ঢাকা, শনিবার, ২৯ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ১৪ ডিসেম্বর ২০২৪, ১১ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

জাতীয়

পুরান ঢাকায় প্রধান সড়কে বর্জ্য, দ্বিতীয় দিনেও হবে কোরবানি

স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২৩৫৯ ঘণ্টা, জুন ২৯, ২০২৩

ঢাকা: রাজধানীর পুরান ঢাকার ধোলাইখাল এলাকার সড়কে কোরবানির পশুর হাটের বর্জ্য ও কোরবানির বর্জ্য এখনো পুরোপুরি পরিষ্কার করা হয়নি। আর প্রধান সড়কের দুই পাশে বর্জ্যগুলো সরিয়ে চলাচলের উপযোগী করা হলেও সেগুলো থেকে দুর্গন্ধ ছড়াচ্ছে এবং বৃষ্টিতে সড়ক কাদা-পানিতে চলাচলে ভোগান্তি তৈরি হয়েছে।

 

কোরবানির হাটের বর্জ্যের পাশাপাশি ঈদের দ্বিতীয় দিনেও পশু কোরবানি দেওয়া হবে। তাতেও বর্জ্য তৈরি হবে। এতে পুরান ঢাকাবাসীকে বর্জ্যের ভোগান্তির মধ্যে থাকতে হবে আরও এক-দুদিন।  

ঈদের দিন বৃহস্পতিবার (২৯ জুন) রাত ৮টার দিকে ধোলাইখাল এলাকায় গিয়ে দেখা যায়, ধুপখোলা মাঠের পশুর হাটের বর্ধিত অংশের কারণে টং মার্কেট মোড় থেকে ধোলাইপাড়-নারিন্দামুখী রাস্তায় হাটের কারণে বর্জ্যের স্তূপ তৈরি হয়। সেগুলো সরিয়ে সড়কের দুই পাশে রাখা হলেও এখনো পরিষ্কার করা হয়নি। আর কোরবানির বর্জ্যগুলোও সেই স্তূপের মধ্যে রাখছেন স্থানীয়রা। ফলে দুর্গন্ধ আর পরিবেশ দূষিত হচ্ছে। রাতে প্রধান সড়কে হেঁটে চলাচল প্রায় অসম্ভব হয়ে পড়েছে। এছাড়া চলাচলকারী যানবাহনগুলোকেও সাবধানে চলাচল করতে হচ্ছে।  

এদিকে অন্যান্যবারের মতো এবারও পুরান ঢাকায় দ্বিতীয় দিনে পশু কোরবানি হবে। ঈদের দিন সকাল থেকে দুপুরের পর পর্যন্ত বৃষ্টি হওয়ায় কোরবানি সবাই দিতে পারেননি। পুরান ঢাকার অলি-গলিতে বিভিন্ন স্থানে কোরবানির পশু দেখা গেছে। কলতাবাজার, টং মার্কেট, নবাবপুর রোডসহ বিভিন্ন এলাকায় কোরবানি হবে ঈদের পরের দিনও।  

স্থানীয়দের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, বৃষ্টি ও কসাই সংকটের কারণে ঈদের পরের দিন এবার আরও বেশি পশু কোরবানি দেওয়া হবে।  

কলতাবাজার এলাকায় হারিছ মিয়া জানান, পুরান ঢাকায় প্রতিবারই ঈদের দিন ও পরের দিন পশু কোরবানি দেওয়া হয়। তবে এবার ঈদের দিন বৃষ্টি ও কসাই সংকটের কারণে বেশি পশু কোরবানি হয়নি। ফলে এবার দ্বিতীয় দিনে বেশি পশু কোরবানি হবে।  

ফলে ঈদের দ্বিতীয় দিনেও কোরবানির পশুর বর্জ্য ভোগান্তি তৈরি করবে পুরান ঢাকায়। দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের তথ্য অনুযায়ী, রাত ৯টা ৫০ মিনিট পর্যন্ত ৬০টি ওয়ার্ড থেকে কোরবানির পশুর শতভাগ বর্জ্য অপসারণ করা হয়েছে। শতভাগ বর্জ্য অপসারিত হওয়া ওয়ার্ডগুলো হলো- ১-৪, ৯, ১০, ১৩, ১৬-৩৮, ৪০-৪৬, ৪৮, ৫০-৫৯, ৬১-৬৪, ৬৮-৭৫ নম্বর ওয়ার্ড। বাকি ওয়ার্ডগুলোর অগ্রগতি গড়ে ৯০ শতাংশ।  

বাংলাদেশ সময়: ২৩৫৭ ঘণ্টা, জুন ২৯, ২০২৩
এমআইএইচ/আরবি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।