ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ১৩ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৮ নভেম্বর ২০২৪, ২৬ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

আইন ও আদালত

কুষ্টিয়ায় হত্যা মামলায় একজনের আমৃত্যু ও দুইজনের যাবজ্জীবন

ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২১১৪ ঘণ্টা, জুন ৬, ২০২২
কুষ্টিয়ায় হত্যা মামলায় একজনের আমৃত্যু ও দুইজনের যাবজ্জীবন

কুষ্টিয়া: কুষ্টিয়ার মিরপুর উপজেলায় সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডে বাধা দেওয়া এবং শত্রুতার জেরে ইমরান রশিদ নামে এক ব্যক্তিকে হত্যার দায়ে একজনের আমৃত্যু ও দুই আসামির যাবজ্জীবন সশ্রম কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। এছাড়াও সবাইকে ২০ হাজার টাকা করে জরিমানা ও অনাদায়ে আরও এক বছরের কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে।

সোমবার (৬ জুন) দুপুরে কুষ্টিয়ার অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক মুহাম্মদ তাজুল ইসলাম এ রায় ঘোষণা করেন।

আমৃত্যু কারাদণ্ডপ্রাপ্ত আসামি হলেন- কুষ্টিয়ার মিরপুর উপজেলার কাটদহর চর এলাকার জমশের আলীর ছেলে জিয়া। যাবজ্জীবন দণ্ডপ্রাপ্ত দুই আসামি হচ্ছেন কুষ্টিয়ার মিরপুর উপজেলার কাটদহর চর এলাকার আসান আলীর ছেলে মোস্তফা এবং একই উপজেলার শাকদহর চর এলাকার ইবাদত আলীর ছেলে জাহাঙ্গীর।

আসামি জিয়া ও জাহাঙ্গীর বর্তমানে পলাতক রয়েছেন। তবে রায় ঘোষণার সময় অপর যাবজ্জীবনপ্রাপ্ত আসামি মোস্তফা আদালতে উপস্থিত ছিলেন। রায় ঘোষণার পর তাকে কুষ্টিয়া জেলা কারাগারে পাঠানো হয়। একই সঙ্গে অভিযোগ প্রমাণিত না হওয়ায় মিলন, আহসান, এবং জসিম নামে তিনজনকে খালাস দিয়েছেন আদালত।

কুষ্টিয়া জজ কোর্টেও সরকারি কৌঁসুলি (পিপি) অনুপ কুমার নন্দী রায়ের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

আদালত এবং এজাহার সূত্রে জানা যায়, কুষ্টিয়ার মিরপুর উপজেলার কাটদহর চর এলাকার বাদশা মাস্টারের ছেলে ইমরান রশিদ (২৮)। ২০০৪ সালের ২১ নভেম্বর রাতে পরিবারের লোকজনের সঙ্গে খাবার খাওয়ার পর ইমরান রশিদ প্রতিবেশী চাচাতো ভাই আশরাফুলের বাড়িতে যান এবং চাচাতো ভাইয়ের সঙ্গে ওই বাড়িতেই ঘুমিয়ে পড়েন। রাত ১টার দিকে আসামিরা দলবেঁধে অস্ত্র নিয়ে ইমরানের বাড়িতে যান এবং ইমরানকে খোঁজাখুঁজি করেন। এ সময় ইমরানের পরিবারের লোকজন আসামিরদের জানান, ইমরান তার চাচাতো ভাইয়ের বাড়িতে ঘুমাচ্ছে। এ কথা শোনার পর আসামিরা ইমরানের চাচাতো ভাইয়ের বাড়িতে যান এবং ইমরানকে নির্মমভাবে নির্যাতন করে গলায় ও বুকে গুলি করে হত্যা করে।

দণ্ডপ্রাপ্ত আসামিরা চরমপন্থি দলের সদস্য, চাঁদাবাজী অপহরণ খুনসহ নানা অপরাধ কর্মকাণ্ডে জড়িত বলে তদন্ত প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়। তাদের অপরাধ কর্মকাণ্ডে বাধা দেওয়ায় এবং শত্রুতার জেরে ইমরানকে হত্যা করা হয়। এ ঘটনার পরের দিন ২২ নভেম্বর নিহত ইমরান রশিদের ছোট ভাই হুমায়ুন রশিদ বাদী হয়ে আসামিদের বিরুদ্ধে মিরপুর থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন।

দীর্ঘ তদন্ত শেষে তদন্তকারী কর্মকর্তা আসামিদের বিরুদ্ধে ২০০৫ সালের ২৯ অক্টোবর আদালতে তদন্ত প্রতিবেদন জমা দেন। এর পর আদালত এ মামলায় ১৪ জন সাক্ষীর সাক্ষ্যগ্রহণ শেষে সোমবার (৬ জুন) রায় ঘোষণার দিন ধার্য করেন।

বাংলাদেশ সময়: ২১১৪ ঘণ্টা, জুন ০৬, ২০২২
আরএ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।