ঢাকা, শনিবার, ১৯ আশ্বিন ১৪৩১, ০৫ অক্টোবর ২০২৪, ০১ রবিউস সানি ১৪৪৬

জাতীয়

২৩ বছর পর হত্যা মামলার আসামি গ্রেফতার

ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট  | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৪২৮ ঘণ্টা, জানুয়ারি ৯, ২০২৩
২৩ বছর পর হত্যা মামলার আসামি গ্রেফতার

মানিকগঞ্জ: পাবনা জেলার চাঞ্চল্যকর জলিল ও দিপু হত্যা মামলার আসামি মো. ওয়ারেছ (৪৫)কে দীর্ঘ ২৩ বছর পর রাজধানী মিরপুর এলাকা থেকে মানিকগঞ্জ সিপিসি-৩ র‌্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র‌্যাব)-৪ এর একটি ইউনিট গ্রেফতার করেছে।  

সোমবার (৯ জানুয়ারি) দুপুরে সংবাদ বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন সিপিসি-৩, র‌্যাব-৪ এর মানিকগঞ্জ ইউনিটের কোম্পানি কমান্ডার।

 

গ্রেফতার আসামি পাবনা জেলার আটঘরিয়া থানার জলিল কারিগরের ছেলে মো. ওয়ারেছ (৪৫)।

সংবাদ বিজ্ঞপ্তি সূত্রে জানা যায়, পাবনা জেলার সর্বহারা দলের সঙ্গে আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে মো. ওয়ারেছের বিরোধ ছিলো। বিরোধকে কেন্দ্র করে ১৯৯৯ সালের ৮ আগস্ট মো. ওয়ারেছ তার দল এবং পাবনা জেলার আটঘরিয়া থানার সর্বহারা দল আব্দুল জলিল গ্রুপের সঙ্গে আগ্নেয়াস্ত্র ও ধারালো অস্ত্র নিয়ে সংঘর্ষে লিপ্ত হয়। জলিল গ্রুপের লিডার আব্দুল জলিলকে নৃশংসভাবে হত্যা করে পালিয়ে যায়।

চাঞ্চল্যকর হত্যার ঘটনায় পাবনা জেলার আটঘরিয়া থানায় একটি হত্যা মামলা রজু হয়। হত্যা মামলার ১৩ জন আসামির মধ্যে মো. ওয়ারেছ অন্যতম প্রধান আসামি এবং একই জেলার সাথিয়া থানার চাঞ্চল্যকর দিপু হত্যার এজাহার নামীয় পলাতক আসামি।  

পলাতক আসামি নিজ পরিচয় গোপন করে দীর্ঘদিন সাভার এলাকায় দুধের ছানা সাপ্লাই এর কাজ করতে থাকে এবং বিয়ে করে সংসার করে আসছিলো। সু-কৌশলে বিদেশ পালিয়ে যায় এবং দীর্ঘদিন বিদেশে থেকে সাভারে অবস্থানরত নিজ স্ত্রী, সন্তানের কাছে ফিরে এসে গাড়ীর ড্রাইভার হিসেবে কাজ করছিলো। এভাবে সে দীর্ঘ ২৩ বছর বিভিন্ন জায়গায় আত্মগোপন করে থেকে একধিক অপরাধের সঙ্গে জড়িত ছিলো।  

মানিকগঞ্জ অঞ্চলের কোম্পানি কমান্ডার লে. কমান্ডার মোহাম্মদ আরিফ হোসেন বলেন, আমাদের একটি অভিযানিক টিম রাজধানী ঢাকার মিরপুর এলাকা থেকে গ্রেফতার করে। গ্রেফতার ব্যক্তিকে পাবনা জেলার আটঘরিয়া থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে বলেও জানান তিনি।  

বাংলাদেশ সময়: ১৪২৭ ঘণ্টা, জানুয়ারি ০৯, ২০২৩
এসএম

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।