নীলফামারী: নীলফামারীর ডিমলায় কতিপয় চিকিৎসকের লেখা অস্পষ্ট, যা বোঝা খুবই দুর্বোধ্য। ফলে ফার্মেসির লোকেরা পড়তে পারছে না সেই হাতের লেখা।
চিকিৎসকদের হাতের লেখা প্রেসক্রিপশন (ব্যবস্থাপত্র) পাঠোপযোগী হয়ে উঠছে না বলে অভিযোগ করেছেন অনেকে। এমন ব্যবস্থাপত্র হাতে নিয়ে দুর্ভোগে পড়ছেন রোগী ও ওষুধ বিক্রেতারা। এক ওষুধের পরিবর্তে অন্য আরেকটি ওষুধ কেনাবেচার ঘটনাও ঘটছে বলে জানান ভুক্তভোগীরা।
রোগীরা বলছেন, প্রেসক্রিপশন বুঝতে সমস্যা হওয়ায় নিয়মকানুন ও ওষুধ সেবন নিয়েও পড়তে হচ্ছে বিড়ম্বনায়।
অন্যদিকে হাসপাতাল সংশ্লিষ্টরা বলছেন, নিয়ম রয়েছে চিকিৎসকদের স্পষ্ট অক্ষরে পাঠোপযোগী প্রেসক্রিপশন লিখতে হবে। কিন্তু ব্যবস্থাপত্রে অনেক চিকিৎসকের দুর্বোধ্য হাতের লেখা অব্যাহত রয়েছে।
উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের বহির্বিভাগে চিকিৎসার জন্য আসেন তাসলিমা বেগম (২৭) নামে এক নারী। তাকে চারটি ওষুধ খেতে দেওয়া হয়েছে। সঙ্গে উল্লেখ রয়েছে কোনটি খাবার আগে আর কোনটি খাবার পরে খেতে হবে। কিন্তু প্রেসক্রিপশনের লেখা দেখে ঠিকঠাক বোঝার উপায় নেই কোন কোন শব্দ আছে এতে। তিনি বুঝে উঠতে পারছেন না। তেমনি ফার্মেসির লোকেরাও বুঝতে পারেননি।
ফার্মেসির বিক্রেতারা বলছেন, কারও লেখা একেবারেই বোঝা যায় না। কখনো কখনো রোগীকে আবার ওই চিকিৎসকের কাছে পাঠাতে হয়। কিন্তু কিছু রোগী দূর থেকে এত দুর্বোধ্য প্রেসক্রিপশন নিয়ে আসেন যে তখন তাকে আর ফেরত পাঠানো যায় না। তখন মোটামুটি যেটা বোঝা যায় সেই ওষুধ দিয়ে দিই। চিকিৎসকেরা কম্পিউটারে প্রেসক্রিপশন লিখে দিলে এটা আমাদের জন্য খুব সুবিধা হতো।
ডিমলা উপজেলা সদরের বাসিন্দা স্নিগ্ধ কবি (শাখাওয়াত) একটি প্রেসক্রিপশনের ছবি পোস্ট করে লিখেছেন, ডিমলা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসার নামে সাধারণ মানুষকে হয়রানি। অভিজ্ঞদের পরামর্শ চাই আসলে এখানে কী লিখেছেন ডাক্তার?
সাগর রেদোয়ান লিখেছেন, প্রেসক্রিপশনে কোনটা ‘‘এ’’ কোনটা ‘‘বি’’ বুঝাই তো যায় না! এই রকম করেই তো রোগীর জানমালের ক্ষতি হচ্ছে।
এ ব্যাপারে ডিমলা উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডা. রাশেদুজ্জামান বলেন, প্রেসক্রিপশনের লেখা অবশ্যই স্পষ্ট হওয়া জরুরি। অস্পষ্ট হাতের লেখার কারণে ভুল ওষুধ পাওয়ার আশঙ্কা থাকে। এ বিষয়টি সমাধানে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণের আশ্বাস দেন তিনি।
বাংলাদেশ সময়: ১৩১৭ ঘণ্টা, মে ২৩, ২০২৩
আরএ