ঢাকা: জাতীয় সংসদের স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী বলেছেন, বঙ্গবন্ধু তার আদর্শ ও দর্শন প্রতিষ্ঠার জন্য আজীবন সংগ্রাম করে গেছেন। তিনি এ সংগ্রামী জীবনের যোগ্য সঙ্গ ও প্রেরণা পেয়েছেন বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিবের কাছ থেকে।
শনিবার (২৭ আগস্ট) বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে গোপালগঞ্জ সমিতি, ঢাকা আয়োজিত জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৪৭তম শাহাদাতবার্ষিকী ও জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষে আলোচনা সভা ও দোয়া মাহফিলে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
গোপালগঞ্জ জেলা সমিতির সভাপতি শেখ কবির হোসেনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য দেন গোপালগঞ্জ জেলা সমিতির প্রধান সমন্বয়কারী অ্যাডভোকেট মোল্লা মোহাম্মদ আবু কাওছার।
এতে বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য দেন- আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য মুহাম্মদ ফারুক খান এমপি, সাংগঠনিক সম্পাদক এস এম কামাল হোসেন, ঢাকা মহানগর দক্ষিণ মহিলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক নার্গিস রহমান, সুপ্রিম কোর্টের হাইকোর্ট বিভাগের বিচারপতি মো. খসরুজ্জামান, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ডা. মোহাম্মদ শারফুদ্দিন আহমেদ, গোপালগঞ্জ জেলা সমিতির ট্রেজারার এবং গৃহায়ন ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. শহীদ উল্লা খন্দকার, গোপালগঞ্জ জেলা সমিতির সাধারণ সম্পাদক ও সাবেক সচিব শৈলেন্দ্র মজুমদার।
সভায় ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী বলেন, শিশুকাল থেকেই বঙ্গবন্ধু দুঃখী মানুষের কষ্ট লাঘবে সচেষ্ট ছিলেন। তিনি নিজের জীবনের ঝুঁকি নিয়েই সর্বদা বাঙালির অধিকার আদায়ের জন্য কাজ করে গেছেন। স্বাধীনতার পর বঙ্গবন্ধু স্বদেশ প্রত্যাবর্তনের পরের দিনই বাঙালির নিজস্ব সংবিধান রচনার জন্য আদেশ জারি করেন এবং নয় মাসের মধ্যেই সংবিধান রচিত হয়। শিশুদের জন্য আন্তর্জাতিক কনভেনশন গঠনের আগেই তিনি ১৯৭৪ সালে শিশুদের জন্য আইন করেছিলেন। স্থল ও সমুদ্রসীমা বিষয়ক আইনগুলোও তার শাসনামলেই শুরু হয়েছিল। এ আইনগুলোর সুফল বর্তমানে বাংলাদেশের জনগণ পাচ্ছে। দেশের প্রয়োজনে তিনি পরিবার-পরিজনের মায়া ত্যাগ করে মাতৃভূমির মঙ্গলের জন্য কাজ করেছেন। বঙ্গবন্ধুর আদর্শ ও দর্শনকে হৃদয়ে ধারণ করে নবীনদের আগামীর বাংলাদেশ বিনির্মাণে উদ্যোগী হতে হবে।
বাংলাদেশ সময়: ২০২১ ঘণ্টা, আগস্ট ২৭, ২০২২
এসকে/আরবি