ঢাকা, সোমবার, ১৬ বৈশাখ ১৪৩১, ২৯ এপ্রিল ২০২৪, ১৯ শাওয়াল ১৪৪৫

জাতীয়

শর্ত মেনেই মৌলভীবাজার হয়ে আসামের জ্বালানি যাচ্ছে ত্রিপুরায়

ডিভিশনাল সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৬২০ ঘণ্টা, আগস্ট ২৭, ২০২২
শর্ত মেনেই মৌলভীবাজার হয়ে আসামের জ্বালানি যাচ্ছে ত্রিপুরায়

মৌলভীবাজার: সব শর্ত মেনে মৌলভীবাজারের সড়ক ব্যবহার করে ভারতের আসাম থেকে মেঘালয় হয়ে ত্রিপুরা রাজ্যে জ্বালানি তেল ও তরল পেট্রোলিয়াম গ্যাস (এলপিজি) যাওয়া শুরু হয়েছে। এর মাধ্যমে চাতলাপুর সীমান্তে দিয়ে বাংলাদেশ-ভারত সড়ক যোগাযোগে নতুন দিগন্তের সূচনা হয়েছে।

   

বৃহস্পতিবার (২৫ আগস্ট) দুপুরে সর্বপ্রথম সিলেটের তামাবিল স্থলবন্দর দিয়ে ১০টি পেট্রোলিয়ামবাহী গাড়ির একটি কনভয় ইন্ডিয়ান অয়েল কর্পোরেশনের কান্ট্রি ম্যানেজার মো. মাজহার আলমের উপস্থিতিতে বাংলাদেশে ঢুকে রাত সাড়ে ৯টার দিকে চাতলাপুর স্থল শুল্ক স্টেশনে পৌঁছায়।

শনিবার (২৭ আগস্ট) চাতলাপুর স্থল শুল্ক স্টেশনের রাজস্ব কর্মকর্তা রেজাউল কবির বাংলানিউজকে এই তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

তিনি বলেন, ১০ ট্যাংকারের মাঝে ৩টিতে ছিল ২১ দশমিক ১৯ মেট্রিক টন এলপিজি। বাকি ৭টিতে ছিল ৮৩ মেট্রিক টন তরল জ্বালানি। সব মিলিয়ে ১০৪ দশমিক ১৯ মেট্রিক টন জ্বালানি রয়েছে ১০টি ট্যাংকারে। তামাবিল স্থলবন্দর থেকে জ্বালানি তেলের বহর সিলগালা করে কড়া পুলিশি নিরাপত্তায় চাতলাপুর স্থল শুল্ক স্টেশনে নিয়ে যাওয়া হয়েছে।

সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, চলতি বছর ভারী বৃষ্টির ফলে ভারতের উত্তর-পূর্বাঞ্চলের সড়কের অবকাঠামোগত ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। ফলে আসামের মধ্য দিয়ে পেট্রোলিয়াম পণ্য সরবরাহে ব্যাঘাত ঘটায় ভারতের উত্তর-পূর্ব রাজ্য ত্রিপুরা, দক্ষিণ আসাম এবং মিজোরামে পেট্রোলিয়াম পণ্য সরবরাহ অব্যাহত রাখার জন্য একটি জরুরি বিকল্প পথের প্রয়োজন পড়ে। পরে গত ৩ আগস্ট এ বিষয়ে বাংলাদেশ সরকারের সড়ক পরিবহন ও মহাসড়ক বিভাগের সঙ্গে ইন্ডিয়ান অয়েল করপোরেশন লিমিটেডের (আইওসিএল) একটি সমঝোতা স্মারক সই হয়।

তারই অংশ হিসেবে বৃহস্পতিবার দুপুরে ১০টি পেট্রোলিয়ামবাহীর একটি কনভয় বাংলাদেশের সিলেট তামাবিল-ফেঞ্চুগঞ্জ-রাজনগর-মৌলভীবাজার-শমসেরনগর পথ দিয়ে চাতলাপুর স্থল শুল্ক স্টেশন দিয়ে ভারতের ত্রিপুরার কৈলাশহরে রওয়ানা হয়।

চাতলাপুর শুল্ক স্টেশন সূত্র জানায়, পেট্রোলিয়াম বা তরলকৃত পেট্রোলিয়াম গ্যাস (এলপিজি) বহনকারী ট্যাংকারগুলোকে বাংলাদেশের সড়ক ব্যবহারের জন্য ভারতীয় কর্তৃপক্ষ আইওসিএল প্রশাসনিক মাশুল, চার্জ, স্থানীয় টোল এবং স্থানীয় ভূখণ্ড ও অন্যান্য ফি পরিশোধ করেছে।

                          
চাতলাপুর স্থল শুল্ক স্টেশনের রাজস্ব কর্মকর্তা রেজাউল কবির বাংলানিউজকে বলেন, দুই দেশের সমঝোতা চুক্তির মাধ্যমে তামাবিল স্থলবন্দর হয়ে বাংলাদেশে ঢুকে ভারতের উত্তর ত্রিপুরার কৈলাশহরে বৃহস্পতিবার রাতেই এ জ্বালানিপণ্য গেছে। পরীক্ষামূলকভাবে ট্রানজিট কার্যক্রম সফলভাবে সম্পন্ন হওয়ার মাধ্যমে বন্ধুপ্রতিম উভয় দেশের বাণিজ্যিক সম্পর্ক যেমন নতুন মাত্রা পাবে, তেমনি আমাদের রাজস্ব আয় বাড়বে।

 তিনি আরও বলেন, আমরাও যেন ট্রানজিট সিস্টেমের মাধ্যমে ভারতের ভূ-খণ্ড ব্যবহার করতে পারি। তাদের সঙ্গে আমাদের ট্রানজিট সুবিধা চালু হলে ভারত ছাড়াও নেপাল, ভূটান প্রভৃতি দেশের সঙ্গেও আমাদের যোগাযোগ ব্যবস্থা উন্নতির মাধ্যমে অর্থনৈতিক সম্পর্ক সহজ ও দৃঢ় হবে। ভারত যেমন আমাদের কাছ থেকে ট্রানজিট সার্পোট পাচ্ছে, আমরাও তাদের কাছ থেকে একই রকম সুবিধা পেতে চাই।  

বাংলাদেশ সময়: ১৬১৯ ঘণ্টা, ২৭ আগস্ট, ২০২২
বিবিবি/এমএমজেড

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।