ঢাকা, রবিবার, ২২ আষাঢ় ১৪৩১, ০৭ জুলাই ২০২৪, ২৯ জিলহজ ১৪৪৫

রাজনীতি

‘বর্তমান সরকারকে হটানো ছাড়া জনগণ ভোট দিতে পারবে না’

ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট  | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৮৩৪ ঘণ্টা, মার্চ ১৬, ২০২২
‘বর্তমান সরকারকে হটানো ছাড়া জনগণ ভোট দিতে পারবে না’

নোয়াখালী: বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. খন্দকার মোশারেফ হোসেন বলেছেন, আজকে যারা সরকার তারা গায়ের জোরে সরকার। ২০০৮ সালে মইনুদ্দিন-ফখরুদ্দিনের অবৈধ সরকার তাদের গায়ের জোরে বসিয়ে দিয়েছে।

তিনি বলেন, ২০১৪ সালে জনগণ বয়কট করেছে। আজকে যারা আছে তারা বয়কটের সরকার। ২০১৮ সালের এই দিনে ভোটের রাতে ডাকাতি করেছে। ভবিষ্যতে চিন্তা করতেছে ইভিএমের মাধ্যমে নিয়ে যাবে। আর এ দেশে এ ধরনের নির্বাচন হতে দেওয়া যাবেনা। বর্তমান সরকারকে হটানো ছাড়া জনগণ ভোট দিতে পারে এমন নির্বাচন আশা করতে পারেন না।

বুধবার (১৬ মার্চ) দুপুরে নোয়াখালীর কোম্পানীগঞ্জ উপজেলায় বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য, সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও উপ-রাষ্ট্রপতি ব্যারিস্টার মওদুদ আহমদের স্মরণ সভা ও দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

তিনি বলেন, মওদুদ আহমদ ১৫টি বই লিখেছেন। আরও দুটি বই প্রকাশিত হওয়ার বাকি আছে। তিনি বাস্তবভিত্তিতে দেশের রাজনীতি, গণতন্ত্র নিয়ে এসব বই লিখেছেন। তাকে এ সরকার রাজনৈতিক প্রতিহিংসার তার বাড়ি থেকে তাকে উচ্ছেদ করেছে। এ সরকার তাকে একটার পর একটা একটা মামলা দিয়েছে। ব্যারিস্টার মওদুদ আহমদ নির্বাচনে প্রতিযোগিতা করেছে ওনার মতো মানুষকে বাড়ি থেকে বের হতে দেয় নাই।

তিনি আরো বলেন, দ্রব্যমূল্য মানুষের ক্রয় ক্ষমতার বাইরে চলে গেছে। যদি সরকার দ্রব্যমূল্য কমাতে না পারে, দেশে গণতন্ত্র ফিরিয়ে দিতে না পারে, অনতিবিলম্বে তাদের পদত্যাগ করতে হবে। আর তা না হলে, দেশের মানুষ ঐক্যবদ্ধ হয়ে এ সরকারকে হটিয়ে দেওয়ার জন্য আগামী দিনে পদক্ষেপ নেবে।  

কোন স্বৈরাচার নিজে থেকে যায়না। তাদের বিদায় করে দিতে হয়। আমেরিকাতে একটি গণতান্ত্রিক কনভেনশন হয়েছে। ১৪১টি দেশ সেখানে আমন্ত্রিত হয়েছে। বাংলাদেশ সেখানে আমন্ত্রণ পায়নি। কেন পায় নাই? তারা মনে করে বাংলাদেশে গণতন্ত্র নেই। তারা বরং আন্তর্জাতিকভাবে বলেছে বাংলাদেশ পরিচালনা করছে একটি হাইব্রিড সরকার, গণতান্ত্রিক সরকার নয়।

খন্দকার মোশারেফ বলেন, এ সরকার জোর করে ক্ষমতায় টিকে থাকার জন্য গুম, খুন, মিথ্যা মামলা দিচ্ছে নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে। আজকে কিন্তু বিশ্ব এ সরকারের বিরুদ্ধে রায় দিয়েছে। এরা মানবাধিকার লঙ্ঘন করেছে। এজন্য বাংলাদেশের একটি প্রতিষ্ঠানকে তারা আমেরিকা থেকে নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে।  

তিনি আরো বলেন, বাংলাদেশের কয়েকটি বড় বড় সেনা কর্মকর্তা, পুলিশ কর্মকর্তাকে নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে। এটা আমাদের জন্য লজ্জাজনক। এটা বাংলাদেশের বিদেশে ভাবমূর্তি নষ্ট করেছে। এটার জন্য দায়ী আজকে যারা গায়ের জোরে সরকার। শুধু গায়ের জোরে সরকারে টিকে থাকার জন্য এ গণতন্ত্রকে হত্যা করেছে। সকল প্রতিষ্ঠানকে দলীয়করণ করে শেষ করে দিয়েছে। বিচার বিভাগকে শেষ করে দিয়েছে। আজকে দেশের মানুষ শান্তিতে নেই।

কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি কামাল উদ্দিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে উপজেলা বিএনপির সদস্য সচিব মাহমুদুর রহমান রিপনের সঞ্চালনায় বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য দেন, বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান আব্দুল আউয়াল মিন্টু, নোয়াখালী-৫ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য হাছনা জসীম উদ্দীন মওদুদ, সাবেক বিরোধী দলীয় চিফ হুইফ জয়নাল আবদিন ফারুক।

বাংলাদেশ সময়: ১৭৫৪ ঘণ্টা, মার্চ ১৬, ২০২২
এনটি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।