ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ১৩ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৮ নভেম্বর ২০২৪, ২৬ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

আইন ও আদালত

টাঙ্গাইলে ধর্ষণের পর হত্যা: ৩ আসামির ফাঁসি

ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৪০৮ ঘণ্টা, জুন ৯, ২০২২
টাঙ্গাইলে ধর্ষণের পর হত্যা: ৩ আসামির ফাঁসি

টাঙ্গাইল: টাঙ্গাইলে স্কুলছাত্রীকে অপহরণ করে ধর্ষণের পর হত্যার দায়ে তিন আসামিকে মৃত্যুদণ্ড দিয়েছেন নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইবুন্যাল।

বৃহস্পতিবার (০৯ জুন) ট্রাইবুন্যালের বিচারক খালেদা ইয়াসমিন এ রায় দেন।

রায়ে অপর এক আসামিকে বেকসুর খালাস দেওয়া হয়েছে।

দণ্ডিতরা হলেন- গোপালপুরের ভেঙ্গুলা গ্রামের মৃত নগেন চন্দ্র দাসের ছেলে শ্রী কৃষ্ণ দাস, ধনবাড়ী উপজেলার ইসপিঞ্জাপুর গ্রামের মোশারফ হোসেনের ছেলে সৌরভ আহমেদ হৃদয় ও একই গ্রামের মৃত মজিবর রহমানের ছেলে মিজানুর রহমান।

অপর আসামি একই গ্রামের মো. মেহেদী হাসান টিটুকে বেকসুর খালাস দেওয়া হয়েছে।  

কোর্ট পুলিশের পরিদর্শক তানভীর আহমেদ বাংলানিউজকে জানান, দশম শ্রেণির ওই ছাত্রীর সঙ্গে কৃষ্ণ দাসের পরিচয় হয় মোবাইল ফোনের মাধ্যমে। কৃষ্ণ একটি সেলুনে নরসুন্দরের কাজ করতেন। তিনি নিজের পরিচয় গোপন করে সানি আহমেদ নাম পরিচয় দিয়ে মুসলিম মেয়েটির সঙ্গে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে তোলেন। ২০২১ সালের ২ আগস্ট কৃষ্ণের সঙ্গে দেখা করার জন্য গোপালপুর উপজেলা সদরে যায় মেয়েটি। দুপুরে কৃষ্ণ ও তার সহযোগী মিজানুর রহমান মোটরসাইকেলে করে মেয়েটিকে পার্শ্ববর্তী ধনবাড়ী উপজেলার একটি বাড়িতে নিয়ে যান। সেখানে কৃষ্ণ ধর্ষণ করলে মেয়েটি চিৎকার করতে থাকে। একপর্যায়ে মেয়েটির গলায় গামছা পেঁচিয়ে তাকে কৃষ্ণ হত্যা করেন। আর কৃষ্ণর দুই সহযোগী মিজান ও সৌরভ বাইরে দাঁড়িয়ে পাহারা দেন।

পরে তারা তিনজন মিলে ওই দিন গভীর রাতে মরদেহ বস্তায় ভরে সিএনজি চালিত অটোরিকশায় করে ভূঞাপুর উপজেলার বীরবরুহা এলাকার রাস্তার পাশে ফেলে রাখেন। পরদিন ভূঞাপুর থানা পুলিশ মরদেহটি উদ্ধার করে। তখন মেয়েটির পরিচয় না জানায় ময়নাতদন্তের পর বেওয়ারিশ হিসেবে মরদেহটি উপজেলার ছাব্বিশা কবরস্থানে দাফন করা হয়। পরে পুলিশের কাছ থেকে খবর পেয়ে ছবি দেখে স্বজনরা মরদেহটি শনাক্ত করেন। পরে নিহতের বাবা বাদী হয়ে ৬ আগস্ট ভুঞাপুর থানায় অজ্ঞাত ব্যক্তিদের আসামি করে মামলা দায়ের করেন। পরে মামলাটি পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশনে (পিবিআই) হস্তান্তর করা হয়। মোবাইল ফোনের কললিস্টের সূত্র ধরে প্রথমে কৃষ্ণকে গ্রেফতার করা হয়। এরপর তার দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে বাকি তিনজনকে গ্রেফতার করে পুলিশ। তদন্ত শেষে ২০২১ সালের ২১ অক্টোবর তাদের চারজনের বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগপত্র জমা দেন পিআইবির সেই সময়ের উপপরিদর্শক (এসআই) ফরহাদ হোসেন। মামলায় ১১ জনের সাক্ষ্যগ্রহণ করা হয়। আদালত সাক্ষ্য প্রমাণ শেষে বৃহস্পতিবার এ রায় দেন আদালত। রায় ঘোষণার পর আদালতের নির্দেশে কৃষ্ণ দাস, সৌরভ আহমেদ হৃদয় ও মিজানুর রহমানকে জেলা কারাগারে পাঠানো হয়।

বাংলাদেশ সময়: ১৪০৬ ঘণ্টা, জুন ৯, ২০২২
এসআই

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।