ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ১৩ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৮ নভেম্বর ২০২৪, ২৬ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

আইন ও আদালত

স্কুলছাত্রকে হত্যা মামলায় শরীয়তপুরে ২ জনের মৃত্যুদণ্ড

ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট   | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৬৩০ ঘণ্টা, এপ্রিল ১২, ২০২২
স্কুলছাত্রকে হত্যা মামলায় শরীয়তপুরে ২ জনের মৃত্যুদণ্ড মো. শাকিল মাদবর

শরীয়তপুর: মো. শাকিল মাদবর (১৫) নামে এক স্কুলছাত্রকে হত্যা মামলায় শরীয়তপুরে শাকিব ওরফে বাবু (২০) ও ইমরান মোড়ল (২০) নামে দু’জন আসামিকে মৃত্যুদণ্ড দিয়েছেন আদালত। একই সঙ্গে এ মামলায় অভিযুক্ত চারজনকে খালাস দেওয়া হয়েছে।

মঙ্গলবার (১২ এপ্রিল) বেলা সাড়ে ১১টার দিকে শরীয়তপুর নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক আব্দুস সালাম খান এ রায় দেন।

নিহত শাকিল জেলার জাজিরা উপজেলার পূর্ব নাওডোবা হাজী কালাই মোড়লকান্দির এলাকার সালাম মাদবরের বড় ছেলে। সে অ্যাম্বিশন কিন্ডারগার্টেন অ্যান্ড হাই স্কুলের অষ্টম শ্রেণির শিক্ষার্থী ছিল।

রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী অ্যাডভোকেট ফিরোজ আহমেদ বাংলানিউজকে এ তথ্য নিশ্চিত করে বলেন, শিশু শাকিলের অপহরণ ও হত্যা মামলায় ছয়জন আসামি ছিলেন। এদের মধ্যে শাকিব ও ইমরান নামে দুই আসামিকে মৃত্যুদণ্ডের রায় দিয়েছেন আদালত। একই সঙ্গে অভিযুক্ত অন্য চারজন মামলা থেকে খালাস পেয়েছেন।  

খালাসপ্রাপ্তরা হলেন- আক্তার মাদবর (২৬), সজিব মাঝি (২২), মহসিন হাওলাদার (২৫) ও স্বপন সরদার (৪৫)।

তিনি বলেন, আমরা এ রায়ে আংশিকভাবে সন্তুষ্ট। কারণ এ মামলায় সব আসামির সম্পৃক্ততা আছে। তাদের স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দিও রয়েছে। তাই উচ্চ আদালতে আপিল করব।  

এদিকে বাদীপক্ষের আইনজীবী অ্যাডভোকেট মিলন রহমান মুরাদ বাংলানিউজকে বলেন, আমরা মামলাটি নিয়ে উচ্চ আদালতে যাব।

উল্লেখ, ২০২০ সালের ২৫ জুন বিকেলে স্কুলছাত্র শাকিলকে খেলাধুলার কথা বলে বাড়ি থেকে ডেকে নিয়ে যান অভিযুক্ত শাকিব। পরে শাকিবের সঙ্গে আক্তার, সজিব, ইমরান, মহসিন ও স্বপন মিলে শাকিলকে অপহরণ করে উপজেলার মোসলেম ঢালীরকান্দি গ্রামের বারেক মৃধার বাড়ির পাশে আটকে রাখে। একপর্যায়ে শাকিলের চাচা শাহাজুল ইসলাম মাদবরের কাছে মোবাইলফোনে ও ম্যাসেজে পাঁচ লাখ টাকা মুক্তিপণ দাবি করেন অপহরণরীরা।  অন্যদিকে শাকিলকে তার পরিবারের লোকজন ও প্রতিবেশীরা খোঁজাখুঁজি করতে থাকে। মুক্তিপণ না দেওয়ায় শাকিলকে হত্যা করে পদ্মা সেতু সংলগ্ন ওই গ্রামের বারেক মৃধার বাড়ির পাশের বালুর মাঠে, বালু মাটি দিয়ে চাপা দিয়ে লাশ গুম করে রাখে। গ্রেফতার আসামি ইমরানকে পুলিশ জিজ্ঞাসাবাদ করলে তার তথ্যমতে, একই মাসের ২৭ জুন ভোরে শাকিলের মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তর জন্য শরীয়তপুর সদর হাসপাতালে মর্গে পাঠায় পুলিশ। এ ঘটনায় জাজিরা থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে একটি মামলা করেন শাকিলের বাবা সালাম মাদবর। এর আগের দিন ২৬ জুন অপহরণ ও হত্যার সঙ্গে জড়িত থাকার অভিযোগে পুলিশ বাবু ও ইমরানকে গ্রেফতার করে। গ্রেফতার আসামিদের সাতদিনের পুলিশ রিমান্ড চেয়ে শরীয়তপুর আদালতে পাঠানো হয়েছে। আর অপর আসামিদের গ্রেফতারের চেষ্টা চালাচ্ছে পুলিশ।

বাংলাদেশ সময়: ১৬২৫ ঘণ্টা, এপ্রিল ১০, ২০২২
এসআরএস

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।