাব মোড়ে নজিরবিহীন যানবাহন সংকট -বাংলানিউজ

ঢাকা: জ্বালানি তেলের দাম বৃদ্ধির পরপরই যানবাহন সংকটে পড়েছেন রাজধানীবাসী। শনিবার (৬ আগস্ট) সকাল থেকেই ঢাকার রাস্তায় বাস চলাচল নেই নিয়মিত।

ঘণ্টার পর ঘণ্টা অপেক্ষা করেও গণপরিবহনে উঠতে পারছেন না নগরবাসী। ফলে চরম দুর্ভোগে পড়েছেন যাত্রীরা, এতে বাড়ছে ক্ষোভও।

শনিবার পল্টন, সায়েন্সল্যাব, নীলক্ষেত, শাহবাগ এলাকা ঘুরে এমন চিত্র দেখা গেছে।

এসব এলাকায় দেখা গেছে, বাসের জন্য দাঁড়িয়ে থাকা যাত্রীদের ভিড় প্রতিটি মোড়ে। মাঝেমধ্যে দু-একটি বাস এলেও সেগুলোতে যাত্রীতে ঠাসা। দুই-একজন নেমে গেলে সেই শূন্যস্থান পূরণে হুড়োহুড়ি শুরু হয়ে যায়। কেউ কেউ ঝুঁকি নিয়ে চলছেন বাসের পাদানিতেও।

তবে যেসব বাস চলছে সেগুলোতেও অতিরিক্ত ভাড়া নেওয়া হচ্ছে। সাভার পরিবহনে উঠে দেখা যায়, সাভার থেকে এতদিন পল্টনের ভাড়া ৪০ টাকা নেওয়া হলেও আজ নেওয়া হচ্ছে ৫০ টাকা। এ নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করে যাত্রী মাসুদুর রহমান বলেন, দেশে নিয়ম-নীতি, শৃঙ্খলা কোনো কিছুই নেই।

বাসের চালক ও সহকারীদের সঙ্গেকথা বলে জানা যায়, তেলের দাম বাড়ায় আগের দামে ভাড়া চালানো সম্ভব নয়। সেজন্য নতুন দাম নির্ধারণের জন্য মালিকরা বাস কমিয়ে দিয়েছেন।

তবে এসব অস্বীকার করে ঢাকা পরিবহন মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক এনায়েত উল্লাহ বলেন, নগরীতে পরিবহন সংকট নেই। রাস্তায় যথেষ্ট যানবাহন আছে।

এদিকে বাসভাড়া বৃদ্ধির প্রতিবাদ জানিয়ে শনিবার বেলা তিনটায় প্রতিবাদ সমাবেশের ডাক দিয়েছে বাংলাদেশ যাত্রী কল্যাণ সমিতি। সংগঠনের মহাসচিব মোজাম্মেল হক চৌধুরী বলেন, বিশ্ববাজারে জ্বালানি তেলের দাম বর্তমানে নিম্নমুখী। এই সময়ে বাজার পর্যবেক্ষণ না করে, কেবল আইএমএফের প্রেসক্রিপশন বাস্তবায়নে জ্বালানি তেলের দাম বাড়ানোর সিদ্ধান্ত অযৌক্তিক ও গণবিরোধী।

বেড়েছে বাইক-সিএনজি-রিক্সাভাড়াও: বাস না পেয়ে বিকল্প হিসেবে বাইক কিংবা রিকশায় অতিরিক্ত ভাড়া দিয়ে গন্তব্যের উদ্দেশ্যে রওনা হচ্ছেন অনেকে। এতে রাজধানীতে বেড়েছে রিকশা বাইক-সিএনজি-রিকশা ভাড়াও।

সায়েন্স ল্যাব মোড় থেকে বাড্ডা যাওয়ার জন্য দীর্ঘসময় দাঁড়িয়ে ছিলেন সায়েদুল ইসলাম। অন্যান্য দিন দেওয়ান ও স্মার্ট উইনার বাস ২-৩ মিনিট পরপরই চললেও শনিবার ৩০ মিনিট দাঁড়িয়ে থেকেও বাস পাচ্ছেন না।

তিনি বলেন, বাস পাচ্ছি না। বাধ্য হয়ে বাইকে যেতে চাইলে  তারাও ১৫০ টাকার ভাড়া ২৫০ টাকা চাচ্ছেন।

একই স্থানে দেখা যায়, উপায় না পেয়ে কেউ কেউ অতিরিক্ত দামে গেলেও আবার অনেকে বাধ্য হয়েই বাসের জন্য অপেক্ষা করছেন।

সেখানে বাসের অপেক্ষায় থাকা আরেক যাত্রী   বলেন, ২০ মিনিট পেরিয়ে গেছে কিন্তু বাসে উঠতে পারছি না। অধিকাংশ বাস গেট বন্ধ করে আসছে। সরকার মধ্য আয়ের চাকরিজীবীদের ভোগান্তিতে ফেলেছে।

এদিকে সুযোগ বুঝে রিকশাচালকরা দ্বিগুণ দাম চাচ্ছেন। জানতে চাইলে মো. শাহিন নামে এক চালক বলেন, সবকিছুর দাম বাড়তি, সেজন্য রিকশা ভাড়াও বেড়ে গেছে।

বাংলাদেশ সময়: ১৩৫৩ ঘণ্টা, ৬ আগস্ট, ২০২২
এনবি/এমএমজেড

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।