ঢাকা, সোমবার, ৫ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১, ২০ মে ২০২৪, ১১ জিলকদ ১৪৪৫

জাতীয়

বাঁধ ভেঙে দেওয়ার অভিযোগ সাবেক চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে

ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১১১৮ ঘণ্টা, এপ্রিল ২৬, ২০২২
বাঁধ ভেঙে দেওয়ার অভিযোগ সাবেক চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে

নেত্রকোনা: নেত্রকোনার হাওরাঞ্চল খালিয়াজুরীর মেন্দিপুর ইউনিয়নের জগনাথপুরে মাছ চাষের বিলে পানি প্রবেশ করাতে বাঁধ ভেঙে দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান লোকমান হেকিমের বিরুদ্ধে।

ভাঙা বাঁধ দিয়ে বিভিন্ন হাওরে পানি প্রবেশ অব্যাহত থাকায় কয়েকশ হেক্টর জমির কাঁচা ধান তলিয়ে যাওয়ার আশঙ্কা দেখা দিয়েছে।

বাঁধটি মেরামতে কাজ করছে পানি উন্নয়ন বোর্ড উপজেলা প্রশাসনসহ স্থানীয় কৃষকরা।

দীর্ঘ এক মাস ধরেই হাওরের ফসল রক্ষা বাঁধগুলো মেরামতে সার্বক্ষণিক চেষ্টা চালিয়েও শেষ রক্ষা হয়নি হাওরবাসীর।

এ ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন পাউবোর নির্বাহী প্রকৌশলী এম এল সৈকত। তিনি জানান, এটি পেটনার বাঁধ। গত বছরের পুরনো। এটি ভাঙার কোনো কারণ ছিল না। পুরনো ধনুর পাশের বাঁধ এটি। ফিশারিতে পানি দেওয়ার জন্য বাঁধটি ভেঙে ফেলেছে। আমাদের কর্মচারী ও শ্রমিকদের কাজে লাগিয়েছি।

এদিকে জগন্নাথপুরের কৃষক খোকন মিয়া, গোলাপ মিয়া সুজনসহ অনেকেই জানান, পেটনা ফিশারিতে পানি প্রবেশ করানোর জন্য বাঁধটি সোমবার গভীর রাতে মেন্দিপুর ইউপির সাবেক চেয়ারম্যান লোকমান হেকিম ভেঙে দেন। এরপর এলাকার কৃষকরা ঘটনাস্থলে গিয়ে চেয়ারম্যানকে ধাওয়া করলে তিনি মোটরসাইকেল ফেলে পালিয়ে যান। পরে তার মোটরসাইকেল বাঁধের ভাঙা অংশে ফেলে দেন বিক্ষুব্ধ কৃষকরা।

তারা আরও জানায়, এটি পুরনো ধনু নদের পাশের বিল। নদের পানি আসার কথা না। স্রোত কম এদিকে। কিন্তু মাছ চাষের জন্য বাঁধটি ভেঙে দেওয়ায় মদন পর্যন্ত টানের জমিগুলো ডুবে যাবে। প্রকৃতির সঙ্গে যুদ্ধ করে কোনো রকমে বাঁধটি আটকে ছিল। আর এখন নিজেরা কেটে দিয়ে কৃষকদের ফসল ডুবিয়ে দিল। এই ধরনের অপরাধের দৃষ্টান্তমূলক বিচার দাবি করছেন কৃষকরা।  

অভিযুক্ত সাবেক চেয়ারম্যান লোকমান হেকিমের সঙ্গে এ ব্যাপারে কথা বলতে তার মোবাইলে কল করা হলে ফোনটি বন্ধ পাওয়া যায়।

এদিকে ফসল রক্ষায় হাওরের বাঁধগুলো টিকিয়ে রাখতে চেষ্টা অব্যাহত রয়েছে জানিয়েছে পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী মোহন লাল সৈকত। তিনি জানান, ইচ্ছাকৃত বাঁধ ভেঙে দেওয়ার সঙ্গে জড়িতদের আইনের আওতায় আনা হবে।

কৃষি বিভাগের তথ্যমতে, খালিয়াজুরীতে এরই মধ্যে ৮০ ভাগ ধান কেটে নেওয়া হলেও এখনো কয়েক হাজার হেক্টর জমির ধান আধা পাকা থাকায় কাটা সম্ভব হয়নি। এমতাবস্থায় হাওরে পানি প্রবেশ অব্যাহত থাকায় ফসল তলিয়ে যাওয়ার আশঙ্কা রয়েছে।

বাংলাদেশ সময়: ১১৪০ ঘণ্টা, এপ্রিল ২৬, ২০২২
আরএ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।