ঢাকা: গরু চুরিই তাদের পেশা। আর চুরির কয়েক মিনিটের মধ্যেই গরু জবাই করে মাংস বিক্রি করতেন তারা।
আইন শৃঙ্খলা বাহিনীর হাতে এবার ধরা পড়ল গরু চুরির এমন চক্রের ৮ জন সদস্য।
রাজধানীর গাবতলী ও কদমতলী এলাকায় অভিযান চালিয়ে কসাইসহ তাদের গ্রেপ্তার করেছে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) গোয়েন্দা (ডিবি) লালবাগ বিভাগ।
গ্রেপ্তাররা হলেন- জাকির হোসেন, বিল্লাল মিয়া, ইউসুফ, রিপন, রজব আলী, জুবায়ের, আলামিন ও আলমগীর। এদের মধ্যে জুবায়ের, আলামিন ও আলমগীর পেশায় কসাই।
শুক্রবার (১২ মে) গাবতলী ও কদমতলী এলাকায় ধারাবাহিক অভিযানে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়। এ সময় তাদের কাছ থেকে চুরির ৬টি গরু ও গরু পরিবহনে ব্যবহৃত একটি পিকআপ ভ্যান জব্দ করা হয়। দারুসসালাম থানায় দায়ের করা একটি মামলায় গ্রেপ্তারদের আদালতে পাঠানো হয়েছে।
শনিবার (১৩ মে) ডিবি কার্যালয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে এসব তথ্য জানান ডিবির অতিরিক্ত কমিশনার মোহাম্মদ হারুন অর রশীদ।
তিনি বলেন, গত বৃহস্পতিবার (১১ মে) সিরাজগঞ্জ জেলার কালিয়া কান্দাপাড়া গরুর হাট থেকে একটি গরু চুরি হয়। গরুর মালিক হাট কমিটির সহায়তায় গরুর খোঁজে ঢাকার গাবতলী গরুর হাটে আসেন। তিনি ডিবি পুলিশকেও বিষয়টি অবগত করে সহায়তা চান। একপর্যায়ে শুক্রবার (১২ মে) বিকেলে চুরি যাওয়া গরু ও একটি পিকআপসহ ৫ জনকে গ্রেফতার করে ডিবি পুলিশ।
পরে তাদের দেওয়া তথ্যমতে কদমতলীর নূরপুর এলাকা থেকে ৩ জন কসাইকে আরো ৫টি গরুসহ গ্রেপ্তার করা হয়।
গ্রেপ্তারদের প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদের ভিত্তিতে ডিবি প্রধান বলেন, কসাইদের সঙ্গে চোরদের যোগাযোগ ছিল। কিছু ক্ষেত্রে কসাইরা চোরদের গরু এনে দিতে অগ্রিম টাকা দিয়ে রাখতেন। গরু হাতে পাওয়ার কয়েক মিনিটের মধ্যেই কসাইরা গরু জবাই দিয়ে মাংস বিক্রি করে ফেলতেন। যার কারণে গরুর মালিক বা পুলিশের পক্ষে গরু উদ্ধার করা সম্ভব হয় না।
তিনি আরও বলেন, যেহেতু গরু কোথাও রাখার প্রয়োজন হতো না, ফলে চোরদের ধরা পড়ার ঝুঁকিও ছিল না। এটা চোরদের কাছে ছিলো দ্রুত টাকা ইনকামের সহজ ব্যবসা।
তারা বেশ কয়েক বছর ধরে বাড়ি বা গরুর হাট থেকে গরু চুরি করে কসাইদের কাছে বিক্রি করে আসছিল বলেও জানান তিনি।
ডিবি প্রধান বলেন, এই চোরচক্রের সঙ্গে আরও কেউ জড়িত আছে কিনা তা খতিয়ে দেখা হবে। কোন কোন কসাই এই চোরদের কাছ থেকে গরু কিনতেন তাদের তালিকা করে অভিযান চালানো হবে।
বাংলাদেশ সময়: ২২৫০ ঘণ্টা, মে ১৩, ২০২৩
পিএম/এসএএইচ