কেরানীগঞ্জ (ঢাকা): ঢাকার কেরানীগঞ্জে রেশমা (৩০) নামে এক নারীকে গলাকেটে হত্যার অভিযোগ উঠেছে স্বামীর বিরুদ্ধে। ঘটনার পর থেকে স্বামী নুর হোসেন (৪০) পলাতক আছেন।
মঙ্গলবার (১৭ মে) দুপুরে উপজেলার কালিন্দী ইউনিয়নের বরিশুর এলাকার মাসুদ হাজীর চারতলা ভবনের চতুর্থ তালায় এ ঘটনা ঘটে। পরে নিহেতের মরদেহ উদ্ধার করেছে কেরানীগঞ্জ মডেল থানা পুলিশ।
নিহত রেশমা বরিশালের মুলাদী থানার চর পদ্মা গ্রামের সোলাইমান সিকদারের মেয়ে। আর ঘাতক স্বামী নুর হোসেন শরীয়তপুর জেলার গোসাইরহাট থানার বানিঘাটা গ্রামের মজিবুর মোল্লার ছেলে।
নিহতের ছেলে আলামিন (১০) জানায়, দুপুরে বাবা নুর ইসলাম নানার ভাড়া বাসায় এসে বলেন ‘তোমার মা বাইরে চলে যেতে চায় তাই রুমে তালা দিয়ে রেখে এসেছি। তোমরা গিয়ে তোমার মার খবর নাও। ’ পরে সেখানে গিয়ে রক্ত দেখে নানিকে সঙ্গে নিয়ে দরজা খুলে মায়ের মরদেহ দেখতে পাই।
পুলিশ জানিয়েছে, তিন মাস আগে রেশমা বেগমের সঙ্গে তার স্বামী নুরুল ইসলামের ছাড়াছাড়ি হয়ে যায়। ঈদের পরে রেশমা বেগম গ্রামের বাড়ি থেকে এসে বরিশুরে তার মা আয়েশা বেগমের ভাড়া বাসায় ওঠেন। পরে নুরুল ইসলাম রেশমা ও তার মা আয়েশা বেগমের সঙ্গে পুনরায় সম্পর্ক তৈরি করে শাশুড়ির বাড়িতে কয়েকদিন থাকেন। মঙ্গলবার নুরুল ইসলাম দুপুর ১২টার দিকে রেশমাকে কৌশলে বরিশুর এলাকায় নিজের মেসে ডেকে নিয়ে পূর্ব পরিকল্পিতভাবে গলা কেটে খুন করে পালিয়ে যান। পরে স্থানীয় লোকজনের মাধ্যমে খবর পেয়ে তারা ঘটনাস্থল থেকে নিহতের মরদেহ উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য স্যার সলিমুল্লাহ মেডিক্যাল কলেজ হাসাপাতলের মর্গে পাঠানো হয়।
কেরানীগঞ্জ মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আবু সালাম মিয়া জানান, বরিশুর এলাকায় নুরুল ইসলাম নামে এক ব্যক্তির বিরুদ্ধে প্রবাস ফেরত স্ত্রীকে গলা কেটে হত্যার অভিযোগ পাওয়া গেছে। ওই ব্যক্তি স্ত্রীকে হত্যা করে ১০ বছরের ছেলেকে খবর দিয়ে পালিয়ে গেছেন। এ ব্যাপারে থানায় একটি হত্যা মামলার প্রস্তুতি চলছে।
বাংলাদেশ সময়: ১৯৪৮ ঘণ্টা, ১৭ মে, ২০২২
এমএমজেড