গাবতলী থেকে: দুয়ারে কড়া নাড়ছে ঈদুল ফিতর। তবুও নেই গতবারের মতো ঈদযাত্রায় যাত্রীদের বাড়ি ফেরার চাপ।
শনিবার (৩০ এপ্রিল) দুপুর থেকে বিকেল পর্যন্ত রাজধানীর আন্তঃজেলা গাবতলী বাস টার্মিনাল ঘুরে এমন চিত্র দেখা যায়।
কুষ্টিয়ার বাস সৌহার্দ্য পরিবহনের টিকিট বিক্রেতা পাশা মিয়া স্টেশনে দাঁড়িয়ে টিকিট বিক্রি করছিলেন। তিনি বলেন, এ বার যাত্রী নেই। যারা যাওয়ার আগেই চলে গেছেন। এখন যাত্রীরা ভেঙে ভেঙে বাড়ি যাচ্ছেন।
মানিকগঞ্জের পাটুরিয়া ঘাটগামী যাত্রী লালন বিশ্বাস বলেন, কাউন্টারে ভিড় কম থাকলেও লোকাল বাসগুলোতে চাপ বেশি। এ সুযোগে বেশি ভাড়া নেওয়া হচ্ছে। ১৫০ টাকার ভাড়া নেওয়া হচ্ছে ২০০ থেকে ২৫০ টাকা।
পাটুরিয়ার যাত্রী বেলাল হোসেন বলেন, অন্য সময় ভাড়া ১৫০ টাকা, আজ নেওয়া হচ্ছে ৩০০ টাকা। এই ভাড়া একেক গাড়িতে একেক রকম। বাসও সেভাবে মিলছে না। বাধ্য হয়েই পরিবারসহ সেলফি পরিবহনের বাসে উঠেছি।
গাবতলী শ্যামলী পরিবহনের টিকিট বিক্রেতা আমিনুর রহমান বলেন, ছুটি বেশি থাকায় যাত্রীদের চাপ কম। মানুষ আস্তে ধীরে বাড়ি যাচ্ছে। অন্য সময় অগ্রিম টিকিট বিক্রি হয়ে যেত। এবার এখন এসে টিকিট চাইলেও দিতে পারছি।
হানিফ এন্টারপ্রাইজের গাবতলীর কাউন্টার মাস্টার মো. কবির বাংলানিউজকে বলেন, যাত্রীদের কোনো চাপ নেই। ঈদের আর কয় ঘণ্টা বাকি আছে? গাবতলী বাস টার্মিনাল দেখে বোঝার কোনো উপায় আছে? মানুষ আগেই বাড়ি চলে গেছে। আমার মনে হয়, এবারের ঈদে বেশি ছুটি থাকায় এমনটা হয়েছে।
তিনি আরও বলেন, সন্ধ্যার দিকে যাত্রীদের চাপ একটু বাড়তে পারে। তা না হলে আগামীকাল যাত্রীদের চাপ হবে।
দারুসসালাম থানার এএসআই আব্দুল আলিম বাংলানিউজকে বলেন, সকাল থেকে যাত্রীর তেমন চাপ নেই। যাত্রী কম। যাত্রীদের চাপ ছাড়া গাবতলী এই প্রথম দেখলাম।
তিনি আরও বলেন, করোনাকালের আগের ঈদে গাবতলীতে যে পরিমাণ যাত্রীদের ভিড় হত, এখন তার কিছুই নেই।
বাংলাদেশ সময়: ১৭৪৪ ঘণ্টা, এপ্রিল ৩০, ২০২২
এমএমআই/এনএসআর