বুধবার (১৮ সেপ্টম্বর) স্থানীয় সময় বিকেল সাড়ে ৪টায় প্রধানমন্ত্রীর বাসভবনে এ বৈঠক শুরু হয়। বৈঠকের আগে মোদীর হাতে বন্ধুত্বের প্রতীক হলুদ গোলাপ তুলে দেন মমতা।
বৈঠক শেষ সাংবাদিকদের মুখ্যমন্ত্রী বলেন, প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে ভালো আলাপ হয়েছে। রাজ্যের কিছু দাবিদাওয়া আছে তা নিয়েই মূলত আলোচনা ছিল। মোদী বলেছেন, পশ্চিমবঙ্গের নাম পরিবর্তন নিয়ে যদি কোনও বক্তব্য থাকে কেন্দ্রের কাছে জানানো হোক। এছাড়া দ্বিতীয়বারে জন্য তিনি প্রধানমন্ত্রী হওয়ার পর দিল্লিতে আসা হয়নি।
মমতা আরও বলেন, আমি দুর্গাপূজোর পর প্রধানমন্ত্রীকে রাজ্যে আসার আমন্ত্রণ জানিয়েছি। যদি সময় থাকে উনি আসবেন বলে জানিয়েছেন। এটা রাজনৈতিক বৈঠক নয়। যুক্তরাষ্ট্রীয় কাঠামোয় কিছু আলাপ-আলোচনা থাকে, তাই নিয়ে এই বৈঠক। যদি সময় দেন, তাহলে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহর সঙ্গে দেখা করব। তবে এনআরসি নিয়ে প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে কোনও কথা হয়নি। (কিন্তু, আমি) এও বলে রাখছি বাংলায় এনআরসি করতে দেবো না। ’
এদিকে বৈঠক নিয়ে মমতাকে কটাক্ষ করছে বিরোধীরা। তাদের বক্তব্য, প্রশাসনিক বৈঠকে অনুপস্থিত ছিলেন মুখ্যমন্ত্রী। কিছুদিন আগে ফণীর তাণ্ডবে যখন রাজ্য লণ্ডভণ্ড হয়ে গেল, তখন প্রধানমন্ত্রী চাইলেও তিনি নিরুত্তাপ ছিলেন, কিন্তু, এখন যখন রাজ্যের পুলিশ সুপার রাজীব কুমারকে গ্রেফতার করতে হন্যে হয়ে খুঁজছে , ঠিক সেই সময়ই মোদির সাক্ষাৎ প্রয়োজন হলো তার।
বাংলাদেশ সময়: ২২১১ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ১৮, ২০১৯
ভিএস/এইচজে