ঢাকা, বুধবার, ১২ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ নভেম্বর ২০২৪, ২৫ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

আইন ও আদালত

ছয় মামলায় বিএনপি-জামায়াতের ১০৯ জনের কারাদণ্ড

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২৩০৫ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ১৩, ২০২৩
ছয় মামলায় বিএনপি-জামায়াতের ১০৯ জনের কারাদণ্ড

ঢাকা: নাশকতার ছয় মামলায় বিএনপির জাতীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য শেখ রবিউল আলম রবিসহ বিএনপি-জামায়াতের ১০৯ নেতাকর্মীকে বিভিন্ন মেয়াদে কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। এসব মামলায় অভিযোগ প্রমাণিত না হওয়ায় খালাস পেয়েছেন ৪৯ জন।

বুধবার (১৩ ডিসেম্বর) ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের তিনজন বিচারক পৃথকভাবে এই রায় দেন।

এর মধ্যে ২০১৮ সালে ধানমন্ডি থানায় করা মামলায় বিএনপির জাতীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য শেখ রবিউল আলম রবিসহ ২২ নেতাকর্মীকে দণ্ডবিধির পৃথক দুই ধারায় তিন বছরের সশ্রম কারাদণ্ড দিয়েছেন মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মো. মেহেদী হাসান।

দণ্ডপ্রাপ্তদের মধ্যে আরও রয়েছেন—হাজারীবাগ থানা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক মো. আব্দুল আজিজ ও যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আবুল খায়ের মানিক, ধানমন্ডি থানা যুবদলের সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক হাবিবুর রহমান হাবিব, হাজারীবাগ থানা বিএনপির আহ্বায়ক মো. মজিবুর রহমান মজু ও যুগ্ম আহ্বায়ক ইয়াসিন, হাজারীবাগ থানা ছাত্রদলের সভাপতি আনিসুর রহমান শিবলু।

গুলশান থানায় ২০১৩ সালের করা নাশকতার এক মামলায় বিএনপির ১৫ নেতাকর্মীকে কারাদণ্ড দেন একই আদালত। এই মামলায় অভিযোগ প্রমাণিত না হওয়ায় দুই আসামিকে বেকসুর খালাস দেওয়া হয়েছে।

২০১৩ সালের ১০ এপ্রিল নাশকতার অভিযোগে রাজধানীর গুলশান থানায় এ মামলা দায়ের করে পুলিশ।

অপরদিকে কামরাঙ্গীরচর থানায় ২০১৮ সালে দায়ের করা নাশকতার এক মামলায় বিএনপির পাঁচ নেতাকর্মীকে বিভিন্ন মেয়াদে কারাদণ্ড দিয়েছেন মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট রাজেশ চৌধুরী। রায়ে দুই আসামি মো. নাঈম (৪২) ও মো. গাফফারকে (৪৩) তিন ধারায় চার বছর কারাদণ্ড ও পাঁচহাজার টাকা জরিমানা অনাদায়ে আরও একমাসের কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে।

অপর তিন আসামি জাবেদ, শহিদুল হক ও মো. আইয়ুবকে এক বছর তিনমাসের কারাদণ্ড দিয়েছেন বিচারক। চার্জশিটভুক্ত বাকি ১৯ আসামিকে খালাস দিয়েছেন আদালত।

মামলা সূত্রে জানা যায়, ২০১৮ সালের ২৮ সেপ্টেম্বর খালেদা জিয়ার মুক্তির দাবিতে কামরাঙ্গীরচর থানা এলাকায় মিছিল করে বিএনপি। মিছিলে নাশকতামূলক কর্মকাণ্ড সংঘটিত করার অভিযোগে ঘটনার দিনই কামরাঙ্গীরচর থানার এসআই মো. মাহফুজার রহমান বাদী হয়ে মামলা দায়ের করেন।

মামলাটি তদন্ত করে ২০১৯ সালের ৩১ মে এসআই মো. আহসান হাবীব ২৪ জনকে অভিযুক্ত করে আদালতে চার্জশিট দাখিল করেন। বিচার চলাকালে পাঁচজন সাক্ষ্য দেন।

এদিকে হাজারীবাগ থানার নাশকতার এক মামলায় অভিযোগ প্রমাণিত না হওয়ায় একই আদালত চার্জশিটভুক্ত ২৮ আসামির সবাইকে বেকসুর খালাস দিয়েছেন।  

মামলার বিবরণে জানা যায়, ২০১৮ সালের ১৬ সেপ্টেম্বর হাজারীবাগে খালেদা জিয়ার মুক্তির দাবিতে করা মিছিলে নাশকতামূলক কর্মকাণ্ড করার অভিযোগে এই মামলা দায়ের করেন এসআই মো. মনিরুজ্জামান। একই বছরের ২০ ডিসেম্বর মামলাটি তদন্ত করে আদালতে চার্জশিট দাখিল করেন তদন্ত কর্মকর্তা এসআই লন্ডন চৌধুরী।

এদিকে ২০১৮ সালে করা দক্ষিণখান থানার দুই নাশকতার মামলায় বিএনপির ৬৭ জনকে দুই বছর একমাসের কারাদণ্ড দিয়েছেন মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মো. মোশাররফ হোসেন।

রায় ঘোষণার সময় চার আসামি আদালতে উপস্থিত থাকায় তাদের সাজা পরোয়ানা দিয়ে কারাগারে পাঠানো হয়। অন্য আসামিরা পলাতক থাকায় তাদের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করা হয়েছে।

বাংলাদেশ সময়: ২৩০২ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ১৩, ২০২৩
কেআই/এমজেএফ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।