ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ১৩ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৮ নভেম্বর ২০২৪, ২৬ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

আইন ও আদালত

বাগেরহাটে ধর্ষণ ও হত্যা মামলায় আসামির আমৃত্যু কারাদণ্ড

ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৮৩৬ ঘণ্টা, মে ৩০, ২০২২
বাগেরহাটে ধর্ষণ ও হত্যা মামলায় আসামির আমৃত্যু কারাদণ্ড

বাগেরহাট: বাগেরহাটের মোরেলগঞ্জে দাদিকে ধর্ষণ ও দুই নাতিকে হত্যা মামলায় বাচ্চু মৃধা (৫৮) নামে এক আসামিকে আমৃত্যু সশ্রম কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। একই সঙ্গে তাকে ২০ হাজার টাকা জরিমানা অনাদায়ে আরও এক বছরের কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে।

সোমবার (৩০ মে) দুপুরে বাগেরহাট নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-২ এর বিচারক মো. নূরে আলম আসামির উপস্থিতিতে এ রায় ঘোষণা করেন। এছাড়া মামলার চার্জশিটভুক্ত আসামি খোকন খানকে বেসকসুর খালাস দিয়েছেন আদালত।

দণ্ডাদেশপ্রাপ্ত বাচ্চু মৃধা মোরেলগঞ্জ উপজেলার পায়লাতলা এলাকার বাসিন্দা। খালাসপ্রাপ্ত খোকন খান একই উপজেলার সমাদ্দারখালী এলাকার মৃত আছমত খানের ছেলে।

হত্যার স্বীকার মিরাজুল (০৯) ও মো. ইমন ওরফে রিয়াজুল ইসলাম (০৭) মোরেলগঞ্জ উপজেলার পায়লাতলা গ্রামের লোকমান হোসেন বাবুর ছেলে।

মামলা সূত্রে জানা যায়, ২০১৪ সালে ১১ সেপ্টেম্বর রাতে মোরেলগঞ্জ উপজেলার পায়লাতলা গ্রামের ফরহাদ মৃধার বসতঘরের বারান্দায় দাদির সঙ্গে ঘুমিয়ে ছিল মিরাজুল ও রিয়াজুল। রাত ১১টার দিকে বাচ্চু মৃধাসহ কয়েকজন এসে তাদের দাদিকে ধর্ষণ করেন। আসামিদের ধস্তাধস্তির একপর্যায়ে মিরাজুল ও রিয়াজুলের ঘুম ভেঙে যায়। দাদিকে মেরে ফেলছে বলে চিৎকার করে তারা। তখন আসামিরা মিরাজুল ও রিয়াজুলকে মেরে বাড়ির পাশে ডোবায় ফেলে দেয়। তাদের দাদিকেও মারধর করে  মৃত ভেবে ফেলে রেখে চলে যায় হত্যাকারীরা। পরের দিন হত্যার স্বীকার  ‍দুই শিশুর বাবা লোকমান হোসেন বাবু বাদী হয়ে বাচ্চু মৃধাসহ পাঁচজনের নাম উল্লেখ করে মোরেলগঞ্জ থানায় ধর্ষণ ও হত্যা মামলা দায়ের করেন।  

২০১৫ সালের ১০ জুলাই মোরেলগঞ্জ থানা পুলিশ আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করেন। ২০১৭ সালের ১২ নভেম্বর আসামিদের বিরুদ্ধে চার্জ গঠন করেন আদালত। পরবর্তীকালে ২০ জন সাক্ষীর সাক্ষ্যগ্রহণ ও তথ্য প্রমাণের বিরুদ্ধে আদালত এই মামলায় বাচ্চু মৃধাকে আমৃত্যু কারাদণ্ড দেন। আসামি খোকন খানকে খালাস দেন।

এদিকে খোকনকে খালাস দেওয়ায় আদালতের রায়ে অসন্তোষ প্রকাশ করেছেন মামলার বাদী লোকমান হোসেন বাবু। তিনি বলেন, বাচ্চুর সঙ্গে খোকনও হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে জড়িত ছিল। খোকনকে কেন আদালত খালাস দিল আমি জানি না। খোকনের শাস্তির জন্য উচ্চ আদালতে আপিল করার কথা বলেন তিনি।

মামলায় আসামিপক্ষের আইনজীবী ছিলেন শেখ মনিরুজ্জামান ও রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী ছিলেন রনজিৎ কুমার মণ্ডল।
রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী রনজিৎ কুমার মণ্ডল বলেন, এ রায়ে ন্যায় বিচার প্রতিষ্ঠিত হয়েছে।  
 
বাংলাদেশ সময়: ১৮৩৪ ঘণ্টা, মে ৩০, ২০২২
আরএ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।