ঢাকা, সোমবার, ১৮ ভাদ্র ১৪৩১, ০২ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ২৭ সফর ১৪৪৬

রাজনীতি

আলোচনার কোনো বিকল্প নেই

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৯১৫ ঘণ্টা, অক্টোবর ২৭, ২০১৬
আলোচনার কোনো বিকল্প নেই ছবি: সুমন-বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম

ঢাকা: গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা ও সুষ্ঠু নির্বাচনের জন্য আলোচনার কোনো বিকল্প নেই বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।
 
বৃহস্পতিবার (২৭ অক্টোবর) বিকেলে শেরেবাংলা নগরে জিয়াউর রহমানের কবরে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানানোর পর সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এ মন্তব্য করেন।


 
জাতীয়তাবাদী যুবদলের ৩৮তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে সংগঠনটির নেতা-কর্মী ও সমর্থকদের নিয়ে জিয়ার কবরে যান ফখরুল।
 
আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদেরের দেওয়া ‘আগামী নির্বাচন নিয়ে বিএনপির সঙ্গে কোনো আলোচনা করা হবে না’- বক্তব্যের জবাবে বিএনপির মহাসচিব বলেন, আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক নতুন নির্বাচিত হয়েছেন। স্বাভাবিকভাবেই তার উদ্যম অনেক বেশি থাকার কথা। সে জন্যই তিনি সম্ভবত আগাম এ বক্তব্য দিয়েছেন।
 
ফখরুল বলেন, বাংলাদেশে সত্যিকার অর্থেই গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা ও সুষ্ঠু নির্বাচন করতে হলে আলোচনার কোনো বিকল্প নেই। আলোচনার মাধ্যমে একটি সমঝোতার পথ বের না করলে সেই নির্বাচন কখনো সুষ্ঠু ও অবাধ হবে না। যদি জনগণের আশা-আকাঙ্ক্ষা পূরণ করতে হয়, তাহলে অবশ্যই সব রাজনৈতিক দলের সঙ্গে আলাপ-আলোচনার মাধ্যমে একটি সঠিক পথ বের করতে হবে। যে পথের মধ্যদিয়ে সব রাজনৈতিক দল নির্বাচনে অংশ নিতে পারবে এবং দলীয় প্রভাব ছাড়াই একটি নির্বাচন করা সম্ভব হবে।
 
বিএনপির সঙ্গে তো কোনো আলোচনায় বসতে চাচ্ছে না আওয়ামী লীগ। বিষয়টি বিএনপি কীভাবে দেখছে?- এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, এটা তো বরাবরই তারা বলে আসছেন। শেষ মুহূর্তে আবার তারা আলোচনা করার জন্য ডাকও দেন। ২০১৪ সালেও আমরা দেখেছি, আগে তারা বলেছিলেন আলোচনা করবেন না। শেষ পযর্ন্ত তারা আলোচনা করার জন্য ডেকেছেন।
 
সত্যিকার অর্থে তারা যদি গণতন্ত্রে বিশ্বাস করেন, তাদের রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে আলোচনা করতেই হবে। এর কোনো বিকল্প নেই- বলেন ফখরুল।
 
ইতালিয়ান নাগরিক তাবেলা সিজার হত্যাকাণ্ড নিয়ে র‌্যাব-পুলিশের পরস্পরবিরোধী বক্তব্য সম্পর্কে তিনি বলেন, সরকারের মধ্যে দোদুল্যমানতা, স্ববিরোধিতা, আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর নিজেদের মধ্যে স্ববিরোধিতা- এতেই প্রমাণ হয় বাংলাদেশে আইনের শাসন নেই। এই সরকার নিজেরাই সন্ত্রাস সৃষ্টি করে এবং সন্ত্রাসের মধ্য দিয়ে তারা বিরোধীপক্ষকে দমন করতে চায়।
 
এ সময় উপস্থিত ছিলেন জাতীয়তাবাদী যুবদলের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি অ্যালবার্ট টি কস্তা, সাধারণ সম্পাদক সাইফুল আলম নিরব, নির্বাহী সদস্য এইচ এম সাইফ আলী খান, গিয়াস উদ্দিন মামুনসহ কয়েক হাজার নেতা-কর্মী ও সমর্থক।
 
বাংলাদেশ সময়: ১৯০৫ ঘণ্টা, অক্টোবর ২৭, ২০১৫
এজেড/এএ

 

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।