ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ১২ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৮ নভেম্বর ২০২৪, ২৬ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

আইন ও আদালত

কলাবাগান থানার ওসির বিরুদ্ধে চাঁদা দাবির অভিযোগ

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২২৫১ ঘণ্টা, জুন ২৩, ২০২২
কলাবাগান থানার ওসির বিরুদ্ধে চাঁদা দাবির অভিযোগ

ঢাকা: কলাবাগান থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তার (ওসি) বিরুদ্ধে চাঁদা দাবির অভিযোগ উঠেছে। ওই থানার এক আসামির কাছে দুই কোটি টাকা দাবির অভিযোগ তুলে ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে একটি অভিযোগ দাখিল করা হয়েছে।

মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আরাফাতুল রাকিব রমনা জোনের উপকমিশনারকে (ডিসি) অভিযোগের বিষয়ে তদন্ত করে ১০ কার্যদিবসের মধ্যে প্রতিবেদন দাখিলের আদেশ দিয়েছেন।

আদালত সূত্রে জানা যায়, তৌহিদুল আনোয়ার নামে এক ব্যবসায়ীর বিরুদ্ধে গত ২৩ মে অপরাধমূলক বিশ্বাসভঙ্গ ও প্রতারণার অভিযোগ এনে খলিলুর রহমান নামে এক ব্যক্তি কলাবাগান থানায় মামলা করেন (মামলা নম্বর- ২৩)। সেই মামলার আসামি গত ১৬ জুন কলাবাগান থানার ওসি পরিতোষ চন্দ্রের বিরুদ্ধে দুই কোটি টাকা চাঁদা দাবির অভিযোগ তোলেন। গত ১৯ জুন আদালত অভিযোগের বিষয়ে তদন্ত করে ১০ কার্যদিবসের মধ্যে রমনা জোনের ডিসিকে প্রতিবেদন দাখিলের নির্দেশ দেন।

মামলায় আসামিপক্ষের আইনজীবী তাসমীরুল ইসলাম বৃহস্পতিবার এই তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

তিনি বলেন, ওই এলাকায় ব্যবসা করার সুবাদে তৌহিদুল আনোয়ারের কাছে মোটা অঙ্কের চাঁদা দাবি করেন কলাবাগান থানার ওসি পরিতোষ চন্দ্র। তার দাবি অনুযায়ী চাঁদা পরিশোধ না করায় বিভিন্ন জনকে দিয়ে ১৩টি মামলা করানো হয় ওই আসামির বিরুদ্ধে। যার মধ্যে কয়েকটি মামলায় ইতোমধ্যে তাকে রিমান্ডেও নেওয়া হয়। বৃহস্পতিবারও এক মামলায় তার রিমান্ড আবেদন নামঞ্জুর করেছেন আদালত। মূলত চাঁদা না দেওয়ায় ওসি পরিতোষ চন্দ্রের ইন্ধনেই বিভিন্ন জন এসব মামলা করেছেন।

তিনি আরও বলেন, ভিন্ন ভিন্ন বাদী হলেও ১৩টি মামলাতেই অভিযোগ প্রায় একই ধরনের। যাদের সঙ্গে আসামির তৌহিদুল আনোয়ার ব্যবসা করেন তাদের ফুসলিয়ে ও ভয়ভীতি দেখিয়ে এসব মামলা করানো হয়েছে। এসব মামলায় রিমান্ডে নিয়ে তার কাছ থেকে খালি চেকে সই রাখা, গুরুত্বপূর্ণ দলিলে জোর করে সই নেওয়ার পাঁয়তারা করছেন ওসি পরিতোষ। উপায়ান্তর না দেখে আমরা আসামি তৌহিদুল আনোয়ারের পক্ষে গত ১৬ জুন আদালতে একটি আবেদন করি। যেখানে ওসি পরিতোষ চন্দ্রের চাঁদা দাবি, হয়রানিমূলক মামলা দায়ের ও রিমান্ড আবেদনের বিষয় উল্লেখ করে প্রতিকার চাওয়া হয়। সেই আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে তদন্তের এই আদেশ আসে।

মামলার এজাহার থেকে জানা যায়, ২০২১ সালের ২৮ জুলাই থেকে ২২ নভেম্বর পর্যন্ত আসামির অর্ডারের বিপরীতে বাদী তাকে ৭২ লাখ ১৭ হাজার ৫০০ টাকার চাল সরবরাহ করেন। এর মধ্যে ২৫ লাখ ৯৯ হাজার ৫০০ টাকা বাকি আছে। পাওনা টাকা ২০২১ সালের নভেম্বর মাসের মধ্যে পরিশোধের কথা ছিল। কিন্তু প্রধান আসামি তৌহিদুল আনোয়ার টাকা পরিশোধ না করে ছলচাতুরির আশ্রয় নেন। শেষ পর্যন্ত টাকা না পেয়ে উপরোক্ত মামলা দায়ের করা হয় বলে বাদী তার এজাহারে উল্লেখ করেছেন। দণ্ডবিধির ৪০৬/৪২০/৩৪ ধারায় দায়ের করা মামলায় তৌহিদুল আনোয়ারসহ মোট ১০ জনকে আসামি করা হয়।

বাংলাদেশ সময়: ২২৫০ ঘণ্টা, জুন ২৩, ২০২২
কেআই/আরআইএস

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।