ঢাকা: ঈদুল আজহার বাকী আর মাত্র একদিন। শেষ দিনেও চলছে ঈদ উপলক্ষে বাড়ি ফেরার যাত্রা যুদ্ধ।
শনিবার (৯ জুলাই) এসব বিষয়ে বাংলানিউজের সঙ্গে কথা হয় কমলাপুর রেলওয়ে স্টেশন ম্যানেজার মাসুদ সারওয়ারের।
তিনি বলেন, বিষয়টি হচ্ছে বৃহস্পতিবার যখন অফিস আদালত ছুটি হল, তখন হঠাৎ করেই ব্যাপক জনস্রোতের সৃষ্টি হয়। এর ফলে শিডিউল বিপর্যয় ঘটে। এটি আমাদের ধারণারই বাইরে ছিল। আজকে আমাদের মোট ১৮টি ট্রেন যাওয়ার কথা, এখন পর্যন্ত ১৬টি ট্রেন চলে গেছে৷ নীলসাগর এক্সপ্রেস, সুন্দরবন এক্সপ্রেস ট্রেনটি না আসায় এখনো ছেড়ে যেতে পারেনি।
ম্যানেজার বলেন, আমরা সর্বোচ্চ চেষ্টা করেও এ জনস্রোত ঠেকাতে পারিনি। আসলে এমন জনস্রোত ঠেকানোও যায় না, যেহেতু সবাই উৎসব উৎযাপনে যাচ্ছে। ফলে তারা আক্রমণাত্মকভাবে উঠে পড়ে। যাত্রীদের সীমাহীন চাপে পঞ্চগড় এক্সপ্রেস ট্রেনের ৫টি বগি বঙ্গবন্ধু সেতুর পশ্চিমে দেবে যায়। তো ওই ঘটনায় এ ট্রেনে ৮-৯ ঘণ্টা লেট হয়।
এদিকে টাকার বিনিময়ে যাত্রী তোলার প্রসঙ্গে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, এ বিষয়ে আমরা ব্যবস্থা নেবো।
এবারের মত শিডিউল বিপর্যয় কখনো ঘটেনি জানিয়ে মাসুদ সারওয়ার বলেন, আমরা যাত্রীদের চাপে অসহায়। কোনোভাবেই ঘরমুখো যাত্রীদের নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব না। আপনারা দেখেছেন যখন করোনা পরিস্থিতি ছিল, যাত্রীরা হেঁটে মাওয়া পর্যন্ত গেছে, ঘণ্টার পর ঘণ্টা অপেক্ষা করে মাওয়া পার হয়েছে। সে তুলনায় এগুলো কিছুই না। আমরা চেয়েছি যাত্রীরা যাতে প্রাণ নিয়ে ফিরতে পারেন। সেজন্য আমরা নির্ধারিত গতির চেয়ে অনেক কম গতিতে ট্রেনগুলো পরিচালনা করেছি। মূলত এসব কারণেই ট্রেনের শিডিউল বিপর্যয়ের ঘটনা ঘটেছে।
তিনি বলেন, উত্তরাঞ্চলের সড়কের অবস্থা ভয়াবহ। ফলে, অধিকাংশ যাত্রী এসে ট্রেনে ভিড় করেছেন। আর, উৎসবমুখর এসব যাত্রীদের কোনোভাবেই ঠেকানো যায় না।
তিনি আরও বলেন, অধিকাংশ যাত্রী চলে গেছেন। এরপরও যাত্রীরা কেউ না গিয়ে থাকলে তারা চাইলে টিকিটের টাকা ফেরত নিতে পারবেন। আজকে তেমন যাত্রীদের চাপ নেই। মাত্র ১০০টি টিকিট বিক্রি হয়েছে পঞ্চগড় এক্সপ্রেস ট্রেনের। ঈদ স্পেশাল ট্রেনে ১২৫টি টিকিট বিক্রি হয়েছে। সুতরাং, আজকে আশা করছি আর কোনো ঝামেলা হবে না।
বাংলাদেশ সময়: ১৪০১ ঘণ্টা, ৯ জুলাই, ২০২২
এমকে/জেডএ