বরগুনা: চৈত্র মাসে আম গাছে মুকুল থাকার কথা থাকলেও বর্তমানে বরগুনা শহরের ফল বাজারে দেখা মিলছে পাকা আমের।
শনিবার (২ এপ্রিল) বিকেলে বরগুনা পৌর ফল বাজারে মেসার্স মাহিন স্টোরে ২০০ টাকা কেজি দরে আম বিক্রি করতে দেখা গেছে।
আম কিনতে আসা এনজিও কর্মী লিটন মিয়া বাংলানিউজকে বলেন, গত তিনদিন আগে ফল কিনতে এসে বেশ কিছু দোকানে আম দেখতে পাই। আজ আম কেনার জন্য বাসা থেকে সিদ্ধান্ত নিয়ে এসেছি। দুইটি দোকানে আম দেখতে পাচ্ছি। বিক্রেতার কাছে এতো আগে পাকা আম এলো কীভাবে জানতে চাইলে তিনি বলেন, এগুলো পাইকারি দরে কিনে খুচরা বিক্রি করছি। বিক্রেতার দাবি, আমের জাতের নাম গোপালভোগ।
জেলা কৃষি অফিস বাংলানিউজকে জানিয়েছে, কৃষি বিভাগ ও প্রশাসনের অনুমতি সাপেক্ষে কৃষকরা গাছ থেকে আম সংগ্রহ করতে পারবেন। প্রশাসনের বেধে দেওয়া সময়ের আগে কোনো আম পাকলে অনুমতি নিয়ে পাড়তে হবে।
বরগুনা সদর উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মোস্তাফিজুর রহমান বাংলানিউজকে বলেন, এখন বাজারে গোপালভোগ আম আসার কোনো সুযোগ নেই। সাধারণত মে মাসের দিকে এ জাতের আম বাজারে আসার উপযুক্ত সময়। উন্নত জাতের আমের নাম ব্যবহার করে বিক্রেতারা সাধারণ ক্রেতাদের ঠকাচ্ছেন। এসময় শুধুমাত্র 'কাটিমন' থাই জাতের বারোমাসি আম বাজারে পাওয়া যায়।
কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের বরগুনা কার্যালয়ের উপ-পরিচালক আবু সৈয়দ মো. জোবায়দুল আলম বাংলানিউজকে বলেন, বারোমাসি আম চাষ করেছেন অনেকেই। এ আমগুলোই মূলত হাট-বাজারে ছড়িয়ে ছিটিয়ে বিক্রি হচ্ছে। বারোমাসি আম বরগুনার বুড়িরচর ইউনিয়নে চাষ করছেন এক কৃষক। বরগুনা পৌর ফল বাজারে যে আমগুলো বিক্রি হচ্ছে- সে সম্পর্কে আমি অবগত না।
বাংলাদেশ সময়: ১১০৮ ঘণ্টা, এপ্রিল ৩, ২০২২
এসআই