ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ১৩ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৮ নভেম্বর ২০২৪, ২৬ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

আইন ও আদালত

কুষ্টিয়ায় পৃথক ২ হত্যা মামলায় ৩ জনের যাবজ্জীবন

ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১০০৬ ঘণ্টা, জুন ৬, ২০২২
কুষ্টিয়ায় পৃথক ২ হত্যা মামলায় ৩ জনের যাবজ্জীবন

কুষ্টিয়া: কুষ্টিয়ার মিরপুরে মোটরসাইকেলচাপা দিয়ে বন্ধুকে হত্যার দায়ে ইন্তাদুল হক ও রুহুল আমিনকে এবং দৌলতপুরে স্ত্রীকে শ্বাসরোধে হত্যার দায়ে হোচেন আলী নামে এক ব্যক্তিকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড করেছেন আদালত।  

রায়ে ইন্তাদুল ও রুহুল আমিনকে ২৫ হাজার টাকা করে জরিমানা, অনাদায়ে আরও এক বছর করে কারাদণ্ডের আদেশ দেওয়া হয়েছে।

রোববার (০৫ জুন) দুপুর দেড়টায় যথাক্রমে কুষ্টিয়া জেলা ও দায়রা জজ অতিরিক্ত আদালত-১ এর বিচারক তাজুল ইসলাম এবং আদালত-২ এর বিচারক রেজাউল করীম আসামিদের উপস্থিতিতে এ রায় দেন।

দণ্ডপ্রাপ্তদের মধ্যে ইন্তাদুল হক (৩৪) দৌলতপুর উপজেলার নারায়নপুর দহকুলা গ্রামের আফছার মোল্ল্যার ছেলে, রুহুল আমিন (৩৪) জালু মোল্লার ছেলে এবং হোচেন আলী (৫৩) দৌলতপুরের দীঘলকান্দি পূর্বপাড়া গ্রামের বাসিন্দা।
 
আদালতের মামলা সূত্রে জানা যায়, ২০১৩ সালের ২৫ জানুয়ারি সন্ধ্যায় দৌলতপুর উপজেলার নারায়ণপুর দহকুলা গ্রামের আব্দুর রহিমের ছেলে ফিরোজকে (২৫) তার বন্ধু ইন্তাদুল ও রুহুল আমিন বেড়াতে যাওয়ার কথা বলে বাড়ি থেকে মোটরসাইকেলে করে নিয়ে যান। ওই দিন রাত ১১টার দিকে একটি মাইক্রোবাসে করে নিয়ে ফিরোজের মরদেহ তার বাড়ির সামনে ফেলে রেখে চলে যান তারা। এ ঘটনায় পরিকল্পিত হত্যার অভিযোগ এনে ফিরোজের বাবা বাদী হয়ে ইন্তাদুল ও রুহুল আমিনের নাম উল্লেখ করে মিরপুর থানায় হত্যা মামলা করেন।

অপর মামলায় ২০১১ সালের ১৮ নভেম্বর রাতে পারিবারিক কলহের জেরে দৌলতপুর উপজেলার দীঘলকান্দি পূর্বপাড়া গ্রামের বাসিন্দা হোচেন আলী তার স্ত্রী মরজিনা খাতুনকে (৩৭) গলায় ওড়না পেঁচিয়ে শ্বাসরোধ করে হত্যা করেন। এ ঘটনায় নিহতের ভাই উপজেলার শেরপুর পশ্চিমপাড়া গ্রামের সামছুদ্দিন মণ্ডলের ছেলে মারজেল মণ্ডল বাদী হয়ে দৌলতপুর থানায় হোচেন আলীকে আসামি করে দৌলতপুর থানায় হত্যা মামলা করেন।

ফিরোজ হত্যা মামলার তদন্ত শেষে ২০১৩ সালের ১৩ এপ্রিল ইন্তাদুল এবং রুহুল আমিনের বিরুদ্ধে আদালতে চার্জশিট দেন মিরপুর থানার সেই সময়ের উপপরিদর্শক (এসআই) ইকবাল হোসেন। চার্জশিটে উল্লেখ করা হয়, একই তরুণীর সঙ্গে প্রেমের প্রতিদ্বন্দ্বী হওয়ায় ফিরোজকে কৌশলে মোটরসাইকেলচাপা দিয়ে হত্যা করেন ইন্তাদুল। তাকে সহায়তা করেন রুহুল আমিন।

এছাড়া ২০১২ সালের ১৬ এপ্রিল দৌলতপুর থানার সেই সময়ের এসআই আবুল কালাম আজম হোচেন আলীর বিরুদ্ধে আদালতে চার্জশিট দাখিল করেন। মামলা দু’টির দীর্ঘ শুনানি শেষে অভিযোগ প্রমাণ হওয়ায় পৃথক আদালত তাদের যাবজ্জীবন কারাদণ্ড ও অর্থদণ্ড দেন।

বাংলাদেশ সময়: ১০০১ ঘণ্টা, জুন ০৬, ২০২২
এসআই
 

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।