ঢাকা, শুক্রবার, ৩১ শ্রাবণ ১৪৩১, ১৬ আগস্ট ২০২৪, ১০ সফর ১৪৪৬

জাতীয়

সাংবাদিক ইমদাদুল হকের ওপর হামলায় নিন্দা

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট  | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০১৪৫ ঘণ্টা, আগস্ট ১৬, ২০২৪
সাংবাদিক ইমদাদুল হকের ওপর হামলায় নিন্দা

ঢাকা: সংবাদ সংগ্রহে গিয়ে রাজধানীর আইসিটি টাওয়ারে বাংলাদেশ হাই-টেক পার্ক কর্তৃপক্ষের কর্মচারীদের হামলার শিকার হয়েছেন সাংবাদিক এস এম ইমদাদুল হক। বৃহস্পতিবার দুপরে এ ঘটনা ঘটে।

হামলার শিকার ইমদাদুল হক অনলাইন নিউজ পোর্টাল ডিজিবাংলার নির্বাহী সম্পাদক এবং বাংলাদেশ আইসিটি জার্নালিস্ট ফোরামের (বিআইজেএফ) নির্বাহী সদস্য। এ ঘটনায় তিনি বাংলাদেশ হাই-টেক পার্ক কর্তৃপক্ষের ব্যবস্থাপনা পরিচালকের কাছে লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন।

সাংবাদিকের ওপর হামলার ঘটনা জানার পর পরই ক্ষুব্ধ হয়ে উঠেছেন আইসিটি বিটের সাংবাদিকরা। তারা দোষীদের দ্রুত শাস্তির দাবি জানিয়েছেন।

সাংবাদিক ইমদাদুল হকের ওপর হামলার ঘটনায় গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করছে বাংলাদেশ আইসিটি জার্নালিস্ট ফোরাম (বিআইজেএফ)।  

সংগঠনটির কার্যনির্বাহী কমিটির পক্ষ থেকে সভাপতি নাজনীন নাহার ও সাধারণ সম্পাদক সাব্বিন হাসান হামলার ঘটনায় গভীর উদ্বেগ ও তীব্র নিন্দা প্রকাশ করছেন। পাশাপাশি জড়িতদের শাস্তি দাবি করেছেন।

এ ঘটনায় টেকনোলজি মিডিয়া গিল্ড বাংলাদেশ-টিএমজিবি তীব্র নিন্দা জানিয়েছে। পাশাপাশি পেশাগত দায়িত্ব পালনকালে এ ধরনের ঘৃণ্য ঘটনায় টিএমজিবির সব সদস্য গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করছে। এ ঘটনার সাথে দায়ী ব্যক্তিদের দ্রুততম সময়ে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবী জানাচ্ছে টিএমজিবি।

বাংলাদেশ হাই-টেক পার্ক কর্তৃপক্ষের ব্যবস্থাপনা পরিচালকের কাছে লিখিত অভিযোগে ইমদাদুল হক বলেন, ‘আমি পেশাগত দায়িত্ব পালনের লক্ষ্যে আজ ১৫ আগস্ট দুপুরে আইসিটি টাওয়ারে আসি। এখানে এসে জানতে পারি, বাংলাদেশ হাই-টেক পার্ক কর্তৃপক্ষের কর্মচারীরা সংস্কারের দাবিতে আন্দোলন করছেন। আমি তাদের স্লোগান শুনে দেখতে যাওয়ার পর তারা আমাকে চলে যেতে বললে আমি ফিরে চলে আসি। আসার সময় মোশাররেফ হোসেন পারভেজ, হিসাবরক্ষক ও সেলিন মাহমুদ কম্পিউটার মুদ্রাক্ষরিক কাম অফিস সহকারী আমাকে পেছন থেকে জাপটে ধরে এলোপাথাড়ি কিলঘুষি দেন। ’


লিখিত অভিযোগে তিনি আরও লিখেছেন, ‘এ সময় আমি এমডির কক্ষের দিকে যেতে চাইলে এবং হাই-টেক পার্কের অন্যান্য কর্মকর্তারা ছুটে এসে আমাকে সাংবাদিক পরিচয় দেওয়ার পরেও তারা দ্বিতীয় দফায় আবারও আক্রমণ করেন। এ সময় পাশে থেকে আন্দোলনের নেত্রী শর্মিলী খাতুন পাশে থেকে তাদের হামলা করতে আরও উৎসাহ দেন। ’

পরে কোনোমতে আমি প্রাণ নিয়ে প্রথমে জনসংযোগ কর্মকর্তার কক্ষে আশ্রয় নিই এবং পরে তাদের পাহারায় এমডির রুমে যাই।

এদিকে স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন সাইবার ক্রাইম অ্যাওয়ারনেস ফাউন্ডেশন (সিক্যাফ) তাদের কার্যনির্বাহী পরিষদের সহ-সভাপতি এস এম ইমদাদুল হকের ওপর হামলায় দোষীদের চিহ্নিত করে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানিয়েছে।   
 
বাংলাদেশ সময়: ০১২৩ ঘণ্টা, আগস্ট ১৬, ২০২৪
আরএইচ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।