শুক্রবার (৩০ নভেম্বর) জাতীয় প্রেসক্লাবের কনফারেন্স লাউঞ্জে জাতীয় মানবাধিকার আন্দোলন ও আদর্শ নাগরিক আন্দোলনের যৌথ উদ্যোগে আয়োজিত এক সেমিনারে বক্তব্য রাখেন মওদুদ আহমেদ।
তিনি বলেন, ভোটকেন্দ্রে ভোটাররা এলে এই সরকারের পতন হবে।
ইলেকশন কমিশন মুখে যাই বলুক না কেন তা দলীয় নেতা-কর্মীদের বিশ্বাস না করার আহ্বান জানিয়ে মওদুদ আহমদ বলেন, রিটার্নিং অফিসার একজন আমলা। তিনি ইসির কর্মকর্তা নন, সরকারের কর্মকর্তা; তার মেইনস্ট্রিম ক্যারিয়ার-প্রোমোশন সবকিছু সরকারের আওতাধীন। তাই দলীয় সরকারের অধীনে নিরপেক্ষ নির্বাচন সম্ভব নয়। দলীয় সরকার থাকলে সিভিল ও পুলিশ প্রশাসনের পক্ষে স্বাধীন ও নিরপেক্ষভাবে কাজ করা সম্ভব হয় না।
সমাবেশে নাগরিক ঐক্যের আহ্বায়ক মাহমুদুর রহমান মান্না নেতা-কর্মীদের উদ্দেশে বলেন, প্রধানমন্ত্রীকে নিয়ে যেমন হ্যালো পিএম প্রচারণা চালানো হচ্ছে, তার জীবনী নিয়ে ছবি বানানো হয়েছে। আপনারাও ছবি বানান। গ্রামে-গ্রামে পাড়ায়-পাড়ায় শিল্পীদের নিয়ে গান গেয়ে বেড়ান। গান তো বন্ধ করতে পারবে না সরকার।
নির্বাচন কমিশনের সমালোচনা করে মান্না বলেন, এই প্রশাসন নির্লজ্জ, নির্লজ্জ ইলেকশন কমিশন এবং তার চেয়েও নির্লজ্জ প্রধান নির্বাচন কমিশনার। তিনি সরকারের তল্পিবাহক, সরকারের এজেন্ডা বাস্তবায়নকারী।
দলীয় নেতা-কর্মীদের নির্বাচনের দিন ভোটকেন্দ্রে থাকার আহ্বান জানিয়ে মান্না বলেন, লড়াইটা ১০ কোটি ভোটারের। ভোট দিলে খালেদা জিয়া বাঁচবে, জেল থেকে বের হবে।
সেমিনারের বিশেষ অতিথি গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের ট্রাস্টি ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী বলেন, সরকার মানুষের বাকরোধ করছে। আইনকে কতভাবে অপপ্রয়োগ করা যায় তা দেখিয়েছে সরকার। নির্বাচন সুষ্ঠু হবে না তবে সুষ্ঠু করার জন্য মাঠে থাকতে হবে।
অনুষ্ঠানে জাতীয় মানবাধিকার আন্দোলনের প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যান মো. মাহমুদুল হাসানের সভাপতিত্বে অন্যান্য নেতাকর্মীদের মাঝে বক্তব্য রাখেন বিএনপির কেন্দ্রীয় নেতা আবু নাসের মোহাম্মদ রহমতুল্লাহসহ বিএনপি, নাগরিক ঐক্য, জাতীয় মানবাধিকার আন্দোলন ও আদর্শ নাগরিক আন্দোলনের নেতারা।
বাংলাদেশ সময়: ১৩৪০ ঘণ্টা, নভেম্বর ৩০, ২০১৮
এসএইচএস/এমজেএফ