চাঁদপুর: বর্ষা মৌসুম চলমান, কিন্তু দেখা নেই বৃষ্টির। চাষি জমিতেও লেগেছে খরা।
কৃষকরা জানিয়েছেন, জমিতে সেচ দিয়ে রোপা আমনের চারা বোনা হলেও পানি শুকিয়ে যাচ্ছে। অনেক জমি ফেটে চৌচির হয়ে গেছে। বার বার সেচ দিয়ে ফলন রক্ষায় কাজ করে যাচ্ছেন তারা। একদিকে বাড়ছে শঙ্কা, অন্যদিকে খরচ।
পানির পাশাপাশি শ্রমিক সংকটও রয়েছে কচুয়ার চাষিদের। তার ওপর সার ও ঔষধের দাম বাড়তি। জ্বালানির দাম বাড়ায় উৎপাদিত ফসলেও লাভ হয় না।
সরেজমিনে গিয়ে দেখা গেছে, বর্ষার ভরা মৌসুম শেষেও বৃষ্টির অভাবে উপজেলার নূরপুর, তালতলি, আশ্রাফপুর, নোয়াগাঁ, ডুমুরিয়া, উজানী, বাসাবাড়িয়া, আকানিয়া, গোবিন্দপুর গ্রামের ফসলি মাঠে আবাদকৃত আমন খেত শুকিয়ে আছে।
স্থানীয় কৃষক আবুল কালাম, আবেগ মিয়া, সিরাজুল ইসলাম, মিন্টু মিয়া, জালাল উদ্দিন ও মহসিন মিয়া নিজ নিজ জমিতে শ্যালো মিশনের মাধ্যমে সেচ দিচ্ছেন। তারা জানান, বীজতলায় লাগানো চারার নির্দিষ্ট বয়স পেরিয়ে যাচ্ছে। এখন সেচ দিয়ে রোপা আমন লাগানো ছাড়া কোনো বিকল্প ব্যবস্থা নেই। কিন্তু পানি শুকিয়ে যায়। বার বার সেচ দিতে গিয়ে খরচ পোষান যাচ্ছে না। সার প্রয়োগেও সেচ দিতে হয়। প্রতিবারে সেচ দিতে প্রতি ৬ শতক জমিতে ২০০ টাকা করে বেশি খরচ হচ্ছে।
সার ও কীটনাশকের দাম বাড়ার পাশাপাশি শ্রমিকের মজুরিও বেড়েছে। সব মিলিয়ে আমন চাষে উল্লেখযোগ্য খরচ বেড়েছে। এতে মৌসুম শেষে খরচ ওঠা নিয়েও তাদের মধ্যে দুশ্চিন্তা রয়েছে।
উপজেলা কৃষি কার্যালয় থেকে জানা গেছে, এ বছর কচুয়া উপজেলায় প্রায় সাড়ে ৫ হাজার হেক্টর জমিতে রোপা আমন ধানের চাষ হচ্ছে। অব্যাহত খরা ও রোদের প্রচণ্ড তাপে মাঠের পর মাঠ শুকিয়ে গেছে। কচুয়ায় প্রায় ৫ হাজার হেক্টর জমিতে বোনা আমন ধানের উৎপাদন নষ্ট হওয়ার পথে। সব মিলিয়ে কচুয়ার কৃষকরা দিশেহারা।
উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা (কৃষিবিদ) সোফায়েল হোসেন বাংলানিউজকে বলেন, রাসায়নিক সার ও জ্বালানি তেলসহ সবকিছুর দাম বেড়ে যাওয়ায় আমন চাষে কৃষকদের খরচ বেড়ে গেছে। ধানের দাম বাড়লে কৃষকের জন্য তা পুষিয়ে নেওয়া সম্ভব হবে।
বাংলাদেশ সময় : ২০৪০ ঘণ্টা, আগস্ট ১৮, ২০২২
এমজে