ঢাকা: পোশাক খাত রপ্তানিমুখী হলেও এর কাঁচামাল সম্পূর্ণ আমদানীনির্ভর। মুদ্রাস্ফীতি নিয়ন্ত্রণে না রাখলে এ খাতের মধ্যম-সারির শিল্পোদ্যোক্তারা দেউলিয়া হতে পারে।
মঙ্গলবার (১৪ জুন) দুপুর ১টার দিকে রাজধানীর বনানীতে জাকের পার্টির চেয়ারম্যানের রাজনৈতিক কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ কথা বলেন।
নর্থ সাউথ বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থনীতি বিভাগের অধ্যাপক সায়েম আমির ফয়সাল বলেন, সরকারি হিসাবে মুদ্রাস্ফীতি ৬ শতাংশ দাবি করা হচ্ছে, যা সঠিক নয়। বর্তমানে সারাবিশ্বে মুদ্রাস্ফীতি বৃদ্ধি পেয়েছে। আমেরিকায় ৮ দশমিক ৬, তুরস্কে ৭০ শতাংশ, পাকিস্তানে ১৪ শতাংশ মুদ্রাস্ফীতি হলেও বাংলাদেশে বলা হচ্ছে মুদ্রাস্ফীতি মাত্র মাত্র ৬ শতাংশ যেটা যৌক্তিক নয়।
তিনি বলেন, তৈরি পোশাক খাত আমদানি নির্ভর একটি রফতানি খাত। দেশে তৈরি পোশাক খাতের ৪৪০টি প্রতিষ্ঠান রফতানি করে থাকে। এর মধ্য ২৫ থেকে ৩০ শতাংশ মধ্যম-সারির প্রতিষ্ঠান। যারা দেউলিয়া হতে পারে যদি মুদ্রাস্ফীতি নিয়ন্ত্রণে রাখা না যায়।
ডলারের দাম ১০০ টাকায় উঠে যাওয়ায় এ খাতে অস্থিরতা সৃষ্টি হয়েছে। আমেরিকার ফেডারেল রিজার্ভ ব্যাংক ২ শতাংশ ইন্টারেস্ট বৃদ্ধি করায় শ্রীলঙ্কা দেউলিয়াত্বে ভুগছে বলে মন্তব্য করেন এ অধ্যাপক।
সংবাদ সম্মেলনে মুদ্রাস্ফীতি নিয়ন্ত্রণে আনতে কী পদক্ষেপ নেওয়া উচিত, প্রশ্ন করা হয় জাকের পার্টির সিনিয়র ভাইস চেয়ারম্যানকে। তিনি বলেন, এ পরিস্থিতি থেকে রক্ষা পেতে হলে বাংলাদেশের কেন্দ্রীয় ব্যাংকের ইন্টারেস্ট রেট বৃদ্ধি করতে হবে। এ কাজটি ৩ মাস আগেই করা সম্ভব হলে এ পরিস্থিতির সৃষ্টি হতো না।
ব্যাংকের মুনাফা কমে যাওয়ায় বাংলাদেশের মানুষের উচিত ভূমি ও স্বর্ণে বিনিয়োগ করা। কারণ, মূদ্রাস্ফীতি একজন ব্যক্তিকে নীরবে ক্ষতি করে বলেও তিনি মন্তব্য করেন।
সংবাদ সম্মেলনে আরও উপস্থিত ছিলেন জাকের পার্টির চেয়ারম্যানের রাজনৈতিক উপদেষ্টা এজাসুল রসুল ও ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব শামীম হায়দার।
বাংলাদেশ সময়: ১৫৫৬ ঘণ্টা, জুন ১৪, ২০২২
এনবি/এমজে