ঢাকা, বুধবার, ১২ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ নভেম্বর ২০২৪, ২৫ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

আইন ও আদালত

কালিগঞ্জে স্ত্রীকে হত্যার দায়ে স্বামীর ৬ বছরের কারাদণ্ড

ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০৯১৯ ঘণ্টা, জুলাই ২৭, ২০২২
কালিগঞ্জে স্ত্রীকে হত্যার দায়ে স্বামীর ৬ বছরের কারাদণ্ড

সাতক্ষীরা: মৃত্যু হতে পারে জেনেও স্ত্রীর বুকে ও পিঠে লাথি মারার ঘটনায় দোষী সাব্যস্ত করে এক ব্যক্তিকে ছয় বছর সশ্রম কারাদণ্ড ও ৫ হাজার টাকা জরিমানা অনাদায়ে আরও দুই মাসের কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে।

মঙ্গলবার (২৬ জুলাই) সাতক্ষীরার অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ দ্বিতীয় আদালতের বিচারক বিশ্বনাথ মণ্ডল এইআদেশ দেন।

সাজাপ্রাপ্ত আসামির নাম নুরুল ইসলাম। তিনি সাতক্ষীরার কালিগঞ্জ উপজেলার তারালী গ্রামের হামিজউদ্দিনের ছেলে।

মামলার বিবরণে জানা যায়, কালিগঞ্জ উপজেলার তারালী গ্রামের আরশাদ আলীর মেয়ে শাহানার খাতুনের সঙ্গে একই গ্রামের হামিজউদ্দিনের ছেলে নুরুল ইসলামের ১৯৯২ সালে বিয়ে হয়। নুরুল ইসলামের প্রথম স্ত্রী থাকায় দ্বিতীয় স্ত্রী শাহানারকে তিনি প্রায়ই মারধর করতেন। ২০০১ সালের ১২ নভেম্বর রাত ৯টার দিকে এক কেজি চাল কেনার জন্য শাহানারা খাতুন তার স্বামীর কাছে টাকা চাইলে তাদের মধ্যে কথা কাটাকাটি হয়। একপর্যায়ে নুরুল ইসলাম তার বুকে ও পিঠে লাথি মারেন। এতে তিনি অসুস্থ হয়ে পড়েন। রাত সাড়ে ১১টার দিকে গ্রাম্য ডাক্তার ফজর আলীকে খবর দিলে তিনি এসে শাহানারা মারা গেছে বলে জানান।

খবর পেয়ে আরশাদ আলী রাত ১২টার দিকে নুরুল ইসলামের বাড়িতে এসে মেয়ে শাহানারাকে মেঝেতে মৃত অবস্থায় দেখতে পান।

এ সময় স্থানীয়রা নুরুল ইসলামকে আটক করে পরদিন সকালে পুলিশে খবর দেন। এ ঘটনায় শাহানারা খাতুনের বাবা আরশাদ আলী বাদী হয়ে জামাতা নুরুল ইসলামের নাম উল্লেখ করে পরদিন থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন।

মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা কালিগঞ্জ থানার উপপরিদর্শক নুরুল আমিন ২০০২ সালের ২৬ মে নুরুল ইসলামের নামে আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করেন।

আদালতে নিহতের মেয়ে মৌসুমী আক্তার বেবী তার মাকে বাবা লাথি মেরে হত্যা করেছে বলে সাফাই সাক্ষ্য দেন।

মামলার নথি ও ১৭ জন সাক্ষীর জেরা ও জবানবন্দি পর্যালোচনা শেষে আসামি নুরুল ইসলামের বিরুদ্ধে মৃত্যু হতে পারে জেনেও স্ত্রীর বুকে ও পিঠে লাথি মারার অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় আদালত তাকে ফৌজদারি দণ্ডবিধির ৩০৪ ধারায় ৬ বছর সশ্রম কারাদণ্ড ও ৫ হাজার টাকা জরিমানা অনাদায়ে আরও দুই মাসের বিনাশ্রম কারাদণ্ড দেন।

রাষ্ট্রপক্ষে মামলাটি পরিচালনা করেন অ্যাডভোকেট ফাহিমুল হক কিসলু।

আসামিপক্ষের আইনজীবী অ্যাড. হাবিবুর রহমান বলেন, এ রায়ের বিরুদ্ধে তিনি উচ্চ আদালতে যাবেন।

বাংলাদেশ সময়: ০৯১৭ ঘণ্টা, জুলাই ২৭, ২০২২
আরএ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।