ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ১২ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৮ নভেম্বর ২০২৪, ২৬ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

আইন ও আদালত

আহসানউল্লাহ ভার্সিটির ছাত্র হত্যায় ২ জনের মৃত্যুদণ্ড বহাল

স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৯০২ ঘণ্টা, জুন ২০, ২০২২
আহসানউল্লাহ ভার্সিটির ছাত্র হত্যায় ২ জনের মৃত্যুদণ্ড বহাল

ঢাকা: বেসরকারি আহসানউল্লাহ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র সুবীর চন্দ্র দাস হত্যায় তার দুই সহপাঠীকে বিচারিক আদালতের দেওয়া মৃত্যুদণ্ডাদেশ বহাল রেখেছেন হাইকোর্ট।

একইসঙ্গে বাকি দুজনের যাবজ্জীবন কারাদণ্ডও বহাল রাখা হয়েছে।

আসামিদের ডেথ রেফারেন্স (মৃত্যুদণ্ডাদেশ অনুমোদন) গ্রহণ এবং আপিল খারিজ করে সোমবার (২০ জুন) বিচারপতি ভীষ্মদেব চক্রবর্তী ও বিচারপতি খোন্দকার দিলীরুজ্জামানের হাইকোর্ট বেঞ্চ এ রায় দেন।

আদালতে আসামিপক্ষে ছিলেন জ্যেষ্ঠ আইনজীবী মুনসুরুল হক চৌধুরী। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল হারুন অর রশিদ ও সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেল জাহিদ আহমদ হিরো। পলাতকদের পক্ষে ছিলেন রাষ্ট্রনিযুক্ত আইনজীবী মমতাজ বেগম।  

২০১৩ সালে ২১ জানুয়ারি সন্ধ্যায় সাভারের বাসা থেকে সুবীরকে (২২) ডেকে নিয়ে শ্বাসরোধে হত্যার পর মরদেহ বুড়িগঙ্গায় ফেলে দেওয়া হয়। পরে সাভারের কোটালিয়া গ্রামে একটি ইটভাটার কাছ থেকে তার মরদেহ উদ্ধার করা হয়।

এ ঘটনায় সাভার থানায় হত্যা মামলা দায়ের করেন সুবীরের বাবা গৌরাঙ্গ চন্দ্র দাস।

এ মামলার বিচার শেষে ২০১৬ সালের ২৪ অক্টোবর রায় দেন ঢাকার জেলা ও দায়রা জজ এস এম কুদ্দুস জামান (বর্তমানে হাইকোর্ট বিভাগের বিচারপতি)।

মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত দুই আসামি ফরহাদ হোসেন সিজু ও মো. হাসান পলাতক রয়েছেন।

যাবজ্জীবন দণ্ডিত দুই আসামি হলেন- শফিক আহমেদ রবিন ও কামরুল হাসান শাওন।

রায় ঘোষণার দিন রাষ্ট্রপক্ষ জানিয়েছিল, রবিনের স্ত্রী সনির সঙ্গে সুবীরের প্রেমের সম্পর্ক ছিল। কিন্তু পরে সনি গোপনে রবিনকে বিয়ে করেন এবং এ নিয়ে সহপাঠীদের মধ্যে বিরোধ তৈরি হয়। এর জের ধরেই সুবীরকে হত্যা করা হয়।

পরে মৃত্যুদণ্ডাদেশ অনুমোদনের জন্য (ডেথ রেফারেন্স) নথি হাইকোর্টে পাঠানো হয়। আর যাবজ্জীবন দণ্ডিত দুই আসামি আপিল করেন।  

বাংলাদেশ সময়: ১৮৫৯ ঘণ্টা, জুন ২০, ২০২২
ইএস/আরবি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।