ঢাকা: আবারও রাজনৈতিক অঙ্গন উত্তপ্ত হতে পারে বলে মনে করছেন কৃষিমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য মো. আব্দুর রাজ্জাক।
তিনি বলেন, রাজনৈতিক ক্ষেত্রে উত্তপ্তের কথা যেটা বলেছি, তারা (বিএনপি) আন্দোলনের হুমকি দিচ্ছে।
বৃহস্পতিবার (৫ মে) সচিবালয়ে বাংলাদেশে নিযুক্ত কানাডার রাষ্ট্রদূত লিলি নিকোলাসের সঙ্গে বৈঠকের পর সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা বলেন।
কৃষিমন্ত্রী আব্দুর রাজ্জাক বলেন, আবার রাজনৈতিক অঙ্গন উত্তপ্ত হবে বলে মনে হচ্ছে। আমরা মনে করি, যাই হোক দেশের উন্নয়ন কর্মকাণ্ড থেমে থাকবে না। যে সরকারই আসুক রাজনৈতিক পরিস্থিতি যাই হোক, দেশে রাজনৈতিক স্থিতিশীলতা রয়েছে। ২০১৫ সাল থেকে দেশে কোনো হরতাল নেই, ধর্মঘট নেই রাজনৈতিক অঙ্গন ওইভাবে উত্তপ্তও হয়নি। ব্যবসা-বাণিজ্য সবকিছুই স্বাভাবিকভাবে চলেছে।
তিনি বলেন, তারা (বিএনপি) বলেছে দেশে ঈদ উদযাপনের মতো পরিবেশ নেই। আমি সম্পূর্ণভাবে তাদের সঙ্গে দ্বিমত পোষণ করছি। তারা হয়তো মনে করতে পারে তাদের জন্য সুন্দরভাবেই ঈদ উদযাপনের পরিবেশ নেই। আমি শুনলাম আমার পাশের গ্রামে ১৯টা গরু জবাই করেছে ঈদের আগে। চিন্তা করা যায় না? গ্রামের দোকানগুলোতে এতো ভিড় যে মানুষ লাইন ধরে জিনিসপত্র কিনছে, কেউ দামাদামি করলে বলছে, একটু সরে যান, আর একজন গ্রাহক আছে। এত বিক্রি হয়েছে যে, দামাদামি করার সুযোগ ছিল না। করোনা মহামারি ও রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের পরেও দেশের অর্থনীতি ভালো অবস্থায় রয়েছে জানিয়ে আব্দুর রাজ্জাক বলেন, তারা (বিএনপি) যতই আন্দোলনের ডাক দিক, হরতালের ডাক দিক, কেউ তাদের হরতালে যোগ দেবে না। ২০১৫ সালের পরে তারা সফল হয়নি, আগামী দিনেও হরতালের ডাক দিয়ে তারা সফল হবে না। কারণ তাদের পায়ের নিচে মাটি নেই। সাধারণ মানুষের সমর্থন নেই। আমার মনে হয় না, আন্দোলন সংগ্রাম করে এই সরকারের পতন ঘটানো যাবে।
তিনি আরও বলেন, করোনা মহামারির কারণে অনেক উন্নয়ন কর্মকাণ্ড, ব্যবসা-বাণিজ্য থমকে আছে। আমি বিশ্বাস করি, বাংলাদেশের যে রাজনৈতিক পরিস্থিতি রয়েছে এই পরিস্থিতিতে অতীতে যেভাবে এগোচ্ছিলো সেভাবে এগোতে পারবো। আমরা বলি আমরা উন্নয়নের মহাসড়কে। এই মহাসড়কের যাত্রা আরও গতিময় আরও বেগবান হবে, সেই লক্ষ্যে আমরা কাজ করছি।
আগামী ডিসেম্বরে আওয়ামী লীগের সম্মেলন নিয়ে এক প্রশ্নের জবাবে আবদুর রাজ্জাক বলেন, আওয়ামী লীগ এ দেশের প্রাচীনতম বৃহত্তম রাজনৈতিক দল। আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় থাক বা না থাক এটি এমন একটি দল এটি দেশের বিভিন্ন জাতীয় ইস্যু নিয়ে সবসময় তৎপর থাকে। সুতরাং আমাদের কর্মকাণ্ড কখনো বসে থাকে না, এটি একটি ডাইনামিক রাজনৈতিক দল। সবসময় বিভিন্ন বিষয়ে তাদের তৎপরতা অব্যাহত রাখে। সম্মেলন করা আমাদের একটি রুটিন। প্রত্যেক তিন বছর পর পর আমরা সম্মেলন করি। সম্মেলনের জন্য যেসব প্রস্তুতি দরকার, ঘোষণাপত্র, গঠনতন্ত্র এগুলোকে যুগোপযোগী করি, সেটা আমরা করব। আর কাউন্সিলরা নতুন নেতৃত্ব নির্বাচন করবে।
বাংলাদেশ সময়: ১৬৩০ ঘণ্টা, মে ০৫, ২০২২
জিসিজি/আরআইএস