ঢাকা, রবিবার, ১ পৌষ ১৪৩১, ১৫ ডিসেম্বর ২০২৪, ১২ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

জাতীয়

৩০ সেকেন্ডে মোটরসাইকেল চুরি করে চক্রটি

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৪৪২ ঘণ্টা, মে ২৫, ২০২৩
৩০ সেকেন্ডে মোটরসাইকেল চুরি করে চক্রটি

ঢাকা: মাস্টার চাবি ব্যবহার করে মাত্র ২৫ থেকে ৩০ সেকেন্ডে মোটরসাইকেল চুরি করে নিয়ে যায় একটি চক্র। বিশেষ করে বিভিন্ন শপিংমলের সামনে রাখা মোটরসাইকেল টার্গেট ছিল তাদের।

মোটরসাইকেল চুরির এ চক্রের মূলহোতা মো. জাকারিয়া হোসেন হৃদয়কে (২৫) গ্রেপ্তারের পর এ কথা জানিয়েছে মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি)।

গ্রেপ্তারের সময় তার হেফাজত থেকে বিভিন্ন মডেলের ১২টি মোটরসাইকেল উদ্ধার করা হয়।

বুধবার (২৪ মে) হবিগঞ্জে বিশেষ অভিযান চালিয়ে তাকে গ্রেপ্তার করে ডিবি গুলশান বিভাগ।

ডিবি জানায়, গত ১০ মে ভাটারা থানায় একটি মোটরসাইকেল চুরি সংক্রান্ত মামলা হয়। সেই মামলার ছায়া তদন্তের এক পর্যায়ে জাকারিয়াকে গ্রেপ্তার করা হয়। তার নেতৃত্বে চক্রটি দীর্ঘদিন ধরে মোটরসাইকেল চুরি করে আসছে।

মাস্টার চাবি ব্যবহার করে মাত্র ২৫ থেকে ৩০ সেকেন্ডে শপিংমলের সামনে থেকে মোটরসাইকেল চুরি করে নিয়ে যায় তারা। জাকারিয়া ছাড়া এ চক্রে আরও বেশ কয়েকজন সদস্য রয়েছেন। বাকি পলাতক আসামিরা হলেন- জাহাঙ্গীর, জিতু, ইকবাল ও খালেক।

বৃহস্পতিবার (২৫ মে) দুপুরে ডিএমপির মিডিয়া সেন্টারে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানান ডিবির অতিরিক্ত কমিশনার মোহাম্মদ হারুন অর রশীদ।

তিনি বলেন, ঢাকা শহরে বিভিন্ন সময় শপিংমলের সামনে থেকে মোটরসাইকেল চুরি হয়। কিন্তু অধিকাংশ ক্ষেত্রে মামলা হয় না। তবে যমুনা শপিংমলের সামনে থেকে একটি কালো রঙের বাজাজ মোটরসাইকেল চুরি হওয়ার পর মালিক মামলা করেন। এরপর মোটরসাইকেলটি উদ্ধারের জন্য আমরা বন্ধু মটরসের গ্যারেজে অভিযান পরিচালনা করি। অভিযানের সময় গ্যারেজের মালিক মোহন পালিয়ে যান। তবে অভিযানে এ চোর চক্রের মূলহোতা জাকারিয়াকে গ্রেপ্তার করা হয়।

ঢাকাসহ গাজীপুর, নারায়ণগঞ্জ ও আশপাশের এলাকায় যত মোটরসাইকেল চুরি হয় এর সঙ্গে এ চক্রটি জড়িত। গ্রেপ্তারদের মধ্যে সুমন এ চক্রের রেকি সদস্য। তিনি বিভিন্ন শপিংমলের সামনে গিয়ে মোটরসাইকেল রেকি করেন। মালিক মোটরসাইকেল রেখে শপিংমলের ভেতরে যাওয়ার পর অন্য সদস্যদের তিনি জানান। এ তথ্য পাওয়ার পর চক্রের সদস্য জিতু ও জাহাঙ্গীর তাদের কাছে থাকা মাস্টার চাবি দিয়ে মোটরসাইকেলটি চালু করে দ্রুত পালিয়ে যান।  

পরে চক্রের সদস্য খালিক এ মোটরসাইকেল নিয়ে বন্ধু মটরসের মালিকের কাছে বিক্রি করে দেন। পরে বন্ধু মোটরসের মালিক ৫০ থেকে ৬০ হাজার টাকা আবার বিক্রি করে দেন।

হারুন অর রশীদ বলেন, এ চক্রটির কাছ থেকে আমরা এখন পর্যন্ত ৫০টির বেশি মোটরসাইকেল উদ্ধার করেছি। চক্রটির মূলহোতা জাকারিয়া জানান, তারা ঢাকার শপিংমলের সামনে থেকে মোটরসাইকেল চুরি করেন। তাদের একটা দোকান আছে, সেখান থেকে তারা মাস্টার চাবি সংগ্রহ করতেন। পরে হবিগঞ্জের বন্ধু মোটরসে তাদের এ চোরাই মোটরসাইকেলগুলো বিক্রি করেন।

ডিবিপ্রধান বলেন, আমরা ডিবির পক্ষ থেকে সবাইকে বলছি মোটরসাইকেল সব সময় নির্ধারিত পার্কিংয়ে পার্ক করবেন। তারপরও যদি চুরি হয়ে যায়, তাহলে থানায় জিডি অথবা মামলা করবেন। আর যদি কোনো কারণে থানা মামলা নিতে না চায় তাহলে ডিবি অফিসে অভিযোগ করতে পারেন।

বাংলাদেশ সময়: ১৪৪০ ঘণ্টা, মে ২৫, ২০২৩
পিএম/আরবি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।